প্রতিটি অর্ধেই বাধ্যতামূলক পানি পানের বিরতি
Published: 9th, December 2025 GMT
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো জুড়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। প্রচণ্ড গরমের আশঙ্কায় খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সামনে রেখে টুর্নামেন্টটিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নিয়ম। প্রতিটি ম্যাচের দুই অর্ধেই নির্দিষ্ট সময়ে থাকবে তিন মিনিটের বাধ্যতামূলক ‘হাইড্রেশন ব্রেক’ বা পানি পানের বিরতি।
ফিফা জানিয়েছে, প্রতি অর্ধের ২২তম মিনিটে খেলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যাবে তিন মিনিটের জন্য। মাঠে যে আবহাওয়া-পরিস্থিতিই থাকুক না কেন; গরম, শীত, ইনডোর ভেন্যু কিংবা খোলা আকাশ। বিরতি হবে নিয়মিতভাবেই। ফলে ম্যাচগুলো কার্যত চারটি ছোট ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন:
বেগম রোকেয়া পদকে সম্মানিত ঋতুপর্ণা চাকমা
‘নারী শাসিত পুরুষ’ বলায় আসিফকে নিয়ে ক্ষুব্ধ ওমর সানী
টুর্নামেন্টের প্রধান কর্মকর্তা মানলো জুবিরিয়া বলেন, “যেখানেই ম্যাচ হোক, আকাশে মেঘ থাকুক বা রোদ ঝলমল, হাইড্রেশন ব্রেক থাকবে বাধ্যতামূলক। তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করছে না।”
এর আগে ক্লাব বিশ্বকাপসহ কিছু প্রতিযোগিতায় চরম গরমের সময় নিয়মটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে সেটা ছিল পরিস্থিতিনির্ভর। যেমন- ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করলে বিরতি দেওয়া হতো। ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নিয়মটি স্থায়ীভাবে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে।
তীব্র গরমে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বহু খেলোয়াড় অভিযোগ তুলেছিলেন। বেনফিকার তরুণ ফরোয়ার্ড আন্দ্রেস শেলডারাপ এক ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, “এত গরমে আমি কখনো খেলিনি। শরীরের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এটা একদমই স্বাস্থ্যকর নয়।”
চেলসির এনজো ফের্নান্দেজও একই সুরে বলেন, “একদিন মাথা ঘুরছিল, মাঠেই বসে পড়েছিলাম। এমন আবহাওয়ায় খেলা সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ।”
ফিফা জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই কোচ ও সম্প্রচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আগামী ১১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। পূর্ণাঙ্গ সূচি ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন এই নিয়ম যুক্ত হওয়ায় টুর্নামেন্টে গতি, কৌশল ও পরিকল্পনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ ফ ব শ বক প ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকে ই–নথি চালু হলো
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে ইলেকট্রনিক নথি (ই-নথি) পদ্ধতি চালু করেছে। আজ মঙ্গলবার সংস্থাটি ই-ডেস্ক সিস্টেমের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, ই-ডেস্ক সিস্টেম উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন যুগে প্রবেশ করছে। গতানুগতিক নোটিং সিস্টেমের বাইরে এখন থেকে অনলাইনভিত্তিক নোটিং সিস্টেম চালু হবে। শুরুতে শুধু প্রধান কার্যালয়ে এই সিস্টেমটি চালু করা হচ্ছে, যা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসে চালু করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ-১ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা যৌথভাবে এই পদ্ধতিটি তৈরি করেছেন। ১০ ডিসেম্বর থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে পরিচালক পর্যায় পর্যন্ত নিষ্পত্তিযোগ্য সব নোটিং ই-ডেস্কের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে সব পর্যায়ে নিষ্পত্তিযোগ্য নোটিং ই-ডেস্কের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।