গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক রাতে দুইটি এজেন্ট ব্যাংকসহ চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের চারটি স্বাক্ষরিত ১৪ লাখ টাকার চেক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নগদ ২৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াপদা হাটবাজারে সিটি ব্যাংক এজেন্ট, ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট, নাদিরা ইলেক্ট্রনিক্স ও মেসার্স ফারিয়া এন্টারপ্রাইজে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক মো.

মামুন বলেন, ‘‘গভীর রাতে ওই বাজারে একটা পিকআপ এসেছিল। পিকআপের লোকজন বাজারে চাকা মেরামত করছিল। পরে সুযোগ বুঝে চক্রটি সাটারের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাংকের ১৪ লাখ টাকার চেক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নগদ ২৫ লাখ  টাকার মালামল চুরি করে পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।’’

সিটি ব্যাংকের এজেন্ট সঞ্জিত হালদার বলেন, ‘‘আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মোবাইল কার্ড এবং ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ চুরি হয়ে গেছে।’’

ফারিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার দোকানে থাকা ১৪ লাখ টাকার স্বাক্ষরিত ব্যাংকের চেকসহ নগদ অর্থ চুরি হয়েছে।’’

ওয়াবদারহাট বাজারে দায়িত্বে থাকা নৈশপ্রহরী সমর আলী বলেন, ‘‘গভীর রাতে বাজারে একটা পিকআপ এসেছিল। পিকআপ আসার পরে পিকাপে থাকা লোকজন পিকআপটির চাকা মেরামত করছিল। আমি ভেবেছি, পিকআপটি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ আমি ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর কী হয়েছে আমি বলতে পারব না।’’

ওয়াবদারহাট বণিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম মহিন বলেন, ‘‘বাজারে নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও চুরির ঘটনাটি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশাকরি প্রশাসন তদন্ত করে দ্রুত প্রকৃত চোরদের আইনের আওতায় আনবে।’’

ঢাকা/বাদল//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস প কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানের রুমায় জঙ্গলে বম যুবকের লাশ, মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন

বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ময়ূরপাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে লালরাম সাং বম (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে উদ্ধার করা লাশটি আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের (বিএমসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে ময়ূরপাড়ার উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে লাশটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তিন থেকে চার দিন আগে তাঁকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশে পচন ধরেছে।

স্থানীয় বম জনগোষ্ঠীর লোকজন লাশটি লালরাম সাং বমের বলে শনাক্ত করেন। তাঁর বাড়ি রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের কেওক্রাডং পাহাড় পেরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা চুংসংপাড়ায়। চুংসংপাড়া থেকে ময়ূরপাড়ার দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। স্থানীয় লোকজন জানান, লালরাম সাং বম ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, লাশের মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দ্দী বলেন, স্থানীয় লোকজনের সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় গলিত লাশটি উদ্ধার করে। শনাক্তের পর চুংসংপাড়ায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওই এলাকায় মুঠোফোন নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কে বা কারা এবং কেন তাঁকে হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