তরুণ নির্মাতা বন্ধন বিশ্বাসের নতুন সিনেমা ‘সিক্রেট’। এতে জুটি বাঁধছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস ও চিত্রনায়ক আদর আজাদ। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে জমকালো সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমাটির ঘোষণা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীরা। 

অপু বিশ্বাসের প্রশংসা করে নির্মাতা বন্ধন বিশ্বাস বলেন, “অপুর সঙ্গে এটি আমার তৃতীয় সিনেমা। দিদির সঙ্গে কাজ করে সবসময় এক ধরনের প্রশান্তি পাই। তিনি খুব হেল্পফুল একজন শিল্পী। গল্প শুনেই তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই সিনেমায় অপুর বিপরীতে থাকছেন দুজন নায়ক। আমাদের নতুন যাত্রার জন্য সবার দোয়া চাই।” 

আরো পড়ুন:

কীভাবে এই খবর ছড়াল, প্রশ্ন ইধিকার

শাকিব খানের যে পরামর্শ মেনে চলেন অপু বিশ্বাস

দুই বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, “দীর্ঘ বিরতির পর ‘সিক্রেট’-এ যুক্ত হলাম। আমার বিপরীতে দুজন সুদর্শন নায়ক কাজ করছেন, তাদের একজন আদর আজাদ পরীক্ষিত অভিনেতা। আরেকজন ছোট পর্দার পরিচিত মুখ, তার এটি প্রথম সিনেমা; আমরা তাকে স্বাগত জানাই। বন্ধন বিশ্বাসের সঙ্গে এটি আমার তৃতীয় কাজ। তিনি একজন পরীক্ষিত পরিচালক। সব মিলিয়ে আশা করছি, দর্শকদের জন্য ভালো একটি সিনেমা হবে।” 

প্রযোজককে ধন্যবাদ জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, “তিনি আমাদের বুলিং করেন—তবে পজিটিভলি! এখন সময়টা ভালো। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে হোক বা অন্য যেকোনো কারণে সিনেমা আবার ভালো জায়গায় ফিরছে। অনেক প্রযোজক শাকিব খান ছাড়া সিনেমা নির্মাণে আগ্রহ দেখান না। এমন সময়ে আদর আজাদ ও নতুন নায়ককে নিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করায় এমকে প্রোডাকশনকে ধন্যবাদ জানাই।” 

এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা পীযূস সেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটির প্রযোজকও তিনি।  

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে দাপুটে অবস্থান ধরে রেখেছেন অপু বিশ্বাস। অভিনয় করেছেন শতাধিক সিনেমায়; এর মধ্যে প্রায় ৮০টির নায়ক ছিলেন শাকিব খান। মান্না, অমিত হাসান, কাজী মারুফ, নিরব, বাপ্পী, সাইমন সাদিক, ইমন, জয় চৌধুরীসহ বহু নায়কের বিপরীতে কাজ করেছেন তিনি। 

অন্যদিকে, আদর আজাদ ‘ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম: দ্য আল্টিমেট ম্যান’ রিয়েলিটি শোর ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন। প্রথমে নাটক ও বিজ্ঞাপনে পথচলা শুরু করলেও কয়েক বছর ধরে নিয়মিত সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। নিশাত সালওয়া, পূজা চেরী ও শবনম বুবলীর বিপরীতে কাজ করে আলোচনায় এসেছেন এই নায়ক।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অপ ব শ ব স আদর আজ দ র ব পর ত ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প জুনিয়র

ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভকে সহায়তা করা থেকে সরে আসতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারের দোহায় এক সম্মেলনে রোববার এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র।

ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে দীর্ঘ এক ক্ষুব্ধ বক্তব্যে ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, ইউক্রেনের দুর্নীতিগ্রস্ত ধনীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন আর যুদ্ধ করার জন্য তাদেরই ফেলে গেছেন, যাদের ‘তারা চাষাভুষা বলে মনে করেন’।

ট্রাম্প জুনিয়রের তাঁর বাবার প্রশাসনে কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই। কিন্তু তিনি মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন) মুভমেন্টের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার এই মন্তব্য ইউক্রেনীয় সরকারের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের কিছু মানুষের অনীহাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া ট্রাম্প জুনিয়র এমন সময় এ মন্তব্য করেছেন, যখন ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকারী দল কিয়েভকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছেন। কারণ তিনি জানেন, যুদ্ধ শেষ হলে তিনি কখনোই কোনো নির্বাচনে জিততে পারবেন না। তিনি বলেন, জেলেনস্কি বামদের কাছে প্রায় দেবতার মতো। কিন্তু ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, রাশিয়ার চেয়ে ইউক্রেন অনেক বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান কাজা কালাসেরও কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প জুনিয়র। তিনি বলেন, ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞাগুলো কাজ করছে না। কারণ এটি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যা থেকে রাশিয়া যুদ্ধের খরচ চালাতে পারছে। তিনি ইউরোপীয় পরিকল্পনাটিকে এভাবে বর্ণনা করেন, ‘আমরা রাশিয়ার দেউলিয়া হওয়ার জন্য অপেক্ষা করব—এটা কোনো পরিকল্পনা হতে পারে না।’

ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, ২০২২ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের কাছে যাওয়ার সময় তিনি মাত্র তিনজন লোকের দেখা পেয়েছেন, যাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধকে গুরুত্বপূর্ণ ১০ ইস্যুর একটি বলে মনে করতেন। তিনি আরও বলেন, ভেনেজুয়েলার নৌকার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল নামক মাদক প্রবেশের ঝুঁকি বাড়ছে। ইউক্রেন বা রাশিয়ায় যা কিছু ঘটছে, তার চেয়েও এটি অনেক বেশি সুস্পষ্ট এবং দোরগোড়ায় হাজির হওয়া বিপদ।

তথ্যপ্রমাণ না দিয়েই ট্রাম্প জুনিয়র দাবি করেন, তিনি এই গ্রীষ্মে মোনাকোতে এক দিনেই দেখেছেন বুগাটি ও ফেরারির মতো বিলাসী গাড়িগুলোতে ৫০ শতাংশই ইউক্রেনীয় নম্বর প্লেট। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন যে ইউক্রেনে আয় করা অর্থে এসব হয়েছে?’

ট্রাম্প জুনিয়রের বাবা ইউক্রেনে শান্তি আনতে পারবেন দাবি করে নির্বাচনে লড়েছিলেন। তাঁর পক্ষে এখান থেকে সহজেই সরে যাওয়া সম্ভব কি না, জানতে চাইলে ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, হয়তো তিনি তা করবেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর বাবা এমন একজন রাজনীতিক, যাঁর বিষয়ে আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। তিনি অঙ্গীকার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে আর ‘চেকবুক হাতে বোকা সেজে থাকতে দেবেন না’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রমিক থেকে ‘বীজ সুলতান’ রফিক
  • ধুরন্ধর ঝড়: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
  • স্বপ্নের উড়াল যাত্রা, অস্ট্রেলিয়ার পথে রিশাদ
  • ‘ওয়ান বক্স পলিসিতে’ সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করবে জামায়াতসহ ৮ দল
  • রায়পুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে কুয়েতপ্রবাসী যুবক নিহত
  • প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা ও কৌশলে নতুন তালেবানের ভিন্ন এক শাসন
  • একাত্তরে জামায়াত নেতার বয়স ছিল ৪, বললেন, ‘আমিও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম’
  • একটি চিকেন রোল কেনা কীভাবে ইবাদত হতে পারে
  • ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প জুনিয়র