বিশ্ববাজারে এক সপ্তাহে দ্বিগুণ বেড়েছে ডিডিআর৪ ও ডিডিআর৫ র্যামের দাম
Published: 9th, December 2025 GMT
বিশ্ববাজারে কম্পিউটার মেমোরি বা র্যামের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। বছরের শেষ সময়ে এসে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই একলাফে আকাশচুম্বী হয়েছে ডিডিআর৪ ও ডিডিআর৫ র্যামের দাম। সম্প্রতি প্রকাশিত র্যামের বৈশ্বিক বাজারদরের একটি গ্রাফ বিশ্লেষণ করে এই ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত র্যামের দাম মোটামুটি সহনশীল ও স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে হঠাৎ করে র্যামের দাম বেড়ে গেছে। ১৬ গিগাবাইটের ৫৬০০ মেগাহার্টজের ডিডিআর৫ ইউ-ডিম র্যামের দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে ৪০ দশমিক ৬ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা) আশপাশে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে হঠাৎ করে তা একলাফে বেড়ে ৮৫ ডলারে (১০ হাজার টাকার বেশি) পৌঁছেছে। অর্থাৎ মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
ডিডিআর৪ র্যামের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ৮ গিগাবাইটের দুটি স্টিক বা ১৬ গিগাবাইট কিটের (৩২০০ মেগাহার্টজ) দাম নভেম্বরের শেষে যেখানে ৪৮ ডলার ছিল, তা ডিসেম্বরের শুরুতে বেড়ে ৬৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ফলে ডিডিআর৪ র্যামের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে আট হাজার টাকা বেড়েছে।
বিপণন ও জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ এবং কর্সেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তা ফায়সাল খান আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে র্যামের দাম আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই বেড়ে গেছে, যার ফলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা আগে থেকে সংরক্ষণ করতে পারেনি। ফলে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে র্যামের দাম তিন গুণ বেড়েছে। আর তাই ডিডিআর৫ ১৬ গিগাবাইটের যে র্যাম আগে ৭ হাজার থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যেত, তা ২০ হাজার টাকার আশপাশে কিনতে হচ্ছে। দুই–তিন দিনের মধ্যে ডিডিআর৪ র্যামের দামও দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে।’
প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের মতে, চিপ–সংকটের আশঙ্কা কিংবা বছরের শেষ সময়ে সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাতের কারণে এই কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই দাম বাড়ার ফলে শিগগিরই এর নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারেও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব জ র গ গ ব ইট ম বর র শ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণি ছাত্র সামির ইসলাম নিপু (১৪)কে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ব্যাপারে আহত স্কুল ছাত্রের পিতা শহিদ মিয়া বাদী হয়ে গত সোমবার দুপুরে হামলাকারি টুটুল ও সিয়ামসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নং- ৯(১২)২৫।
এর আগে গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় বন্দর থানার শাহী মসজিদস্থ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত হামলাকারিদের গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ।
মামলা ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দক্ষিন শাহীমসজিদ এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে সামির ইসলাম নিপু (১৪) বন্দর বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছে।
এ সুবাদে বন্দর রাজবাড়ী এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে টুটুল ও বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সিয়াম বাদী ছেলের পূর্ব পরিচিত। বাদী ছেলে সামির ইসলাম নিপুস্কুলে যাওয়া আসার পথে বিবাদী টুটুল ও সিয়াম বিভিন্ন সময় উল্লেখিত বিবাদীগন বিভিন্ন দলীয় মিটিং মিছিলে যাওয়ার/জন্য বলিত।
বাদী ছেলে মিছিল মিটিংয়ে যাইতে না চাইলে বিবাদীদ্বয় বিভিন্ন সময় বাদী ছেলেকে মারপিটসহ হুমকি প্রদান করিত।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে অনুমান পৌনে ২টায় বাদী ছেলে ও তাহার বন্ধু আবু রায়হান (১৫) পরীক্ষা শেষে বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ হইতে বাসায় আসার পথে বন্দর থানাধীন শাহী মসজিদ সাকিনস্থ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে পৌছামাত্র বিবাদীগন পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া বেআইনি জনতাবদ্ধে একত্রিত হইয়া পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাদী ছেলের পথরোধ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।
বাদী ছেলে বিবাদীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে বিবাদীগন উল্লেখিত ছাত্র সামির ইসলাম নিপুকে এলোপাতারী কিল ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। পরে ২নং বিবাদীর হুকুমে ১ নং বিবাদী তাহার পকেট হইতে ধারালো অস্ত্র বাহির ‘ করিয়া বাদী ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখমন্ডলের ডান পাশে কপাল হইতে গাল পর্যন্ত পোচ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
আহতের ডাক চিৎকারে তার বন্ধু আবু রায়হান (১৫) বাচাতে এগিয়ে আসলে সকল বিবাদীগন বাদীর ছেলের বন্ধুকে এলোপাতারী চড় থাপ্পর মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারের আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন বাদীর ছেলেকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উপস্থিত লোকজন আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। পরে আহতকে আশংকাজনক অবস্থায় খানপুর হাসপাতালে রেফার্ড করে।