গাজীপুরে প্রকৃত আসামি বাইরে, ভাড়ায় যুবক কারাগারে
Published: 9th, December 2025 GMT
গাজীপুরে বন বিভাগের এক মামলায় অভিযুক্ত সাত্তার মিয়ার পরিবর্তে কারাগারে আছেন সাইফুল।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া বনবিভাগের রেঞ্জ অফিস। গত ৯ সেপ্টেম্বর এই এলাকার বন থেকে সরকারি গাছ কাটার সময় হাতেনাতে কয়েকজনকে আটক করেন বন কর্মকর্তারা। পরে দেশীয় অস্ত্রের মুখে কর্মকর্তারা পিছু হটলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করে বন বিভাগ।
আরো পড়ুন:
কুকুরছানা হত্যা: মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু
অবশেষে সৎকার হলো হিমাগারে থাকা ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ
এ মামলায় তিন মাস পর গত ৭ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দেন প্রধান আসামি সাত্তার মিয়া। অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক। অনুসন্ধান বলছে, যে সাত্তারের থাকার কথা কারাগারে, তিনি দিব্যি নিজ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
কালিয়াকৈর ফুলবাড়িয়া রেঞ্জের কাচিঘাটা বিট অফিসার শরিফ খান বলেন, ‘‘স্থানীয়দের অস্ত্রের মুখে আমরা অসহায়। তাই আলামত জব্দ করে ফিরে এসে মামলা দায়ের করি।’’
কালিয়াকৈরে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের তালচালা গ্রামে গেলে জানা যায়, সাত্তার বাড়িতে নেই। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাত্তার জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজে মাওনা এলাকায় অবস্থান করছেন। যদিও আদালতের নথি বলছে, এই মুহূর্তে তার গাজীপুর জেলা কারাগারে থাকার কথা। সাত্তার মিয়া যদি নিজ এলাকায় ঘুরে বেড়ান, তাহলে কারাগারে সাত্তার নামে যে বন্দিকে রাখা হয়েছে, তিনি আসলে কে? আর কিভাবে আদালত, পুলিশ, কারা কর্তৃপক্ষ সব পেরিয়ে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি বন্দি হয়ে গেলেন সাত্তার পরিচয়ে।
আশ্চর্যের বিষয়, কারাগারের নথিতেও বন্দির নাম সাত্তার। কিন্তু ছবি মেলাতে গেলেই ধরা পড়ে যায় আয়নাবাজি সিনেমার মতো কিছু ঘটেছে। জেলে থাকা ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় সাইফুল ইসলাম। তাহলে সাত্তার পরিচয়ে কীভাবে কারাগারে সাইফুল? জানতে চাইলে, আদালতকে অসঙ্গতির বিষয়টি জানিয়ে চিঠি পাঠান জেল সুপার।
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আসামি এন্ট্রি করার সময় তিনি তার নাম সাত্তার বলেছেন। তাই সন্দেহ করিনি। পরবর্তীতে জানার পর বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে জানতে পারি, তিনি আসলে সাত্তার না, সাইফুল। এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে আদালতে চিঠি দিয়ে অবগতি করেছি।’’
এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে বারবার যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি প্রকৃত আসামি সাত্তারের আইনজীবী শ্যামল সরকারের। যদিও ভুক্তভোগীর পরিবার স্বীকার করেছেন, ‘‘জামিন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রক্সি হাজিরা দেন সাইফুল।’’
সাত্তার পরিচয়ে কারাগারে থাকা সাইফুলের বাবা রহিম বাদশা বলেন, ‘‘আমার ছেলে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আমরা জানতাম, তিনি কারখানায় গিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারি, সাইফুল নাকি কারাগারে। আমার ছেলে টাকা নিয়ে এ সব করেছেন। বিষয়টির জন্য আমরাও অনুতপ্ত।’’
গাজীপুর কারাগার কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত এক মাসে এমন প্রক্সি হাজিরা ও জেল খাটার তিনটি ঘটনা শনাক্ত হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যেই কারণে মনির হোসেন কাসেমীকে শোকজ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসাইন কাসেমীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) জারি করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী স্বাক্ষরিত এ নোটিশে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অমান্যের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
শোকজে উল্লেখ করা হয়, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের খাস কমিটির বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উক্ত সিদ্ধান্তের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন সময়ে আপনার আপত্তিকর কিছু বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি সন্দেহাতীত ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এবং সেগুলো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিলও বটে। ইতিপূর্বে প্রাথমিক ভাবে যথাযথ সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় মৌখিক ভাবে আপনাকে সতর্কও করা হয়েছে, কিন্তু আপনার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে সংশোধন পরিলক্ষিত হয়নি, বরং পূর্বের ন্যায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন বক্তব্য আপনি দিয়েই যাচ্ছেন।
এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা? এ ব্যাপারে আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হল। এই নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ হতে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে আপনি দলের সভাপতি বরাবর জবাব দাখিল করবেন। এই সময়ের মধ্যে আপনার পক্ষ থেকে জবাব পাওয়া না গেলে কিংবা আপনার জবাবে দল সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তীতে আপনার বিরুদ্ধে যে কোন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত: সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপি নেত্রীকে বারবার ‘জাতির মা’ ও ’১৮ কোটি মানুষের মা’ সম্বোধন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতী মনির হোসাইন কাসেমী। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি থেকে ছাড় পাওয়ার তালিকায় থাকা জমিয়তের এই নেতা আগেও বিভিন্ন সময় বিএনপির প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে নানা বক্তব্য দিয়ে নিজ দলসহ অন্যান্য দলের কর্মীদের কাছে সমালোচিত হন। এবার তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিলো তার দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
নারায়ণগঞ্জ টাইমস সর্বশেষ জনপ্রিয় ১আরো পড়ুন
আনিসুল ইসলাম সানির শয্যাপাশে কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য সচিব রোকন
খালেদা জিয়া ও নুরুল ইসলাম সরদারের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও খাশি সাদকা
আনিসুল ইসলাম সানিকে দেখতে হাসপাতালে বিএনপি নেতা রাজীব
ডেঙ্গু আক্রান্ত সানিকে দেখতে হাসপাতালে সাখাওয়াত-বদুসহ নেতৃবৃন্দ
সানিকে দেখতে হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী
আনিসুল ইসলাম সানিকে দেখতে হাসপাতালে মামুন মাহমুদ
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মহানগর বিএনপির দোয়া
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মাসুদুজ্জামানের দোয়া
২৩১/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক (৬ষ্ঠ তলা, লিফটের ৫)
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবন, নারায়ণগঞ্জ
নির্বাহী সম্পাদক: মোশতাক আহমেদ (শাওন)
ফোন:+৮৮০১৯৩৩-৩৭৭৭২৪
ইমেইল : [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
© ২০২৫ | সকল স্বত্ব নারায়ণগঞ্জ টাইমস কর্তৃক সংরক্ষিত | উন্নয়নে ইমিথমেকারস.কম