গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে মুখে লাগাম দিয়ে কথা বলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল কবির মুকুল। 

রাশেদ খানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘ঝিনাইদহে এই লোককে আগে কোনো দিন দেখা যায়নি। এখন সে বড় বড় কথা বলছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির যেসব নেতা লড়াই সংগ্রাম করেছে, রাশেদ খান তাদেরকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ কথা বলছে।’’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের হামদহ এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শেষে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে এনামুল কবির মুকুল এ সব কথা বলেন।

ভিডিও বক্তব্যে তিনি রাশেদ খানকে ভুঁইফোড় ও নব্য ফ্যাসিবাদী উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আপনি রাজনীতি করবেন, ভালো কথা। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, আপনি বিএনপির স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বাজে ভাষায় কথা বলে বেড়াচ্ছেন। এভাবে হিংসাত্মক আচরণ ও হেডমগিরি দেখালে বিএনপির নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না।’’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের নেতারা যে ভাষায় কথা বলতো, রাশেদ খান এখন সেই ভাষায় কথা বলছে। ৫শ নেতাকর্মী নেই তার, কিন্তু হুঙ্কার বাঘের মতো! ভুঁইফোড় নেতা হয়ে রাশেদ খান ঝিনাইদহের বিএনপি নেতাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন। আমি তাকে অনুরোধ করব, আপনি এসব ছাড়ুন।’’

এর আগে সন্ধ্যায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপ্পু, যুগ্ম সম্পাদক মো.

শাহজাহান আলী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন হাওলাদারসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

ঢাকা/সোহাগ// 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ত কর ম ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজার ‘হলুদ রেখা’ থেকে সরবে না সেনা, এটিই নতুন সীমান্ত: ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে উপত্যকাটিতে নির্দিষ্ট সীমারেখা বরাবর সেনা সদস্যের সরিয়ে নিয়েছিল ইসরায়েল। ওই সীমারেখাকে বলা হয় ‘ইয়েলো লাইন’ বা ‘হলুদ রেখা’। এখন ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, যুদ্ধবিরতির পরের ধাপগুলোয় ওই সীমারেখা থেকে আর পিছিয়ে যাবে না তারা। এটিই হবে গাজা ও ইসরায়েলের ‘নতুন সীমান্ত’।

সম্প্রতি গাজায় মোতায়েন করা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির। হলুদ রেখা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের আর পিছিয়ে না নেওয়ার অর্থ হলো, গাজার অর্ধেকের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইসরায়েলের। এর মধ্যে গাজার অনেক কৃষিজমি ও মিসরের সঙ্গে উপত্যকাটির রাফার সীমান্ত ক্রসিং রয়েছে।

ইয়াল জামির ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন উত্তর গাজায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘হলুদ রেখা হবে (ইসরায়েলের) নতুন সীমান্ত। এটি আমাদের সম্মুখ প্রতিরক্ষা রেখা হিসেবে কাজ করবে। এই রেখা বরাবর আমাদের অভিযান কার্যক্রম চলবে। গাজার বড় অংশে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা এই প্রতিরক্ষা রেখা থেকে সরব না।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির

সম্পর্কিত নিবন্ধ