টেলিযোগাযোগ খাতে স্থানীয় কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) সঙ্গে চুক্তি করেছে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ। নতুন এ চুক্তির আওতায় টেশিসের স্থাপনায় ব্যাটারি মেরামত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, ফলে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি দীর্ঘদিন ব্যবহারের পাশাপাশি ই-বর্জ্য হ্রাস এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এ বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানোয়ার হোসেন মোল্লা ও ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইডটকো বাংলাদেশ।  

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতে দেশেই ব্যাটারি সেল উৎপাদনের পথ সুগম হবে, যা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং নতুন প্রযুক্তি খাত গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। এই চুক্তি দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, টেশিসের শিল্প সক্ষমতা ও ইডটকোর আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা পারস্পরিক লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তুলবে, যা শুধু টেলিযোগাযোগ খাত নয়, ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর অন্যান্য শিল্পেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সুনীল আইজ্যাক বলেন, দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের অংশীদার হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই উদ্যোগ, উদ্ভাবন এবং স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম গঠনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় জনশক্তির ক্ষমতায়ন ও সম্পদের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাবে।  

মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, এই সমঝোতা স্মারক দেশীয় সক্ষমতা, দক্ষতা ও সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। টিএসএসের উৎপাদন সক্ষমতা এবং ইডটকোর প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে একীভূত করার মাধ্যমে আমরা দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং একটি আরও টেকসই ও স্বনির্ভর টেলিকম শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবক ঠ ম ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জ-১: বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত চার নেতা এক মঞ্চে, একসঙ্গে বিক্ষোভ

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত চার নেতা এক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে প্রথমে পৃথক স্থানে সমাবেশ করেন তাঁরা। পরে একত্র হয়ে বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন ওই চার নেতা।

গত বৃহস্পতিবার এ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দেয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে। প্রথম দফায় মনোনয়ন ঘোষণার সময় আসনটি ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি। এ আসনে অন্তত আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশী সক্রিয় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবার প্রত্যাশা ভঙ্গ করে মাজহারুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতার বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতা চান। তবে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়নি। অন্যদিকে তাঁর মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে আসছেন মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা।

গতকাল সন্ধ্যায় শহরের স্টেশন রোডে নিজ কার্যালয়ে সমাবেশ করেন মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান (চুন্নু)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম। একই সময়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সমাবেশ করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ (ভিপি সোহেল)। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে ‘অযোগ্য’ আখ্যায়িত করেন বক্তারা। একই সঙ্গে তাঁর মনোনয়নের জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমকে দায়ী করেন। তাঁকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বলেও উল্লেখ করা হয়। অবিলম্বে মনোনয়ন বাতিল করে ‘যোগ্য ও ত্যাগী’ নেতাকে মনোনীত করার দাবি তোলেন তাঁরা। সমাবেশে রেজাউল করিম খান বলেন, ‘এটা আমার শেষ নির্বাচন। কাজেই এই নির্বাচনে অবশ্যই অংশ নেব।’

এ আসনে অন্তত আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশী সক্রিয় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মাজহারুল ইসলাম।

সমাবেশ শেষে রেজাউল করিম খান, রুহুল হোসাইন, শরিফুল ইসলাম ও খালেদ সাইফুল্লাহ—এই চার নেতা এক রিকশায় চড়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মিছিলে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম ও মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। পরে স্টেশন রোড এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বড় দলে অনেক প্রার্থী থাকাটাই স্বাভাবিক। সবাইকে তো আর মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। আমার প্রতি দলের আস্থা আছে বলেই মনোনয়ন দিয়েছে। রাজনীতির শিষ্টাচার ও শালীনতা বজায় রাখা উচিত।’

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘আমি মনে করি, দল যোগ্য লোককেই মনোনয়ন দিয়েছে। সবাইকে শান্ত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর জন্য কাজ করা উচিত। এমন কিছু করা ঠিক নয়, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, দেশনেত্রী এখন অসুস্থ। আন্দোলন-সংগ্রাম রেখে তাঁর জন্য দোয়া করা উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামালপুরে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে দুই বেয়াইয়ের মৃত্যু
  • বিমোহিত করছে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের শাপলা
  • কিশোরগঞ্জ-১: বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত চার নেতা এক মঞ্চে, একসঙ্গে বিক্ষোভ
  • ঠাকুরগাঁওয়ে একসঙ্গে তিন বন্ধুর বিয়ে, নিলেন না যৌতুক 
  • জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা—বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়: কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি