2025-12-07@22:09:53 GMT
إجمالي نتائج البحث: 144
«দ শ র ম ন ষ ১৯৭১ স ল»:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে বলতে শোনা যায়, ক্ষমতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলকে দেখা হয়েছে। এবার অমুককে দেখুন। এই অমুককে দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে দেখেছে কীভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘৭ দিনব্যাপী কর্মসূচি: বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে ছাত্রদলের সারা দেশের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। আরো পড়ুন: বরিশালে ব্যারিস্টার ফুয়াদের ওপর হামলা, আহত ৫ বেগম জিয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন: টুকু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে ইদানীং বলতে...
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কিছু কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে বলতে শোনা যায়, ক্ষমতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলকে দেখা হয়েছে। এবার অমুককে (জামায়াতে ইসলামী) দেখুন। এই অমুককে দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে দেখেছে কীভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠী ইদানীং বলতে শুনেছি বা বিভিন্ন জায়গায় কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে যে, অমুককে দেখলাম, তমুককে দেখলাম, তমুককে দেখলাম, এবার অমুককে দেখুন। যাদের কথা বলে অমুককে দেখুন, তাদের তো দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে। ১৯৭১ সালে তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে রক্ষার্থে কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। এই যাদের কেউ কেউ...
শত্রুবাহিনীর শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে মারছেন এক কিশোর। তাঁর ডান পাশে রাইফেল তাক করে স্থির বসে আছেন আরও দুজন। তাঁদের বুকে তুষের মতো বদলা নেওয়ার আগুন। আর চোখে পরাধীন দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয়। অসম সাহসী এই কিশোরদের পেছনে বিস্তীর্ণ ব্রহ্মপুত্র নদ আর তার পেছনে বিশাল আকাশ। ডিসেম্বর মাস বলে ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা শুকিয়ে এসেছে। নদের ওপারে যে গ্রামটা, তা একটা রেখার মতো মিশে গেছে অসীমায়। এত এলিমেন্টের মধ্যেও কিন্তু ছবির মূল ফোকাস এই তিন কিশোর। তাঁরা যে ঝোপের আড়াল থেকে গ্রেনেড ছুড়ে মারছেন, তার ডান পাশে একটা বরুণগাছ। শত্রুপক্ষের পাল্টা আক্রমণ এলে এই গাছটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে লড়াইটা চালিয়ে যাবেন তাঁরা। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাঙালি মানসে এই দৃশটি একটি চিরচেনা আলোকচিত্র। বহু মাধ্যমে বহুল ব্যবহারের ফলে এই ছবির...
আর্জেন্টিনার একজন প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবী, লেখিকা ও নারীবাদী নেত্রী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণে তিনি বাংলাভাষী মানুষের কাছে বিশেষভাবে আলোচিত ও সমাদৃত। বলা হয়ে থাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর কাব্যিক ও আত্মীক সম্পর্ক ছিলো। ওকাম্পো শুধু রবীন্দ্রনাথকেই ভালোবাসতেন তা কিন্তু নয়, না, তিনি ভালোবাসতেন বাংলা ভাষা ও বাঙালিকেও। ভিক্টোরিয়া সেই প্রমাণ রাখেন একাত্তুরে। সেই কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্ববহ। ১৯৭১-এ ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিলেও তিনি ছিলেন হয়ে উঠেছিলেন একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ওকাম্পোর বয়স ছিল ৮১ বছর। বয়সের ভারে তিনি তখন দুর্বল, কিন্তু এরপরেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।পাকিস্তানিদের দ্বারা সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে একটি মিছিলের আয়োজন করেছিলেন, শুধু...
আজ ৬ ডিসেম্বর, ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে শত্রুমুক্ত হয় ফেনী। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর স্বাধীনতার প্রতীক লাল সবুজের পতাকা প্রথমবারের মতো ফেনীর আকাশে ওড়ে। ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে ফেনীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। শহিদ পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন বিজয়ের মুহূর্ত। আরো পড়ুন: আজ খোকসা মুক্ত দিবস আজ ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভোর থেকেই সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা ফেনীর পূর্বাঞ্চল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকে। পরে শহরের রাজাঝির দীঘির পাড়ে ডাকবাংলোর সামনে ফেনীতে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে জড়ো হওয়া মুক্তিসেনারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে...
‘কোনো সীমানাই বৈধ নয়, যা পীড়িতদের কাছ থেকে সাহায্যকারীদের আলাদা করে।’এই বৈপ্লবিক উক্তি ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন সুপরিচিত বিদেশি ত্রাণ সংস্থা ‘ওমেগা’র মূলমন্ত্র। তবে ১৯৭১ সালের গ্রীষ্মে লন্ডনে গঠিত ‘অপারেশন ওমেগা’ কোনো সাধারণ ত্রাণ সংস্থা ছিল না। তাদের কার্যক্রমের মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি তৈরি হয়েছিল ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে নাইজেরিয়ার গৃহযুদ্ধ বা ‘বায়াফ্রা’ সংকটের অভিজ্ঞতার ওপর দাঁড়িয়ে। বায়াফ্রার যুদ্ধে বিশ্ব দেখেছিল কীভাবে রাজনৈতিক কারণে ত্রাণের অভাবে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যায়। অপারেশন ওমেগার পেছনে মূল চালিকা শক্তি ছিলেন মার্কিন অ্যাকটিভিস্ট এলেন কনেট এবং ব্রিটেনের শান্তিবাদী পত্রিকা পিস নিউজ-এর সম্পাদক রজার মুডি। তাঁরা দুজনেই ছিলেন অভিজ্ঞ সংগঠক এবং রাষ্ট্র অনুমোদিত প্রথাগত ত্রাণ কার্যক্রমের ওপর বীতশ্রদ্ধ। ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্তানের সংকটকে তারা সেই ‘বায়াফ্রা ফ্রেম’ বা লেন্স দিয়ে দেখেছিলেন। তাঁদের ধারণা ছিল, বিশ্বনেতারা এবং প্রতিষ্ঠিত...
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ নেয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে এই সরকার গঠন করা হয়।দায়িত্ব গ্রহণের পর মুজিবনগর সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল পূর্ববঙ্গের জনগণের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার মূল কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের গ্রহণযোগ্য করা এবং নানা মত–পথের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে এর নেতৃত্বকে প্রমাণ করা। শেখ মুজিবুর রহমানই তখন অবিসংবাদিত নেতা। অথচ তিনি পাকিস্তানে বন্দী। তাঁর অনুপস্থিতি ঐক্যের সংকটকে প্রকট করে তুলছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে জ্যেষ্ঠ ও তরুণ নেতাদের অনেকে নানা প্রশ্ন তুলছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ঘিরে দেখা দিয়েছিল ভিন্নমত, ভুল–বোঝাবুঝি, আস্থাহীনতা।এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত শহর শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত হয় এক গোপন রাজনৈতিক সম্মেলন। শিলিগুড়ি সম্মেলন তার...
বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে যেসব বিদেশি নাগরিক কাজ করেছিলেন ফরাসি ঔপন্যাসিক অঁদ্রে মালরো তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন মোটা দাগে উপনিবেশবাদ বিরোধী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নামে বাঙালির ওপর নারকীয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক- বাহিনী। পাকিস্তানিদের সেই হত্যাযজ্ঞের খবর বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে যায়। ফরাসি ঔপন্যাসিক অঁদ্রে মালরো ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করে একটি বিবৃতি দেন। শুধু তা-ই নয়, বাঙালিদের পক্ষে গঠিত মুক্তিবাহিনীর একটি ইউনিটের তিনি দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ১৮ সেপ্টেম্বরের এ বিবৃতিতে মালরো বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এর আগেও মালরো স্পেনের গৃহযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের হয়ে সম্মুখসমরে লড়াই করেছিলেন বিপ্লবীদের পক্ষে। এবার তিনি একটি আন্তর্জাতিক ব্রিগেড তৈরি করার আহ্বান জানান। ২২ অক্টোবর অ্যাসোসিয়েটেড...
ঠাকুরগাঁও ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়। মিত্র বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় থানা নিয়ন্ত্রণে নেন। পাকিস্তানি বাহিনী সেখান থেকে পিছু হটে সবশেষ ঠাকুরগাঁও থানার ভুল্লিতে ঘাঁটি গাড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা যাতে না আসতে পারেন, তাই তারা বোমা মেরে ভুল্লি সেতুটি উড়িয়ে দেয়। তারা শহরের প্রবেশপথের জায়গায় জায়গায় মাইন পেতে রাখে। মিত্র বাহিনী ভুল্লি সেতু মেরামত করে ট্যাংক ও ভারী অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে যায়।তবে মাইনের কারণে শহরে ঢুকতে দেরি হয়। ২ ডিসেম্বর প্রচণ্ড গোলাগুলির পর পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে। ওই রাতে পাকিস্তানি বাহিনী সত্যপীর সেতু উড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দল একের পর এক শহরে ঢুকে পড়ে। মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও। মুক্তিকামী মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়েন।ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিনগুলোর কথা...
সিলেট-তামাবিল সড়কটি ভৌগোলিক কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ। তামাবিলের ওপাশে ভারতের ডাউকি-শিলং সড়ক। এপাশে বাংলাদেশ অংশের সড়ক ধরে সিলেট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব হয়ে ঢাকা পর্যন্ত চলে যাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তাই সড়কটি দখলের পরিকল্পনা করে পাকিস্তানি বাহিনী। ভারতীয় সেনা আসার পথ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিচরণ ঠেকাতে পাকিস্তানি বাহিনী সড়কের পাশের রাধানগর গ্রামে ক্যাম্প বসায়।রাধানগর গ্রামের অবস্থান সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়। এক হাজারের বেশি পাকিস্তানি সেনার অবস্থান ছিল ওই ক্যাম্পে। এখানে সিলেট শহরে থাকা সেনাদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী আশপাশের গ্রামে অত্যাচার-নিপীড়ন, ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালায়।তবে প্রায় এক মাসের যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর মধ্যরাতে মুক্তিযোদ্ধারা রাধানগর ক্যাম্প নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন। সেই যুদ্ধের কথা লেখা আছে দিব্য প্রকাশ থেকে প্রকাশিত লে. কর্নেল (অব.) এস আই এম নূরুন্নবী খান বীর বিক্রমের...
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে জন্মের ব্যবধান মাত্র ১৪ দিনের। তবে এশিয়ার দুই প্রান্তের এ দুই দেশের জন্ম হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। বাংলাদেশের জন্ম যেখানে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাসংগ্রামের মাধ্যমে। অন্যদিকে সমমনা প্রতিবেশী সাতটি আমিরাতের নেতাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংযুক্ত দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল ইউএই।অবশ্য শান্তিপূর্ণ এ সম্মিলনের জন্য আমিরাতগুলোর নেতাদের যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। দীর্ঘ চার বছরের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিশ্বের মানচিত্রে ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর ইউএই নামের নতুন রাষ্ট্রটির অভ্যুদয় ঘটেছিল।গত মঙ্গলবার ঈদ আল-ইত্তিহাদ বা জাতীয় একীভূত হওয়ার ৫৪তম বার্ষিকী উদ্যাপন করেছে ইউএই। এ উপলক্ষে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশটির জন্ম কীভাবে হলো, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।ট্রুসিয়াল স্টেটস এবং ব্রিটিশ সুরক্ষা ১৯৭১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিষ্ঠার আগে অঞ্চলটি ট্রুসিয়াল স্টেটস নামে পরিচিত ছিল। পারস্য (আরব) উপসাগরের...
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো দুইটি ফর্মে। একটি হরো সম্মুখ যুদ্ধ আরেকটি হলো সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। আপেল মাহমুদ শুরুতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন একাত্তরের জুনে সাংস্কৃতিক যুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তাকে যখন ডাকা হয় যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে আসার সময় আপেল মাহমুদ ভাবছিলেন, ‘আমি আসলে কতটুকু কী করতে পারবো!’ কিন্তু তিনি ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন- এটার প্রভাবও কম নয়। আপেল মাহমুদ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ডভাবে লড়াকু করে তোলার জন্য স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অসাধারণ ভূমিকা ছিলো। বিশেষ করে তার সুরকরা ও গাওয়া ‘‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি/ মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি’’—গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলো। আরো পড়ুন: আজ খোকসা মুক্ত দিবস আজ ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস গানের স্রষ্টা হিসেবে আপেল মাহমুদ যতখানি কৃতিত্বের দাবিদার...
আজ ৪ ডিসেম্বর, কুষ্টিয়ার খোকসা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পরাজয় ঘটে পাকিস্তানিদের। সেদিন, হাজার হাজার মানুষ মুক্ত খোকসার রাস্তায় বের হয়ে আসেন। খোকসা থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে র্যালি, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আরো পড়ুন: আজ ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস ‘১৭ বছরে ৯৪ হাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা আড়াই লাখ করা হয়েছে’ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সদর উদ্দিন খান বলেন, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর খোকসা থানা পাক হানাদার মুক্ত হয়। থানা সদরের খোকসা হাইস্কুল, শোমসপুর হাইস্কুল, গনেশপুরের গোলাবাড়ীর নিলাম কেন্দ্র, মোড়াগাছায় রাজাকার বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি ছিল। এ জনপদে হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে...
দুই চোখ বন্ধ করে নিশ্বাস আটকে আধশোয়া হয়ে আছি বিছানায়। হাতে তাদামাসা হুকিউরার বই ‘রক্ত ও কাদা ১৯৭১’। রুশা ও ঋভূ বইটা উপহার দিয়েছে আমাকে। লিখেছে, ‘প্রিয় মেজ চাচাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’তাদামাসা হুকিউরা আন্তর্জাতিক রেডক্রসের প্রতিনিধি হিসেবে আট মাস বাংলাদেশে অবস্থান শেষে ১৯৭২ সালের মে মাসের এক রাতে ফিরে যান নিজ দেশ জাপানে। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘রক্ত ও কাদা ১৯৭১’ নামে বই লিখতে শুরু করেন ১২ নভেম্বর ১৯৭০–এ। শেষ করেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২-এ। বইয়ের পাতায় পাতায় শিউরে ওঠার মতো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নিষ্ঠুরতা আর নির্মমতা। বিস্ময়ে হতবাক হওয়ার মতো সব ঘটনার বর্ণনা। একেবারেই চেনাজানা মানুষ সম্পর্কে অনেক না জানা কথা। যেমন হাতিয়ার রফিক ভাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন ২১ বছরের তুখোড় তরুণ। হাতিয়ার মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন তিনি। যুদ্ধের সেই সব ভয়াবহ...
আজ ৩ ডিসেম্বর, ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই এবং মুক্তিকামী জনগণের প্রতিরোধে চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে পাকিস্তানি সেনাদের। সেদিন, সকালে হাজার হাজার মানুষ মুক্ত ঠাকুরগাঁও শহরের রাস্তায় বের হয়ে আসেন। বের হয় আনন্দ মিছিল। জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এ অঞ্চলের জনপদ। ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ড আব্দুল মান্নান জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের পর সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁয়েও পাকিস্তানি সেনারা আক্রমণ করে। নিরস্ত্র বাঙালির ওপর চালায় নির্যাতন। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটে মেতে ওঠে তারা। পাশাপাশি চলতে থাকে অগ্নিসংযোগ। ১৫ এপ্রিল আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাক বাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। আরো পড়ুন: ‘১৭ বছরে ৯৪ হাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা আড়াই লাখ করা হয়েছে’ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে...
‘বিটলস’ কেবল বিশ্ববিখ্যাত একটি সংগীতের ব্যান্ডদলই ছিল না, ষাটের দশকে নতুন প্রজন্মকে এই দল অনেক কিছুকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার, নানা বিষয়ে নতুনভাবে ভাবার পথ দেখিয়েছিল। আমেরিকা তথা বিশ্বের মানুষ, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের চিন্তার জগতে প্রচণ্ড ঝড় তুলেছিলেন এই দলের সদস্যরা। দলটি একের পর এক অ্যালবাম বের করে পপ সংগীতে যে যুগান্তকারী ধারা সৃষ্টি করেছিল, অনেকের স্মৃতিতে সেই বিস্ময় আজও অম্লান। সেই দলের অন্যতম সদস্য জর্জ হ্যারিসন ১৯৭১ সালের দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে। বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-বেদনা, দুর্ভোগ-দুর্দশা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার অন্যতম অংশীদার তিনি। ১৯৭১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যে ব্যতিক্রমী কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল, তার নাম ছিল কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। এই কনসার্টের অন্যতম আয়োজক ছিলেন জর্জ হ্যারিসন। সেই কনসার্ট, বিশেষ করে ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের...
‘১৯৭১ সালে আমি বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আহত হয়েছিলাম একবার। তবে ছাতকের যুদ্ধ ছিল ভয়াবহ। মনে হয়েছিল, এই যুদ্ধেই হয়তো প্রাণ যাবে। সুনামগঞ্জ অঞ্চলে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় যুদ্ধ।’ বলছিলেন সুনামগঞ্জের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান।সুনামগঞ্জের ছাতক মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর দখলে ছিল। সেটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে অক্টোবরে ছাতক অপারেশনের পরিকল্পনা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই যুদ্ধের কথা উঠে এসেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান (দ্বিতীয় খণ্ড), প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত সম্মুখযুদ্ধ ১৯৭১ মুক্তিযোদ্ধাদের কলমে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস (চতুর্থ খণ্ড) বইয়ে।সম্মুখযুদ্ধ ১৯৭১ মুক্তিযোদ্ধাদের কলমে বইয়ে মো. ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক ‘অপারেশন ছাতক’ নামে একটি লেখা লিখেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ছাতকের উত্তরে দোয়ারাবাজারের সীমান্তে বাঁশতলার অবস্থান। এটি ৫ নম্বর সেক্টরের সেলা সাবসেক্টরের সদর দপ্তর।...
১৯৭১ সাল। বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল বছর, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার বছর। কাকতালীয়ভাবে ঠিক এই একই বছরে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত মরুভূমির বুকে জন্ম নিচ্ছিল আরেকটি নতুন রাষ্ট্র, যার ভিত্তি কোনো যুদ্ধ নয়; বরং ছিল অটুট ‘ঐক্য’।আজ ২ ডিসেম্বর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জাতীয় দিবস। দেশটি দিনটিকে উদ্যাপন করে ‘স্পিরিট অব দ্য ইউনিয়ন’ বা ঐক্যের চেতনার বিজয় হিসেবে।ব্রিটিশরা যখন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল বা তৎকালীন ‘ট্রুশিয়াল স্টেটস’ ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়, তখন এই অঞ্চলের ছোট ছোট শেখতন্ত্রগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আবুধাবির শাসক শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ রাশিদ বিন সাইদ আল মাকতুম এক দূরদর্শী স্বপ্ন দেখলেন। তাঁরা বুঝলেন, আলাদা থাকলে টিকে থাকা কঠিন, কিন্তু এক হলে তাঁরা অজেয়।১৯৭১ সালের এই দিনে দুবাইয়ের ‘ইউনিয়ন...
১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা বাঙালি জাতির ইতিহাসে বেদনাবিধুর একটি দিন। এদিন, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের ন্যাশনাল জুট মিলস রক্তাক্ত হয়। মিলের ভেতর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী সন্দেহে আটক ১০৬ জন নিরীহ বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই থেকে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর শহীদদের স্মরণে কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস পালিত হয়ে আসছে। উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসমূহ শহীদদের গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারা দোয়া ও মোনাজাত করেন শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায়। আরো পড়ুন: ‘১৭ বছরে ৯৪ হাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা আড়াই লাখ করা হয়েছে’ ১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল কালীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম হুমায়ুন মাস্টার সেই দিনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি জানান, ১৯৭১...
