যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার পর বাড়িতে আগুন
Published: 9th, December 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নয়ন (৩২) নামের এক যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা বাবুপুর মোড়ে নয়নকে কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ।
পরে নিহত নয়নের বাড়িতে আগুন দেয় হামলাকারীরা। নয়ন নয়ালাভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বাবুপুর মোড়ে একদল দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নয়নকে মারাত্মক জখম করে। নয়নের ভাইসহ স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার করা হয়।
নয়নকে কুপিয়ে জখম করার পর হামলাকারীরা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রতিপক্ষের হামলায় নয়ন নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আধিপত্য বিস্তার নাকি অন্য কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড, সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
তিনি আরো জানান, নয়নের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা আছে। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নয়ন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল হকের অনুসারী এবং নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ঢাকা/শিয়াম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ শ বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে দুর্বৃত্তরা নয়ন আলী নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নয়ন শিবগঞ্জের নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় বাবুপুর মোড় এলাকায় নয়নকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই পা ও দুই হাতে কোপ মেরে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র চিকিৎসক শংকর কে বিশ্বাস বলেন, সোমবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন দাবি করছেন, নয়ন আলী স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে বিএনপির শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ও নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা বিএনপির কোনো অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেনি। যখন যারা ক্ষমতায়, নয়ন তাদের সঙ্গে থাকেন। বিএনপিতে তাঁর কোনো পদ নেই।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির বলেন, নয়নের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। ঘাতকদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।