দুর্ঘটনায় আহত চবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
Published: 9th, December 2025 GMT
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়।
আরো পড়ুন:
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের রাতভর সড়কে অবস্থানের সিদ্ধান্ত
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
গত ৬ ডিসেম্বর হাটহাজারী সড়কে চাঁদের গাড়ির সঙ্গে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহন হন আরিফ ও তার চাচা এমরান হোসেন চৌধুরী। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এমরান। আহত আরিফ হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
চবি ছাত্রদলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আরিফকে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যেতে থাকে। সর্বশেষ তাকে আজকে (৯ ডিসেম্বর) এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে চমেকে স্থানান্তর করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “আরিফ একজন ভালো ছেলে ছিলেন। দলীয় সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সে ও তার চাচা হাটহাজারী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এমরান হোসেন মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এমরান হোসেন ওই দিনই মারা যান এবং আরিফকে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউ নেওয়া হয়। আজ (মঙ্গলবার) তাকে পুনরায় চমেকে নেওয়া হলে আমরা তার মৃত্যুর খবর পাই।”
ঢাকা/মিজান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল দ র ঘটন ছ ত রদল এমর ন অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের আগে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’-এর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই অভিযোগ তোলেন প্যানেলটির প্রার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের হলের শিক্ষার্থীদের গত রোববার কেরানীগঞ্জের শ্যামল বাংলা রিসোর্টে নিয়ে যান ছাত্রশিবিরের নেতারা। সেখানে সারা দিন অবস্থানের পর সন্ধ্যায় তাঁরা হলে ফেরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে রিসোর্টে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। বিশেষত জকসু নির্বাচনের সময়ে এমন আচরণবিধি লঙ্ঘনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি, অসন্তোষ ও বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী কিশোয়ার সাম্য বলেন, ‘ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল একের পর এক নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার পরও কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে চাই। নির্বাচনী আচরণবিধি মানার বিষয়ে যদি প্রার্থীদের কোনো দায়দায়িত্বই না থাকে, তাহলে এই বিধি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কী?’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। আচরণবিধি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের ভেতরে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ নেই। আমরা ক্যাম্পাসের ভেতরে কোনো প্রোগ্রাম করিনি। ক্যাম্পাসের বাইরের অনুষ্ঠান পরিচালনা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার পর্যায়ে পড়ে না।’
এ বিষয়ে জকসুর নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবগত নই। কোনো অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আজকে ডোপ টেস্টের বিষয়ে সবাই ঢাকা মেডিকেলে ছিল। এদিকে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ পাওয়ার খবর আসেনি।’