লোকে সাধারণত ছবি ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে। রেহানার কোনো ছবি ছিল না। তাই তার বাবা আবদুস সালাম খান রেহানার গায়ের জামাটিই ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখেছিলেন। খুবই সাধারণ, এক রাঙা ফিকে হলুদ সুতি কাপড়ের হাতাকাটা জামা। বুকের সামনে দিয়ে লম্বা ফিতার মতো করে খয়েরি রঙের এক ফালি কাপড় জুড়ে দেওয়া, নকশা বলতে এটুকুই।আবদুস সালাম খানের কাছে তাঁর চার মাস বয়সী মেয়ের এই জামা কাচের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতোই মহার্ঘ বস্তু ছিল। কারণ, বড়ই নির্মমভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল। মেয়ের স্মৃতি বলতে আর কিছু ছিল না তাঁর কাছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই বয়সী শিশুমাত্রই নিষ্পাপ। তবু ১৯৭১ সালে তাকে নির্মম হত্যার শিকার হতে হয়েছিল পিতার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য। রেহানার এই জামা এখন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ২ নম্বর গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক নিদর্শন হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছে।...
আজ পহেলা ডিসেম্বর। মহান বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। বিজয়ের মাস, বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জনের মাস। ১৯৭১ সালের এই মাসেই অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। মাসের প্রথম দিন থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পিছিয়ে আসতে থাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধারাও এগোতে থাকেন রাজধানী ঢাকার দিকে। একে একে বিভিন্ন রণাঙ্গনে উড়তে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর এবারের বিজয়ের মাস নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হবে। শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবে বাঙালি জাতি। বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন...
১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বরের কথা। ভোর থেকে পঞ্চগড় চিনিকলের দিকে এগোতে থাকেন মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা। সঙ্গে ১২টি ট্যাংক। চিনিকল এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের শক্ত ঘাঁটি ঘিরে শুরু হয় দুই পক্ষের তুমুল লড়াই। পিছু হটে পাকিস্তানের সেনারা। মুক্ত হয় পঞ্চগড়। বিজয়ের আনন্দে সবাই যখন উল্লসিত, তখন ঘটে এক বিষাদের ঘটনা। চিনিকল এলাকার গ্যারেজের সামনে পাকিস্তানের পতাকা উড়তে দেখে এগিয়ে যান তরুণ যোদ্ধা হারুন অর রশীদ। স্টেনগান কাঁধে নিয়ে দৌড়ে যান পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে। সে সময় পাশের একটি বাংকারে আহত অবস্থায় পড়ে থাকা পাকিস্তানি সেনা গুলি করতে থাকেন। ঝাঁঝরা হয়ে যায় হারুনের বুক। বিজয়ের মুহূর্তে এমন ঘটনায় মর্মাহত হয়ে পড়েন তাঁর সহযোদ্ধারা। তাঁর বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের উত্তর প্রধানপাড়া এলাকায়।পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নাজমুল হকের লেখা...
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘বিজয় মশাল রোড শো’। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান। আরো পড়ুন: বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে শত্রু মনে করা হয়: ফখরুল তিনি জানান, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরে বিজয় মশাল রোড শো এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিভাগে মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাইযোদ্ধা। ১৬ ডিসেম্বর...
নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। আরো পড়ুন: সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত আলাপ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।” প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, যুদ্ধাহত এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন এবং ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সব শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের জনগণের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।...
নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, যুদ্ধাহত এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন এবং ২০২৪–এর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সব শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের জনগণের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালে রণক্ষেত্রে। সে সময় ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সঙ্গে নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল...
শমসের মুবিন চৌধুরী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে ছিলেন। যুদ্ধের পর মেজর পদে থাকা অবস্থায় তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। শুরু হয় তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ার। চাকরি থেকে অবসরের পর যোগ দেন রাজনীতিতে, তবে এখানে এসে নামের চেয়ে বদনাম বেশি কুড়িয়েছেন। রাজনীতিক হিসেবে কোনো আলোচনায় না থাকা শমসের মুবিন হঠাৎ রবিবার (১৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে গণমাধ্যমের বড় খবর হয়ে এলেন। তবে এই আসা রাজনীতি থেকে চলে যাওয়ার ঘোষণা দিতেই আসা। তিনি আর রাজনীতি করবেন না বলে তার দল তৃণমূল বিএনপিকে জানিয়ে দিয়েছেন, যা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজে এবং তার দলের মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। আরো পড়ুন: নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী ‘আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে’ ...
জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অর্জন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রাপ্তি। মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বেশি প্রামাণ্য নিদর্শন সংগৃহীত রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। সাংবাদিক ও গবেষকেরা তাঁদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা গবেষণার প্রয়োজনে এসব নিদর্শন ও তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করতে পারবেন।বুধবার সকালে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও গবেষকদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় জাদুঘরের ট্রাস্টিরা এ বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রথমেই সাংবাদিকদের জাদুঘরের গ্যালারিগুলো পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর জাদুঘরের পাঠাগার ও আর্কাইভে সংরক্ষিত নিদর্শন ও তথ্য-উপাত্তের বিষয়ে জানানো হয়।জাদুঘরের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় দুটি করে চারটি গ্যালারিতে দর্শনার্থীদের জন্য নিদর্শন প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রথম গ্যালারির নাম ‘প্রাচীন ও মধ্যযুগের সমন্বিত সংস্কৃতি’। এখানে প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন নিদর্শন রাখা হয়েছে। ‘আমাদের অধিকার, আমাদের...
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে লড়েছিলেন ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ। বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পরও নিজের দেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে দান করে গেলেন। জীবিত থাকাকালেই তিনি মৃত্যুর পর দেহদানের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে দেওয়া হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীর উত্তমের মরদেহ আনা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দিলরুবা জেবা, অ্যানাটমি বিভাগের প্রভাষক পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাসসহ কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।অধ্যক্ষ দিলরুবা জেবা বলেন, সমাজের মহৎ ব্যক্তিরাই মরণোত্তর দেহ দান করে যান। সাহাবউদ্দিন আহমেদ তাঁদেরই একজন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ভূমিকা...
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫ এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। প্রায় আট মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সনদের অনুলিপি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছিল, বিদ্যমান সংবিধানের ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলি–সংক্রান্ত ১৫০ (২) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। এই সিদ্ধান্তে ৯টি দল একমত ছিল না। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আজকের সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে না আসার ঘোষণা দেন সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদের নেতারা। সনদে কেন স্বাক্ষর করবেন, তার যে কারণগুলো তাঁরা বলেছিলেন,...
