টাকার বিনিময়ে কারাগারে যুবক, বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকৃত আসামি
Published: 9th, December 2025 GMT
‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের মূল চরিত্র শরাফত করিম আয়না (চঞ্চল চৌধুরী) টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে জেল খাটেন। এমন ঘটনা শুধু সিনেমায় নয়, বাস্তবে ঘটেছে গাজীপুরেও। সেখানে মাত্র ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটেছে এমন ঘটনা। বন বিভাগের করা এক মামলার আসামি সাত্তার মিয়া বাইরে অবাধে ঘুরে বেড়ালেও তাঁর পরিবর্তে কারাগারে গেছেন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
প্রকৃত আসামি সাত্তার মিয়ার (৪৫) বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার মোথাজুরী তালচালা গ্রামে। তাঁর পরিবর্তে কারাগারে যাওয়া সাইফুল ইসলামও (৩০) একই গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া রেঞ্জ এলাকার বন থেকে চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সরকারি গাছ কাটার সময় হাতেনাতে কয়েকজনকে আটক করেন বন কর্মকর্তারা। এ সময় বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে বন বিভাগ। এ ঘটনার তিন মাস পর গত ৭ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দেন প্রধান আসামি সাত্তার মিয়া। অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, যে সাত্তারের কারাগারে থাকার কথা তিনি নিজ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁর পরিবর্ততে জেল খাটছেন আরেকজন।
কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের তালচালা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে নেই সাত্তার। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কাজে মাওনায় অবস্থান করছেন। যদিও আদালতের নথি বলছে, এই মুহূর্তে তাঁর কারাগারে থাকার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর জেলা কারাগারে আসামি হিসেবে যিনি বন্দী আছেন, কারাগারের নথিতেও তাঁর নাম সাত্তার লেখা আছে। কিন্তু ছবি মেলাতে গেলেই ধরা পড়ে যায় ‘আয়নাবাজি’। জেলে থাকা ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় সাইফুল ইসলাম। তিনি সাত্তারের হয়ে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কারাগারে যান।
সাত্তারের পরিচয়ে কারাগারে থাকা সাইফুলের বাবা রহিম বাদশা বলেন, ‘জামিন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সাত্তারের পরিবর্তে হাজিরা দিতে গেছিল সাইফুল।’
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামি এন্ট্রি করার সময় সে তাঁর নাম সাত্তার বলেছে তাই সন্দেহ করিনি। পরে জানার পর বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে জানতে পারি, সে আসলে সাত্তার নয়; সাইফুল ইসলাম। বিষয়টি আমরা আদালতে চিঠি দিয়ে অবগতি করেছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর ব
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দিন অপেক্ষার পর চ্যাম্পিয়ন রংপুর
উদ্যাপনটা গতকালই সেরে রেখেছিলেন রংপুর বিভাগের ক্রিকেটাররা। জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উদ্যাপন। বগুড়ায় কাল তিন দিনের মধ্যেই খুলনা বিভাগকে হারিয়ে শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে রংপুর। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীরা শেষ রাউন্ডে বাজে খেলাতে আগাম উদ্যাপনও করেছিল রংপুর। তবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে শেষ রাউন্ড শুরু করা সিলেট বিভাগের ম্যাচটি শেষ না হওয়াতেই আনুষ্ঠানিকভাবে রংপুরকে চ্যাম্পিয়ন বলা যায়নি গতকাল।
সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো আজ বিকেলে ৪টা ২৬ মিনিটে। রাজশাহীতে সিলেট ও বরিশাল, দুই দলই ড্র মেনে নেয় ওই সময়। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় রংপুরই তিন মৌসুম পর আবার জাতীয় ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর। এবারের আগে ২০১৪-১৫ ও ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর। এবারে জাতীয় লিগ টি–টোয়েন্টিতেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর।
পয়েন্ট তালিকারংপুরকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হতে সিলেটের দরকার ছিল জয়, তবে তৃতীয় দিন শেষেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হতে অলৌকিক কিছুই করতে হবে দলটিকে। আজ সকালে বরিশাল একটু সুযোগ দিয়েছিল সিলেটকে। ৪ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশাল ৮ উইকেটে ২৯৪ রান ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে ৭৪ ওভারে ৩২০ রানের লক্ষ্য পায় সিলেট। ৬৯ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা সিলেট আর জেতার চেষ্টা করেনি। ৫৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয়।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন সিলেট এবার রানার্সআপ হয়েছে