বেগম রোকেয়া পদকে সম্মানিত ঋতুপর্ণা চাকমা
Published: 9th, December 2025 GMT
নারীর অধিকার ও অগ্রযাত্রার প্রতীক বেগম রোকেয়ার স্মরণে প্রতি বছর যে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়, সেই মর্যাদাপূর্ণ বেগম রোকেয়া পদক পেলেন দেশের নারী ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র ঋতুপর্ণা চাকমা। ক্রীড়া অঙ্গনে নারীদের দৃঢ় অবস্থান তৈরি ও নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করায় তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মান লাভ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড.
আরো পড়ুন:
‘নারী শাসিত পুরুষ’ বলায় আসিফকে নিয়ে ক্ষুব্ধ ওমর সানী
দেখে নিন ২০২৬ বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি
ফুটবলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করায় প্রিয় এই ফরোয়ার্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় সংস্থাটি লিখেছে, “নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়া ঋতুপর্ণা চাকমাকে আন্তরিক অভিনন্দন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৫’ আমাদের গর্বিত করেছে। স্বপ্ন থেকে সংগ্রাম, আর সংগ্রাম থেকে সাফল্যের পথে ঋতুপর্ণার যাত্রায় বাফুফে সবসময় তার পাশে আছে।”
বাংলাদেশ নারী ফুটবলের উত্থানে ঋতুপর্ণার অবদান অসামান্য। তার জোড়া গোলে শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। গত বছর তারই গোলের সুবাদে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জেতে লাল-সবুজের মেয়েরা।
ঋতুপর্ণার সঙ্গে আরও তিন নারী এ বছর সম্মাননা লাভ করেছেন। তারা হলেন-
রুভানা রাকিব (নারীশিক্ষা-গবেষণা),
কল্পনা আক্তার (নারী অধিকার-শ্রম অধিকার),
নাবিলা ইদ্রিস (মানবাধিকার)।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব গম র ক য় ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানের রুমায় জঙ্গলে বম যুবকের লাশ, মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন
বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ময়ূরপাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে লালরাম সাং বম (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে উদ্ধার করা লাশটি আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের (বিএমসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে ময়ূরপাড়ার উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে লাশটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তিন থেকে চার দিন আগে তাঁকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশে পচন ধরেছে।
স্থানীয় বম জনগোষ্ঠীর লোকজন লাশটি লালরাম সাং বমের বলে শনাক্ত করেন। তাঁর বাড়ি রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের কেওক্রাডং পাহাড় পেরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা চুংসংপাড়ায়। চুংসংপাড়া থেকে ময়ূরপাড়ার দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। স্থানীয় লোকজন জানান, লালরাম সাং বম ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, লাশের মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দ্দী বলেন, স্থানীয় লোকজনের সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় গলিত লাশটি উদ্ধার করে। শনাক্তের পর চুংসংপাড়ায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওই এলাকায় মুঠোফোন নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কে বা কারা এবং কেন তাঁকে হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।