মহাকাশ অভিযান মানেই নতুন দিগন্তের উন্মোচন। তবে মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগানসহ মহাকাশযানের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের। পৃথিবীকে ছাড়িয়ে যত দূরে যাওয়া যায়, ততই এসব চ্যালেঞ্জ কঠিন হতে থাকে। ১৯৭১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো সয়ুজ ১১ মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় দ্রুত ভেতরের চাপ কমে যাওয়ায় অক্সিজেনের অভাবে মারা যান তিন নভোচারী। এটিই মহাকাশে নভোচারীদের প্রথম ও একমাত্র মৃত্যুর ঘটনা। এর পর থেকে মহাকাশ অভিযানের সময় নভোচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রেশার স্যুট পরতে হয়।১৯৭১ সালের ৬ জুন উৎক্ষেপণ করা হয় সয়ুজ ১১ মহাকাশযান। এরপর নির্ধারিত কাজ শেষে ৩০ জুন তিনজন সোভিয়েত নভোচারী—জর্জি ডব্রোভলস্কি, ভ্লাদিস্লাভ ভলকভ ও ভিক্টর পাতসায়েভকে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসছিল নভোযানটি। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৬৮ কিলোমিটার ওপরে থাকা অবস্থায় মহাকাশযানটির মডিউল বিচ্ছিন্নের সময় ডিসেন্ট ক্যাপসুল...
১৯৭১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পাক বাহিনীর সনমান্দী গণহত্যায় নিহত শহিদদের স্মরণে ও তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সোনারগাঁ জনকল্যাণ যুব সংস্থা ও রেঁনেসা ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বক্তারা সনমান্দী গণহত্যার বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে আগস্টে চিলার বাগ সহ আরও কয়েকটি গেরিলা যুদ্ধে পাক বাহিনী সোনারগাঁয়ে পরাজিত ও নাস্তানাবুদ হয়। পাক বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের উপর পাল্টা আক্রমনের সুযোগ খুঁজতে থাকে। এরই মধ্যে ৩১ আগস্ট ২নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দারের অনুমোদনক্রমে সোনারগাঁও থানা কমান্ডার আব্দুল মালেকের পৃষ্ঠপোষকতায় সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি উপ-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। প্রায় ২০০ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা এই উপ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গেরিলা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে।...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের ভূমিধস জয় কাউকে কাউকে আনন্দিত করেছে, কাউকে শঙ্কিত বা চিন্তিত করেছে। তবে প্রায় সবাইকে অবাক করেছে। অবাক হওয়ারই কথা। কারণ, কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে ছাত্র সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয় দিতে পারত না, তাদের এ ধরনের জয় বিস্মিত করার মতো ব্যাপার বৈকি।এই ফল দেখে কিছু মানুষ এ কারণে খুশি যে কয়েক দশক পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দলের একচেটিয়া আধিপত্য শেষ হয়ে গেল। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, ছাত্রশিবিরের এ জয়ে অনেকে কেন শঙ্কিত বা চিন্তিত? সম্ভবত এর প্রধান কারণ ছাত্রশিবির জামায়াতে ইসলামীর একটি অঙ্গসংগঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জামায়াত একটি প্রশ্নবিদ্ধ রাজনৈতিক দল। ১৯৭১ সালে তাঁরা শুধু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই ছিল না, দলটি ছিল পাকিস্তানের সামরিক সরকারের সমর্থনপুষ্ট। দলটি কেবল মৌখিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়নি, ইতিহাস বলে, তারা...
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ভারতে আশ্রয় নেন। শরণার্থীদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের শিল্পী সমাজের একটা অংশ। তাঁদের বেশির ভাগই আশ্রয় নেন কলকাতায়। সেই সময় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন জহির রায়হান, সৈয়দ হাসান ইমামেরা। তাঁদের হাত ধরেই তৈরি হয় কয়েকটি তথ্যচিত্র, যা হয়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের এক প্রামাণ্য দলিল।নানা সীমাবদ্ধতায় প্রতিকূল পরিবেশে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলী সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রাঙ্গনের কয়েকজনের সহায়তায় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জহির রায়হান, আলমগীর কবির ও বাবুল চৌধুরীর পরিচালনায় আরও তিনটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।জহির রায়হানরা পূর্ব পাকিস্তান থেকে যাওয়া চলচ্চিত্রশিল্পী ও কুশলীদের একত্রিত করতে ও সাহায্য করতে মে মাসের শেষ দিকে গঠন করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলী সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি হন জহির রায়হান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমাম,...
বাংলাদেশের রাজনীতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গণ–অভ্যুত্থানের পথ ধরে রাষ্ট্র ও সমাজ পরিবর্তন। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার দাবি আন্দোলন ১৯৫২ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি ও পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতিতে সে আন্দোলন পরিণতি পায়। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পথ বেয়ে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালির ঐতিহাসিক বিজয়, বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আবার গণ-অভ্যুত্থান, পরবর্তী সময়ে যা জনযুদ্ধে রূপ নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়। দীর্ঘ ৮ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটায় ১৯৯০ সালের নাগরিক অভ্যুত্থান।২০২৪ সালের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের আগেকার গণ–অভ্যুত্থানের পরম্পরা এবং ১৯৭১ সালের জনযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার পুনরুজ্জীবন। আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে এই গণ–অভ্যুত্থান রাষ্ট্র ও সমাজ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার জন্ম দিয়েছে। তবে এক বছর অতিক্রান্ত...
বিগত ১৬ বছরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, দেশের মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল ফ্যাসিবাদী সরকার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “৫ আগস্ট শুধু একটা দিবস নয়, গণজাগরণের উপাক্ষান। ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্ম।” তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে গুলিবিদ্ধ আহতদের চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি এবং তৎকালীন সরকার হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে আহদের চিকিৎসা দেওয়া না হয়।” বক্তব্যের শুরুতে তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারে স্মরণ করে বলেন, “১৯৭১ সালে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।...
শেখ হাসিনা ও তার দোসররা যে অপরাধ বাংলাদেশে করেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও মনে হয় এত জঘন্য অপরাধ করে নাই বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণহত্যার বিচার আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, “মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা, আহতদের গুলি করে মেরে ফেলা, নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলা... আপনারা বলতে পারেন, ২৫ মার্চ কালরাতে হয়েছে। অবশ্যই হয়েছে, ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওটা তো অন্য দেশের বাহিনী।” “১৯৭১ সালে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে, এরকম কোনো ফুটেজ আমি দেখি নাই। ১৯৭১ সালে একজন গুলি খেয়েছে, তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তার বন্ধু, সে অবস্থায়...
‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’- সেই কবে এই অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন কবি হেলাল হাফিজ। আজও অক্ষয় শাণিত এই বাণী। কিন্তু প্রতিবাদ, লড়াই, আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ তরুণেরা পেলেও যুদ্ধযাত্রার দেখা মেলা বিরল। আর সেই যুদ্ধ যদি হয় বহিঃশত্রূ দীর্ঘ শোষণ-নিপীড়ন আর ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার বিপরীতে, এমন সুযোগ হয়তো একবারই আসে তরুণ প্রজন্মের জীবনে। যারা সময়ের সেই ডাকে সাড়া দিতে পারেন, তাদের ত্যাগ, সংগ্রাম, উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতা অনন্য। দীর্ঘ পাঁচ দশক আগে এই জনপদে এ রকম গাঢ় কৃষ্ণ প্রহর ফুঁড়ে রচিত হয়েছিল বীরত্বের এক নয়া ইতিহাস। এর কেন্দ্রে যারা ছিলেন তারা আর কেউ নন এ দেশেরই মুক্তিকামী সাধারণ জনতা, যাদের নিরন্তর লড়াই ও অকুণ্ঠ সমর্থনে বিজয়ের সূর্যালোক ছুঁয়েছিল বিপর্যস্ত বাংলার...
রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’–এর ম্যুরাল–সংবলিত সাতটি দেয়াল ভেঙে ফেলার নিন্দা জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মুক্তিযুদ্ধের স্মারক রক্ষা করে অন্য কোনো স্থানে ২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানের স্মারক নির্মাণের দাবি জানিয়েছে তারা।আজ সোমবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান। জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।বাম জোটের নেতারা বিবৃতিতে বলেন, ২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানের স্মৃতিস্মারক নির্মাণ করতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া ও রাজধানীতে উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। কিন্তু রাজধানীর...
রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’–এর ম্যুরাল–সংবলিত সাতটি দেয়াল ভেঙে ফেলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি–সংবলিত সব স্মারক যথাযথ যোগ্যতায় সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের অন্যতম ভিত্তি ও অহংকার। এটা এক দিনে সংঘটিত হয়নি। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম থেকে শুরু করে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় অসংখ্য সংগ্রামের শেষ পর্বে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের স্মারক মুছে ফেলে সেখানে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মারক নির্মাণের যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত বিব্রতকর।বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান ১৯৭১ সালের চেতনারই ধারাবাহিকতা। কিন্তু আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নানা কর্মসূচি এবং অনেকের অনেক...
প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ। ১৯৪০ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শনিবার (২৮ জুন) জন্মদিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকে। প্রধান উপদেষ্টার জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, “শুভ জন্মদিন, স্যার। আপনার সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য আমার জীবনের অন্যতম গৌরব।” অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাবা দুলা মিঞা সওদাগর ও মায়ের নাম সুফিয়া খাতুন। স্ত্রী অধ্যাপক দিনা আফরোজ। অধ্যাপক ইউনূসের দুই মেয়ে রয়েছে। ২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ছোটবেলা থেকে মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। চট্টগ্রামের...
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষের চারটি হলের নতুন নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশ। মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এই প্রস্তাবনা দেয় সংগঠনটি। বুধবার (১৮ জুন) উপাচার্য তাদের স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলসহ পূর্বনাম বাতিলকৃত চারটি হলের নতুন নামকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনদের কাছ থেকে নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় তিনটি হলের নতুন নামের প্রস্তাব এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (একাংশ) উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। আরো পড়ুন: রাঙামাটিতে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য জেলা বঙ্গবন্ধু...
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের (একাংশ) শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে তাঁরা উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামের বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ৪টি আবাসিক হলের নামফলক মুছে দেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন নামকরণের দাবি জানান তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মার্চ শেখ রাসেল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বাতিল করে সিন্ডিকেট। সম্প্রতি এসব স্থাপনার নতুন নামকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনদের কাছ থেকে নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ।...
কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ...
১৯৭১ সালে কিশোরগঞ্জে পাঁচ রাজাকারকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা নিকলী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহানা মজুমদার মুক্তি। তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে জেলার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া গ্রামে সখিনা বেগমের ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তারের বাড়িতে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি আরও জানান, আজ বিকাল ৫টায় নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হবে। সখিনা বেগমের ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার জানান, কিশোরগঞ্জের হাওর–অধ্যুষিত উপজেলা নিকলীর গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১...
কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বার্ধক্যের কারণে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখিনা বেগমের ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার। তিনি এই নারী মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ বয়সে দেখাশোনা করতেন। আজ সকাল ৮টার দিকে ফাইরুন্নেছার ছেলে কাওসার মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।আরও পড়ুন৫ রাজাকারকে দা দিয়ে কোপানো বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম শয্যাশায়ী২৫ মার্চ ২০২৫বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানা মজুমদার।সখিনা বেগমের স্বজনেরা বলেন, কিশোরগঞ্জের হাওর–অধ্যুষিত উপজেলা নিকলীর গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ডাকসুর সংশোধিত বিধিমালায় নতুন করে চারটি পদ যুক্ত করা হয়েছে। ডাকসুর উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের পাশাপাশি চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিধিমালার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হিসেবে এবার যে চারটি নতুন সম্পাদকীয় পদ যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো, ছাত্র সংসদে–গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক। এ সম্পাদকরা শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মশালা, সেমিনার, সম্মেলন, গবেষণা জার্নাল, চাকরি মেলা, স্বাস্থ্যসচেতনতা কার্যক্রম এবং মানবাধিকারবিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রত্যেক আবাসিক হল বা ক্যাম্পাসের উপযুক্ত স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট দিতে পারবেন। ফলাফল...
ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক, গোয়েন্দা থ্রিলার লেখক ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ফ্রেডেরিক ফোরসাইথের মুখপাত্র জনাথন লয়েড এর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও দ্য গর্ডিয়ান জানায়, ফোরসাইথ সোমবার (৯ জুন) বাকিংহামশায়ারের জর্ডানস গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান। জনাথন লয়েড বলেন, “আমরা বিশ্বের সেরা থ্রিলার লেখকদের একজনকে হারালাম। ‘দ্য ওডেসা ফাইল’ এবং ‘দ্য ডগস অব ওয়ার’-এর মতো ২৫টিরও বেশি বই (যার অধিকাংশ বই থ্রিলার) লিখেছেন তিনি, যা বিশ্বজুড়ে ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে।” আরো পড়ুন: আসছে অরুন্ধতী রায়ের নতুন বই ‘মাদার মেরি কামস টু মি’ নোবেলজয়ী লেখক হান ক্যাং এর সাহিত্য নিয়ে কালির বৈঠক ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ সর্বাধিক বিক্রিত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক। ফোরসাইথ একসময় সংবাদ প্রতিবেদক এবং যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ...
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। অন্যদিকে মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার এই সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশটি জারি করে।১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার (মুজিবনগর সরকার) শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ।আরও পড়ুনবীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি১১ ঘণ্টা আগেনতুন অধ্যাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার...
একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও অনুপ্রেরণা জোগানো কালজয়ী গানগুলোর অন্যতম ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি...’ গানটির সুরকার ও গায়ক আপেল মাহমুদ সবার কাছে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। একুশে পদকজয়ী এই শিল্পীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি।সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার কুমিল্লা সার্কিট হাউসে জামুকার শুনানিতে হাজির হয়ে আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর কণ্ঠে প্রচারিত গান যেমন রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপ্ত করেছিল, তেমনি নিজেও পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রহাতে লড়াই করেছেন বীরদর্পে।আপেল মাহমুদ কুমিল্লার সন্তান। তিনি জেলার মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা। এ জন্য জামুকায় তাঁর বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগটির বিষয়ে আজ সোমবার কুমিল্লা সার্কিট হাউসে শুনানি হয়। ওই শুনানিতে জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা...
