জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলতে থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার এম এম আসাদুল্লাহর বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম। তিনি জানান, দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক সাইদুল ইসলাম নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, টেলিটকের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার এম এম আসাদুল্লাহর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, আসাদুল্লাহ ইতিমধ্যে অননুমোদিত উপায়ে একাধিক দেশ ভ্রমণ করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন মর্মে জানা গেছে। অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালাতে পারেন বলে জানা গেছে। এতে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আস দ ল ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীসহ বিপ্লব কুমার সরকারের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান থাকায় ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও তাঁর স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে বিপ্লব কুমারের ভাই প্রণব কুমার সরকার ও হোসনেয়ারা বেগমের বোন শাহানারা বেগমের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো আবদুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিজীবী হয়ে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা আয়ের উৎস আড়াল করে নিজ নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে মোট ৩৪১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৩০ কোটি ৭২ লাখ টাকা জমা ও ৩০ কোটি ১৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন। নামে-বেনামে সম্পত্তি ক্রয়সহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব কুমার সরকার ও অভিযোগসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া জরুরি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্ত্রীসহ বিপ্লব কুমার সরকারের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা