ফরিদপুরে নতুন কমিটি থেকে এনসিপি নেতার পদত্যাগ
Published: 9th, December 2025 GMT
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্যঘোষিত জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রনি মোল্যা (২৯) পদত্যাগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
রনি মোল্যা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের সন্তোষী গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে এনসিপি ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। কমিটিতে রনি মোল্যাকে ৬ নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিল। আজ দুপুরে জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের কাছে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ ঘটনায় দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে ‘ব্যক্তিগত’ উল্লেখ করেছেন, তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ভিন্ন কারণ।
রনি মোল্যা প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান থেকে আমি মাঠে সক্রিয়। এনসিপির ফরিদপুর সাংগঠনিক কমিটিতে আমি ছিলাম। নগরকান্দা উপজেলায় এনসিপিকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করেছি। গতকাল রাতে হঠাৎ করেই দেখলাম, এনসিপির কমিটি এবং সেখানে আমাকে ৬ নম্বর সদস্য করা হয়েছে। আমি কিছুই জানি না। আমার কাছে না শুনেই আমাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে—এ কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।’
এ বিষয়ে এনসিপির ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সাইফ হাসান খান বলেন, ‘আমরা রনির পদত্যাগপত্র এখনো হাতে পাইনি, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। গণতান্ত্রিক পন্থায় যে কেউ দল থেকে পদত্যাগ করতেই পারেন। তবে তাঁকে না জানিয়ে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে—এ দাবি সঠিক নয়। কারণ, এই কমিটি ঘোষণার আগে আমাদের কয়েকবার সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। হতে পারে তিনি হয়তো তাঁর কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি বলে এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দলটির ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে হাসিবুর রহমান অপু ঠাকুরকে আহ্বায়ক ও সাইফ হাসান খানকে সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটি অনুমোদনে স্বাক্ষর করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় দুই নেতা—মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ফরিদপুর জেলা কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব এনস প র র সদস য পদত য গ ক কম ট কম ট ত
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে নতুন কমিটি থেকে এনসিপি নেতার পদত্যাগ
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্যঘোষিত জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রনি মোল্যা (২৯) পদত্যাগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
রনি মোল্যা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের সন্তোষী গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে এনসিপি ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। কমিটিতে রনি মোল্যাকে ৬ নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিল। আজ দুপুরে জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের কাছে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ ঘটনায় দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে ‘ব্যক্তিগত’ উল্লেখ করেছেন, তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ভিন্ন কারণ।
রনি মোল্যা প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান থেকে আমি মাঠে সক্রিয়। এনসিপির ফরিদপুর সাংগঠনিক কমিটিতে আমি ছিলাম। নগরকান্দা উপজেলায় এনসিপিকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করেছি। গতকাল রাতে হঠাৎ করেই দেখলাম, এনসিপির কমিটি এবং সেখানে আমাকে ৬ নম্বর সদস্য করা হয়েছে। আমি কিছুই জানি না। আমার কাছে না শুনেই আমাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে—এ কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।’
এ বিষয়ে এনসিপির ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সাইফ হাসান খান বলেন, ‘আমরা রনির পদত্যাগপত্র এখনো হাতে পাইনি, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। গণতান্ত্রিক পন্থায় যে কেউ দল থেকে পদত্যাগ করতেই পারেন। তবে তাঁকে না জানিয়ে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে—এ দাবি সঠিক নয়। কারণ, এই কমিটি ঘোষণার আগে আমাদের কয়েকবার সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। হতে পারে তিনি হয়তো তাঁর কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি বলে এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দলটির ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে হাসিবুর রহমান অপু ঠাকুরকে আহ্বায়ক ও সাইফ হাসান খানকে সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটি অনুমোদনে স্বাক্ষর করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় দুই নেতা—মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ফরিদপুর জেলা কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।