দেশের প্রথম বাজেট ছিল ছোট আকারের। আর ৫৪ বছর পর সেই বাজেটের কলেবর বড় হয়েছে, বেড়েছে প্রবৃদ্ধি। যত বাজেট দেওয়া হয়েছে, তার আকার কত ছিল, কে আর কবে তা উপস্থাপন করেছিলেন, পেশ করার সময় কী বলেছিলেন, তারই একটি বিবরণ দেওয়া হলো এখানে। বলে রাখা ভালো, বাজেট উপস্থাপন পদ্ধতির অনেক বদল হয়েছে। বাজেট পরিসংখ্যান প্রকাশের পদ্ধতিরও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারের আয় ও ব্যয়ের খাতে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপির বাইরে নতুন নতুন উন্নয়ন ব্যয়ের খাত যুক্ত হয়েছে। ফলে এডিপির তুলনায় উন্নয়ন বাজেট আরও বড় হয়েছে।১. মুজিবনগর সরকার, ১৯ জুলাই ১৯৭১রাজস্ব আয় ৭,৭৪, ১৮,৯৯৮ টাকা, ব্যয় ৮,৬২, ৪৮,২০৪ টাকা। বাজেট ঘাটতি ৮৮,২৯, ২০৬ টাকা।প্রথম বাজেটটি দিয়েছিল মুজিবনগর সরকার। তখন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এম মনসুর আলী। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি...
নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তার মধ্যে নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। পুরো সমাজের মধ্যে আবার একটা নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তির নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘নাগরিক সংহতি সমাবেশ’–এ বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। এই সমাবেশের আয়োজন করা হয় ‘যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দায়মুক্তি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে’। গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে এই সমাবেশ করা হয়।সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেখানে জনগণ একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সরকারের ভূমিকা নির্লিপ্ত, কোথাও তাদের অস্তিত্ব আছে বলে...
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণের জন্য জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, কেউ যেন বিভাজন তৈরি করে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বাধা দিতে না পারে, সে জন্য সব পক্ষকে একটা জায়গায় আসতে হবে।বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এ কথাগুলো বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাস যেদিকে গেছে, জামায়াত তার বিপরীত দিকে গেছে। জনগণ যে পক্ষে গেছে, তারা তার বিপক্ষে গেছে। এটা প্রমাণিত। এখন সেই অবস্থানের জন্য যদি তারা জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে চায়, তাহলে সেটা যদি, কিন্তু ছাড়াই করা দরকার। এখানে যদি, কিন্তু বা কোনো অস্পষ্টতা রাখলে সেটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করবে বলে মনে করি না।’গণতন্ত্র মঞ্চের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এখন যে বিভাজনের খেলা তৈরি...
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সংযোগ গড়ে তোলা জরুরি। আর সেই সংযোগের জন্য বড় বাহন হতে পারে বই। এই তাগিদ যত বাড়বে, যত শক্তিশালী হবে, তত তরুণেরা দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।আজ শুক্রবার বেলা ১১টার পর ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। জাদুঘরের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যজন ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি আলী যাকেরের স্মৃতি বহমান রাখতে গ্রন্থ পাঠের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবার স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তিনটি বই পাঠ করে প্রতিক্রিয়া পাঠিয়ে পুরস্কার জিতেছেন ৩০ জন শিক্ষার্থী।অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সংযোগ গড়ে তোলাটা জরুরি আর সেই সংযোগের জন্য বই একটা খুব বড় বাহন হতে পারে।’...
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক স্বল্পস্থায়ী অথচ গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে অসাধারণ নেতৃত্ব ও দেশের পক্ষে অবদানের জন্য তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে।ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, শেষবার প্রায় ৬৬ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানের কোনো সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শালের পদে আসীন হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যাবিনেট তৎকালীন সেনাপ্রধান আইয়ুব খানকে সেই সম্মানজনক পদ দিয়েছিল।আইয়ুব খান ব্রিটিশ রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট থেকে সামরিক জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন এবং পরে ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।ফিল্ড মার্শাল: ইতিহাস–উৎপত্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যফিল্ড মার্শাল পদটি মূলত পাঁচ তারকাবিশিষ্ট সর্বোচ্চ সামরিক পদ। পুরোনো জার্মান ভাষায় এর অর্থ রাজার ঘোড়ার তত্ত্বাবধায়ক বা অধিনায়ক। এই পদের ইতিহাস প্রায় ৮৪০ বছরের পুরোনো।...
১. ‘The Iqbal Masih Award’ কোনো ক্ষেত্রে প্রদান করা হয়? ক. পরিবেশ সংরক্ষণ খ. শিশুশ্রম দূরীকরণ গ. নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ঘ. প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা উত্তর: খ. শিশুশ্রম দূরীকরণ ২. ‘চুকনগর গণহত্যা’ সংঘটিত হয়— ক. ২০ আগস্ট ১৯৭১ সালে খ. ২০ মে ১৯৭১ সালে গ. ২০ জুন ১৯৭১ সালে ঘ. ২০ মে ১৯৭১ সালে উত্তর: ঘ. ২০ মে ১৯৭১ সালে (ডুমুরিয়া, খুলনায়) ৩. সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক কোথায় অবস্থিত? ক. টেকনাফ খ. কক্সবাজার গ. সেন্ট মার্টিন ঘ. শ্রীমঙ্গল উত্তর: ক. টেকনাফ ৪. অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে কী নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করা হয়েছে? ক. বজ্র প্রহার খ. তিস্তা প্রহর গ. সূর্য কিরণ ঘ. অজেয় ওয়ারিয়র্স উত্তর: খ. তিস্তা প্রহর ৫. সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের...
বঙ্গীয় বদ্বীপের প্রকৃতি যেন বিশেষভাবে ধরা দেয় ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা, তিস্তার মতো বড় নদীর মধ্য ও তীরবর্তী চরাঞ্চলে। চরাঞ্চলের বাইরের বাকি বাংলাদেশের কেন্দ্র ও প্রান্তের সংগ্রাম, সংঘাতের অভিঘাতও সেখানে উপস্থিত হয় ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। এই প্রবণতা কেবল আজকের নয়, বরং স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্ন কিংবা তারও আগে থেকে। যেমন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাকারী মুক্তিযুদ্ধকালে বঙ্গীয় বদ্বীপের চরাঞ্চলীয় প্রকৃতি আমাদের সামনে ধরা পড়ে লিখিত ও মৌখিক বর্ণনায়। তবে এ ইতিহাসচর্চায় জলপ্রকৃতিকে মানুষের তৈরি এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের সহ-উৎপাদনশীল বাস্তবতা হিসেবে ভাবনার ঘাটতি রয়েছে। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রায় সম্পূর্ণ অংশ, ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সাড়ে পাঁচটিই বর্তমানে নদীতে বিলীন। সেখানে জেগে ওঠা চরগুলোতে দশক দশক ধরে মানুষের বসতি। চরবাসীরা দেশের অন্যান্য মানুষের মতো মুক্তিযুদ্ধের বৈরী সময়ের স্মৃতি বহন করে। তবে মূলধারার ইতিহাস যেখানে ৯ মাসের গণহত্যাকে পূর্ব...
