বান্দরবানে রিসোর্টের মালিক ও ব্যবস্থাপককে অপহরণের অভিযোগ
Published: 9th, December 2025 GMT
বান্দরবান শহরের নিকটবর্তী নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় একটি রিসোর্টের মালিক ও ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নীলাচল এলাকার মেঘদুয়ারি রিসোর্টের মালিক বাবু কর্মকার ও ম্যানেজার মোহাম্মদ অভিকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তাদের পরিবার।
অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র দল তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা এখন পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ দাবি করেনি। তবে, কিছু দিন ধরেই একটি গ্রুপ রিসোর্ট মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করছিল।
পুলিশ ও অপহৃত রিসোর্ট মালিকের ভাই রাজু কর্মকার জানিয়েছেন, বাবু কর্মকার ও ম্যানেজার মোহাম্মদ অভি একটি মোটরসাইকেলে করে রিসোর্ট এলাকা থেকে বান্দরবান শহরের দিকে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা তাদের পথ রোধ করে অপহরণ করে। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশের জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
অপহরণের খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। তবে, কারা এ অপহরণের সঙ্গে জড়িত এবং কী কারণে অপহরণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো.
ঢাকা/চাইমং/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন দরব ন অপহরণ র
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
সুন্দরবন থেকে সাত জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী খাল থেকে ডন বাহিনী পরিচয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। এই জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়েছে বলে জানান অন্য জেলেরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।
আরো পড়ুন:
সুন্দরবনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনে রাসপূজায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
সুন্দরবন থেকে ফেরত আসা জেলে ফজর আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে তিনদিন আগে অনুমতি (পাস) নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে যান জেলেরা। কাঁকড়া শিকারের জন্য তারা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিলেন।
গতকাল রবিবার সকাল ৮টার দিকে তিনটি নৌকায় ১০জন বন্দুকধারী জেলেদের ঘিরে ধরে। প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে নেয় তারা। চলে যাওয়ার সময় একটি নম্বর দিয়ে সেখানে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তিন দিনের মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত জেলেদের হাত-পা ভেঙে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, “বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রাল টিমের সদস্যরা সুন্দরবনের ভেতরে রয়েছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