2025-12-09@08:09:43 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6
«ঘ সফড়»:
ভূমিকাদারুণ মেধাবী ছাত্রী ছিলেন মার্কিন কবি সিলভিয়া প্লাথ। ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিতে পড়তে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই টেড হিউজেসের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। দিনটি ছিল ১৯৫৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। ফ্যালকন ইন পান্থশালা। সাহিত্যের অনুষ্ঠান। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষ করে টেড হিউজেস তখন লন্ডনে একটা চাকরি করছিলেন। কিন্তু মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কাজে ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করতে কেমব্রিজে আসতেন। অনুষ্ঠানে সিলভিয়া প্লাথ বন্ধুদের জানান যে তিনি টেড হিউজেসের কবিতা পড়েছেন এবং তাঁর কবিতার ভক্তও বটে। কেউ তাঁর কথা জানেন কি না, জিজ্ঞেস করলে সেই অনুষ্ঠানেই তাঁর দেখা হয়ে যায় টেড হিউজেসের সঙ্গে। প্রথম দর্শনেই দুজন দুজনার প্রেমে পড়ে যান। এর দুই দিন পরই ‘পারস্যুট’ নামে একটা কবিতায় সিলভিয়া প্রেমের সেই অনুভূতির প্রকাশ ঘটান এই বলে, ‘There is a panther stalks me...
ফড়িং সোনা, আর ক’দিন পরেই আসছে পহেলা বৈশাখ। মানে বাংলা বছরের প্রথম দিন। এই দিনটা দিয়েই যে বাংলা বছরের শুরু হয় তা তো জানোই। তো বাংলা বছরের এই প্রথম দিনকে নিয়ে তোমরা কী ভাবছো, কী আঁকছো এবং কী লিখছো– তা আমাদের কাছে জলদি করে পাঠিয়ে দাও। আমরা খুব যত্ন করে তোমাদের ভাবনা, তোমাদের আঁকা-লেখা ঘাসফড়িংয়ে ছেপে দেবো। আমাদের কাছে লেখা পাঠানোর ঠিকানাটা তো জানোই। তবু আবার বলছি– আমাদের ঠিকানা ফড়িং মিয়া, ঘাসফড়িং, সমকাল ৩৮৭ তেজগাঁও শি/এ, ঢাকা-১২০৮
ভোরে ঘুম ভাঙলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। একবার চোখ মেলে আবার বন্ধ করে ফেলি। শুয়ে শুয়ে পাখির কলকাকলি শুনতে ভালোই লাগে আমার। তারপর উঠে দিই ছুট। এক ছুটে স্কুলে। স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাড়ি আসি। তারপর খেয়ে দেয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি! অবশ্য ঘুমানোর আগে ভাবি, এত্তো সুন্দর গান শিখলো কই ঝিঁঝিঁ পোকার দল? বিকালে ঘুম ভাঙলে দিই ছুট খেলার মাঠে। ছুটতে ছুটতে দেখি, পথের পাশে কত্তো কত্তো রঙিন ফুল ফুটে আছে। ফুলের ওপর উড়ছে প্রজাপতি, ঘাসফড়িং ও ভ্রমর। ঘাসফড়িং গান গায় না, প্রজাপতিও না; ভ্রমর গায়। গুনগুন করে গায়। গান না গাইলেও ঘাসফড়িং ও প্রজাপতি আমার ভালো লাগে খুব। ভালো লাগে ভ্রমরও। আমার প্রজাপতি হতে ইচ্ছে করে, ভ্রমর হতে ইচ্ছে করে, ঘাসফড়িং হতে ইচ্ছে করে, বিকালে...
ফড়িং সোনা, এই মাসটা যে আমাদের স্বাধীনতার মাস, তা তো জানোই। আমরা এই মাসে কেমন করে স্বাধীনতা পেলাম, তাও জানা আছে তোমাদের। তো স্বাধীনতার এই মাসটিকে নিয়ে তোমরা কী ভাবছো, কী আঁকছো এবং কী লিখছো– তা আমাদের কাছে জলদি করে পাঠিয়ে দাও। আমরা খুব যত্ন করে তোমাদের ভাবনা, তোমাদের আঁকা-লেখা ঘাসফড়িংয়ে ছেপে দেবো। আমাদের কাছে লেখা পাঠানোর ঠিকানাটা তো জানোই। তবু আবার বলছি- আমাদের ঠিকানা ফড়িং মিয়া, ঘাসফড়িং, সমকাল ৩৮৭ তেজগাঁও শি/এ, ঢাকা-১২০৮
সবুজ রঙের একটা ঘাসফড়িং। উড়ে এসে তনয়দের বারান্দার সিঁড়ির নিচে আছড়ে পড়লো। অমনি একটি শব্দ হলো। কোথা থেকে যে এটি এলো, কে জানে। তবে পতঙ্গটিকে একপলক দেখার জন্য কৌতূহলী হয়ে উঠলো তনয়। এক পা দু-পা করে সে এগিয়ে গেলো ওটির দিকে। ঘাসফড়িংটার লম্বা পা দুটো ভাঙা। শরীরের সাথে কোনোরকম ঝুলে আছে। মেঝেতে ওটি চিৎ হয়ে পড়ে রইল। দেখে মনে হলো-এখন-তখন অবস্থা ওর। বারান্দার সিঁড়িতে বসে আধমরা ঘাসফড়িংটার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাবিভোর তনয়। সে সময় একটি খয়েরি ডানার চিল ওদের উঠোনের আকাশে একবার চক্কর দিয়ে গেলো। চিলটা আনমনে চিঁউ চিঁউ গান গেয়ে উঠলো। তনয় ঘাসফড়িংটির দিকে অপলক তাকিয়ে রইলো। ততোক্ষণে নিথর হয়ে গেছে বেচারা ঘাসফড়িং। দুটো ছোটো মাছি কী মনে করে যেন তার ওপর দিয়ে কয়েকবার ওড়াউড়ি করলো। তারপর ওরা নিরুদ্দেশ হয়ে...
