বন্দরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ডিস মনির গ্রেপ্তার
Published: 9th, December 2025 GMT
বন্দরে মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে ডিস মনির (৫২)’কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ধৃত মনির হোসেন ওরফে ডিস মনির বন্দর থানার হরিপুর এলাকার আঃ করিম মাতুব্বর’র ছেলে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬ টায় জেলার বন্দর থানাধীন হরিপুর এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত সাঁজাপ্রাপ্ত আসামীকে একই দিন দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প এর কোম্পানী কমান্ডার উপ-পরিচালক পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুর রশিদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
র্যাব আরো জানায়, স্থানীয় সূত্র এবং মিডিয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন হরিপুর এলাকার আঃ করিম এর ছেলে মোঃ মনির হোসেন (৫৩) কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক মামলাসহ চুরি, প্রতারণা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে আরও ১০ টি মামলা রয়েছে ।
সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে এবং তার অন্যান্য মাদক সহযোগীর মাধ্যমে বন্দর থানাসহ দেশের বিভিন্ন যায়গায় মাদক ক্রয় বিক্রয় করে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংশ করে আসছে।
মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অসামাজিক কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ৩ টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত, প্রায় ১০ টি মামলার আসামী। তার এই অসামাজিক কর্মকান্ড জনমনে আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে যা বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হলে সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
এরই প্রেক্ষিতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জের আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে জাল ডালার বিক্রির ছড়াছড়ি
নারায়ণগঞ্জ জেলায় বেশ কিছুদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে ডলার, রিয়েল, পাউন্ড সহ সব ধরনের বিদেশি মুদ্রার জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছে বলে শোনা গেলেও গত সপ্তাহে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জে বৈধ মানি এক্সচেঞ্জের সংখ্যা ৪টি থাকলেও বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির নামে চলছে অবৈধ ভাবে এই জাল ডলার বেচা বিক্রি । ধনি এই জেলার মানুষের হজ্জ ওমরাহ সহ বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী কাজে বিদেশ যেতে হয় তখন বিদেশী মুদ্রার প্রয়োজন হয় আর এই সুযোগে ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে এই জাল ডলার, রিয়েল , পাউন্ড, লেনদেন করে অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রতারক চক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মানি এক্সচেঞ্জে মালিক জানায়, নারায়ণগঞ্জে বৈধ মানি এক্সচেঞ্জের সংখ্যা চারটি কিন্তু একদল প্রতারকচক্র বিভিন্ন ভাবে মানুষের কাছ থেকে ডলার রিয়েল সহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় করে থাকে জা আইনত অপরাধ। তবে বিদেশ ফেরত ও বিদেশ গমনকারীদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা যখনই বিদেশি মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় করবেন নারায়ণগঞ্জে যে চারটি মানি এক্সচেঞ্জে রয়েছে তাদের কাছ থেকে নিবেন।
আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে এই প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হউক।