বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণি ছাত্র সামির ইসলাম নিপু (১৪)কে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। 

এ ব্যাপারে আহত স্কুল ছাত্রের পিতা শহিদ মিয়া বাদী হয়ে গত সোমবার দুপুরে হামলাকারি টুটুল ও সিয়ামসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নং- ৯(১২)২৫। 

এর আগে  গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় বন্দর থানার শাহী মসজিদস্থ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত হামলাকারিদের গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ।

মামলা ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দক্ষিন শাহীমসজিদ এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে সামির ইসলাম নিপু (১৪) বন্দর বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছে। 

এ সুবাদে বন্দর রাজবাড়ী এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে টুটুল  ও বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সিয়াম বাদী ছেলের পূর্ব পরিচিত। বাদী ছেলে সামির ইসলাম নিপুস্কুলে যাওয়া আসার পথে বিবাদী টুটুল ও সিয়াম বিভিন্ন সময় উল্লেখিত বিবাদীগন বিভিন্ন দলীয় মিটিং মিছিলে যাওয়ার/জন্য বলিত। 

বাদী ছেলে মিছিল মিটিংয়ে যাইতে না চাইলে বিবাদীদ্বয় বিভিন্ন সময় বাদী ছেলেকে মারপিটসহ হুমকি প্রদান করিত।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার  (৭ ডিসেম্বর)  দুপুর পৌনে  অনুমান পৌনে ২টায় বাদী  ছেলে ও তাহার বন্ধু আবু রায়হান (১৫) পরীক্ষা শেষে বি এম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ হইতে বাসায় আসার পথে বন্দর থানাধীন শাহী মসজিদ সাকিনস্থ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে পৌছামাত্র বিবাদীগন পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া বেআইনি জনতাবদ্ধে একত্রিত হইয়া পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাদী ছেলের পথরোধ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। 

বাদী ছেলে বিবাদীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে বিবাদীগন উল্লেখিত ছাত্র সামির ইসলাম নিপুকে  এলোপাতারী কিল ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। পরে ২নং বিবাদীর হুকুমে ১ নং বিবাদী তাহার পকেট হইতে ধারালো অস্ত্র বাহির ‘ করিয়া বাদী ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখমন্ডলের ডান পাশে কপাল হইতে গাল পর্যন্ত পোচ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। 

আহতের ডাক চিৎকারে তার বন্ধু আবু রায়হান (১৫)  বাচাতে এগিয়ে আসলে সকল বিবাদীগন বাদীর ছেলের বন্ধুকে এলোপাতারী চড় থাপ্পর মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারের আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন বাদীর ছেলেকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। 

উপস্থিত লোকজন আহতদের  উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। পরে আহতকে আশংকাজনক অবস্থায়  খানপুর হাসপাতালে রেফার্ড করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ম মল ন র য়ণগঞ জ স ম র ইসল ম ন প মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী সলিমখাঁর বাড়ি এখন মাদকের আখড়া

সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সলিমখাঁর বাড়িটি এখন রীতিমতো মাদকের একটি কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, শীর্ষ মাদক ডিলার কানা আক্তার ও তার বাহিনী এই বাড়িটিকে মাদকের পাইকারি ও খুচরা বিক্রির আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে। সন্ধ্যা নামলেই এখানে মাদকের প্রকাশ্য হাট বসে এবং রাতভর চলে মাদক কারবারিদের আনাগোনা।

কদমতলী এলাকাটি স্কুল, কলেজসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুব কাছেই অবস্থিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রকাশ্য মাদক বিক্রির কারণে এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা মাদকের দিকে ঝুঁকছে। এই যুব সমাজকে রক্ষা করা এখনই জরুরি।

জানা যায়, চিহ্নিত মাদক ডিলার কানা আক্তার এবং তার বাহিনীর সদস্য জলিল, আনুর ছেলে আলামিন, চুন্নুর ছেলে সুমন, বাবু, ও নয়নসহ অন্যান্যরা সরাসরি মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত।

আক্ষেপের সুরে সুজন ছদ্মনামের এক ব্যক্তি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও র‌্যাব কার্যালয় একেবারে নাকের ডগায় থাকা সত্ত্বেও এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানা পুলিশ মাদক নির্মূলের বড় বড় কথা বললেও এই কানা আক্তারের রমরমা ব্যবসা বন্ধ করতে পারছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ মাঝে মধ্যে দু-একজনকে আটক করলেও অর্থের বিনিময়ে দ্রুতই ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ, গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে থানার দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা কানা আক্তারের অন্যতম সহযোগী জলিলকে আটক করার পরও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ করেন সুজন।

এই যদি হয় পুলিশের কাজ, তাহলে সমাজের মানুষ তাদের কাছে কী নিরাপত্তা আশা করতে পারে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, সলিমখাঁকে একাধিকবার তার বাড়িতে মাদকের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে জানানো হলেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি মাদক কারবারিদের আশ্রয়দাতা হিসেবে কাজ করছেন।

এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীরা জোর দাবি জানিয়েছেন যে, অবিলম্বে মাদক ডিলার কানা আক্তার এবং তার সহযোগী ও আশশ্রদাতা সলিমখাঁসহ সকল মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি শাস্তির আওতায় আনা হোক।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