তফসিল ঘোষণার পর দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন না করার আহ্বান
Published: 9th, December 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবি-দাওয়া আছে—তা নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
আসন্ন নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অ্যাসিড টেস্ট: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের ফিরিয়ে আনা সরকারের প্রধান লক্ষ্য: প্রেস সচিব
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনী নির্বাচনি পরিবেশ যাতে নিশ্চিত হয় সে লক্ষে কাজ করবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর প্রায় নয় লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই রেকর্ডসংখ্যক দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যে কোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে-এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা জানি, অনেকেরই ন্যায্য দাবি-দাওয়া রয়েছে। গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ সংগঠিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্দোলনকারীরা দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন। সরকার ন্যায্য দাবিতে সবসময়ই সাড়া দিয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে।”
তিনি বলেন, “আমরা আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবি-দাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না।”
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়: ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হওয়া যাবে না
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
সংক্ষিপ্ত উত্তর–প্রশ্ন
প্রশ্ন: ভূমিকম্পের সময় আমাদের কী করা উচিত?
উত্তর: ভূমিকম্পের সময় আমাদের পুরোপুরি শান্ত থাকতে হবে। আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করা যাবে না। বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। পাকা দালানে থাকলে বিমের পাশে দাঁড়াতে হবে।
প্রশ্ন: ‘সোমপুর মহাবিহার’ কী এবং এটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ‘সোমপুর মহাবিহার’ ২৪ মিটার উঁচু একটি গড়। এটি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত।
প্রশ্ন: নতুন শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে জনসম্পদকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়?
উত্তর: নতুন শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে আমাদের অতিরিক্ত জনসম্পদকে কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। যাতে তারা নতুন কোনো শিল্পের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। যেমন-যন্ত্রপাতি শিল্প।
প্রশ্ন: জনসংখ্যা সমস্যার সমাধানগুলো কী?
উত্তর: জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করতে নিচের বিষয়গুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন। যেমন—খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতার উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক ভারসাম্য।
প্রশ্ন: আবহাওয়া ও জলবায়ু কাকে বলে?
উত্তর: কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাতকে আবহাওয়া বলে।
কোনো স্থানের আবহাওয়া পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ধারাই জলবায়ু। জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা।
প্রশ্ন: পরিবেশের বিপর্যয়ে পৃথিবী কী ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে?
উত্তর: পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগুলো—
ক. বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
খ. তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় একদিকে বরফ গলে যাচ্ছে, অন্যদিকে জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের দুটি প্রভাব লেখ।
উত্তর: বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব—
১. গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২. অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি হচ্ছে।
প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষিজমি ও গাছপালার ওপর কী প্রভাব পড়ছে?
উত্তর: ১. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মাটির লবণাক্ততা বেড়ে কৃষিজমির ক্ষতি হচ্ছে।
২. গাছপালা ও বিভিন্ন প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: নদীভাঙনের মানবসৃষ্ট কারণ এবং এর ফলাফল সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: নদীভাঙনের মানবসৃষ্ট কারণগুলো—
১. নদী থেকে বালু উত্তোলন।
২. নদীতীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেলা।
নদীভাঙনের ফলে অনেক সময় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা?
উত্তর: বাংলাদেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চল অধিক ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল এবং দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চল তুলনামূলকভাবে কম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
রাবেয়া সুলতানা, িশক্ষক
বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা