বার্ষিক পরীক্ষা নিলে ‘থুথু দিবস’ পালনের হুমকি
Published: 9th, December 2025 GMT
সহকারী শিক্ষক মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের একটি ভিডিও বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বরগুনা সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সমাজে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য, বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা এবং বার্ষিক পরীক্ষা নিলে ‘থুথু দিবস’ পালনের হুমকি দিয়েছেন।
অভিযুক্ত লিটন পশ্চিম মোনসাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করছেন।
জানা গেছে, এ ঘটনায় গত ৪ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের (ডিপিও) নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষক সমিতির এক আলোচনায় কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের উপস্থিতিতে সহকারী শিক্ষক লিটন প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হুমকিসূচক বক্তব্য দেন।
ভিডিওতে শিক্ষক লিটন বলেন, “ওরা (প্রধান শিক্ষকরা) কি জানে না আমাদের দশম গ্রেড দিলে তোরা তো আরো ওপরে যাবি, তোদের তো লস নেই। এরপরও যদি ওরা দায়িত্ব পালন করে তবে আমরা ওদের মুখে থুথু দিয়ে দিবস পালন করব।”
প্রধান শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১১ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চলমান কর্মবিরতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে লিটন প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন না করার জন্য চাপ প্রয়োগের ঘোষণা দেন। এসময় প্রধান শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করলে মুখে থুথু দেওয়ার মতো অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ভিডিও বিকৃত করে ছড়িয়ে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।”
এ বিষয়ে পশ্চিম মোনসাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তহমিনা আক্তার নিলু বলেন, “সারা দেশে সহকারী শিক্ষকদের যখন ১১তম গ্রেডের দাবিতে আন্দোলন চলছে, তখন আমাদের ঊর্ধ্বতনরা বলছে পরীক্ষা নেবে। তখন বার্ষীক পরীক্ষা চলে, পরীক্ষা তো নিতেই হবে। আমরা পরীক্ষা না নিলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা তো সরকারি চাকরি করি কিন্তু একজন সহকারী কীভাবে প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বাজে মন্তব্য করে? থুথু মারব, ওরা, ওদের, তোরা, পরীক্ষা নিলে ওদের বিরুদ্ধে থুথু দিবস পালন করব ইত্যাদি। এতে তো পরিবেশ নষ্ট হয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মো.
ঢাকা/ইমরান/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ সরক র সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনে লড়বেন ১১৯ জন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ৮৪২টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৯টি। এ বছর আসন প্রতি লড়বেন ১১৯ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্টার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এ তথ্য জানান।
চলতি বছর গত বছরের মতো এবারও মোট সাত ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা হবে জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে। এই ইউনিটে ৩১০টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৭০ হাজার ২২০টি। প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ২২৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
ইউনিটভিত্তিক আবেদনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৪২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৬০ হাজার ৩৫১টি, যেখানে আসনপ্রতি প্রতিযোগীর সংখ্যা ১৪১ জন। কলা ও মানবিকী এবং আইন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৪৬৬ আসনের বিপরীতে ৪৭ হাজার ৪৯৭ জন আবেদন করেছেন। এই ইউনিটে আসনপ্রতি লড়বেন ১০১ জন।
এছাড়া ‘আইবিএ-জেইউ’ ইউনিটে ৫০টি আসনের জন্য ৫ হাজার ৪১১টি আবেদন পড়েছে, ফলে আসনপ্রতি লড়বেন ৯৮ জন। সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ৩২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ২০ হাজার ৫৮৩টি; এখানে আসনপ্রতি লড়বেন ৬৩ জন।
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে ২০০ আসনের বিপরীতে ১১ হাজার ৬১২টি এবং নাটক ও চারুকলা বিভাগভুক্ত ‘সি১’ ইউনিটে ৬৪ আসনের বিপরীতে ৩ হাজার ৭২৫টি আবেদন জমা পড়েছে। উভয় ইউনিটেই প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৫৮ জন করে শিক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত সময়সূচি ও অন্যান্য তথ্য পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
ঢাকা/আহসান হাবীব/ইভা