অন্তর্ভুক্তিমূলক পুষ্টি কর্মসূচি নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) বাংলাদেশে হেড অব প্রোগ্রামস পদে জনবল নিয়োগ দেবে। দুই বছর মেয়াদি এই চুক্তিভিত্তিক পদে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বছরে ৩৬ লাখ ৭ হাজার থেকে ৪১ লাখ ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে।

 কী কাজ করতে হবে

 নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি গেইন–এর বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্প পরিচালনা, পরিকল্পনা, বাজেট তদারকি, অংশীদার নির্বাচন ও টিম ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন। পুষ্টিবিষয়ক উদ্যোগগুলো সময়মতো ও মানসম্মতভাবে বাস্তবায়ন করাই হবে মূল কাজ।

যোগ্যতা

 আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় সিনিয়র পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ফুড সিস্টেম, পুষ্টি, কৃষি বা বেসরকারি খাতে প্রকল্প পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অর্থনীতি, ফুড সিস্টেম বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক।

আরও পড়ুননর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই–এ চাকরি, পদ ১৩৭ ১০ ঘণ্টা আগে

সুবিধা

 আকর্ষণীয় বেতনের পাশাপাশি বার্ষিক ছুটি, বিমা, পেনশন ও পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। পদটি ঢাকাভিত্তিক। বাংলাদেশে বসবাস ও কাজের বৈধ অধিকার থাকতে হবে।

 আবেদনের শেষ তারিখ

 ২২ ডিসেম্বর ২০২৫।

 বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুনদুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ১৮৮০৮ ডিসেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনথানা শিক্ষা অফিসার পদে ৮৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তফসিলের পর অনুমতি ছাড়া সমাবেশ–আন্দোলন করলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন সমাবেশ, আন্দোলন করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সতর্ক করে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যে কোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়- এটিই বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা যা করণীয় সরকার সেই দিকেই মনোনিবেশ করছে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনী নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর প্রায় নয় লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদনহীন সভা–সমাবেশ ও আন্দোলন নিয়ে সতর্ক করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অনেকেরই নায্য দাবি-দাওয়া রয়েছে। গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ সংঘটিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্দোলনকারীরা দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন। সরকার নায্য দাবিতে সব সময়ই সাড়া দিয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে।

‘কিন্তু আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে সকলের যা কিছু দাবি-দাওয়া আছে তা নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আমরা আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবি-দাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