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পাল্টা হামলা চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের সেনাদের নাস্তানাবুদ করে দেয় পাকিস্তান। এরমাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে। খবর জিও টিভির। বুধবার (১৪ মে) ভারতের বিরুদ্ধে অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসে অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে যান শাহবাজ। এই অপারেশন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলেও জানান শাহবাজ। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনারা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও দ্রুত জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে।” আরো পড়ুন: মোদির সময় ফুরিয়ে এসেছে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত ও পাকিস্তানের শেহবাজের সঙ্গে শিয়ালকোটে উপস্থিত ছিলেন- উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল এবং তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। এছাড়াও সেনাপ্রধান,...
১আইখাল, রাশিয়ারাশিয়ার সাখা অঞ্চলে আইখাল খনির অবস্থান। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরার খনি। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এই খনিতে মজুতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ক্যারেট। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এটি ওপেন-পিট বা উন্মুক্ত খনি ছিল। এরপর এটিকে ভূগর্ভস্থ খনিতে রূপান্তর করা হয়।আইখাল হীরার খনি থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৩ লাখ ক্যারেট হীরা উত্তোলন করা হয়। বিশ্বের অপরিশোধিত হীরার এক-তৃতীয়াংশ এখান থেকেই উত্তোলন করা হয়ে থাকে। রাশিয়ার আংশিক রাষ্ট্রায়ত্ত হীরা কোম্পানি আলরোসার অধীনস্থ আইখাল মাইনিং কোম্পানি এই খনি পরিচালনা করে।২জোয়ানেং, বতসোয়ানাবতসোয়ানার কালাহারি মরুভূমিতে জোয়ানেং খনির অবস্থান। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরার খনি। ডি বিয়ার্স ও বতসোয়ানা সরকারের যৌথ উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত ডেবসওয়ানা ডায়মন্ড কোম্পানি খনিটি পরিচালনা করে।২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুসারে, এ খনিতে হীরার সম্ভাব্য...
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সাম্প্রতিক আন্দোলনে দেওয়া কিছু স্লোগান এবং জাতীয় সংগীত থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক চলছে। এর জবাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, তাদের কোনো সদস্য এই জনপদের মানুষের সংগ্রাম ও ইতিহাসবিরোধী কোনো স্লোগান দেননি।আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে এনসিপি। একই সঙ্গে দলটি আশা করে, যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তারা জাতির সমানে তাদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করবে।‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিতর্কে এনসিপির অবস্থান’ শিরোনামে দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা...
২০২৪ সালে অভ্যুত্থানের পর ছাত্রদের হাত ধরে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, আমরা চাই, তারা নিজেদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান জাতির সামনে ব্যাখ্যা করে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যকে সুদৃঢ় করবে এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হবে। আজ সোমবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দীন সিফাত স্বাক্ষরিত ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিতর্কে এনসিপির অবস্থান’ শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষের পূর্বেকার রাজনৈতিক অবস্থান বা আদর্শের কারণে ইতিপূর্বের বিভাজন ও অনৈক্যের রাজনীতির সূত্রপাত ঘটলে, তাদের দায় রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের সামনে নিজেদের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্যের পথে হাঁটার। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল...
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে ‘আপত্তিকর’ স্লোগান নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার (১২ মে) সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনসিপি জানায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে ‘আপত্তিকর’ স্লোগান নিয়ে জনমনে যেসব প্রশ্ন উঠেছে তার দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষকেই বহন করতে হবে। এনসিপিকে এর সাথে জড়ানো সম্পূর্ণ অহেতুক এবং অনাকাঙ্খিত। বিবৃতিবে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা, এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মত, পক্ষ এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলেও একটি পক্ষ সচেতনভাবে...
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাল্টা জবাবে রাতেই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার সকাল থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি চলেছে দুদেশের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তে বসবসকারী বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তান। এতে কমপক্ষে ১১ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কাশ্মীর উপত্যকার উরি ও তাংধর সেক্টরে তীব্র কামানের গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেলেও, জম্মুর পুঞ্চ শহরে সবচেয়ে ভয়াবহ গোলাবর্ষণ ঘটনা ঘটেছে। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো পাবলিক প্লেস ছাড়াও আবাসিক এবং সরকারি ভবন লক্ষ্য করে কামানের গোলা ছুড়েছে পাকিস্তান। আরো পড়ুন: ঠান্ডা মাথায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা মমতার ভারতের সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে:...
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতজুড়ে বেসামরিক ‘মক ড্রিল’ শুরু হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ মে ভারতের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া হবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৩টি জেলার ৩১ মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতজুড়ে ‘মক ড্রিল শুরু হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের যুদ্ধ প্রস্তুতি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। আচমকা বিমান হামলায় কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন বা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কীভাবে সামলাবেন- তা বুঝানো হচ্ছে। মহড়ায় সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা, ব্ল্যাক আউট পরিস্থিতিতে নাগরিকদের আচরণ, জরুরি অবস্থায় এলাকা ফাঁকা করার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। এছাড়া বাংকার, ট্রেঞ্চ বা গর্ত পরিষ্কার ও রেডি রাখা- এসব বিষয় শেখানো হবে। এর আগে রোববর রবিবার রাত ৯টার দিকে পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে...
নাটোরের লালপুর উপজেলায় ১৯৭১ সালের ৫ মে উত্তরবঙ্গের ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) সকালে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে মিলের শহীদ সাগর চত্বরে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মিলস কর্তৃপক্ষ ও শহীদদের পরিবারের সদস্যরা। পরে আলোচনা সভা শেষে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, শহীদ পরিবারের সন্তান শাহীন হাসান তালুকদার, ফরহাদুজামান রুবেল, মামুনুর রশিদ, মিলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মমিন প্রমুখ। এ...
সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতে মুখোমুখি করার উদ্যোগ নিতে হবে৷ এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির উদ্যোগে দলটির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে৷ তারপরেও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কেনো এতো সময়ক্ষেপণ করছেন? এ নিয়ে জনগণের মনে ধীরে ধীরে প্রশ্ন বেড়েই চলেছে৷ রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা এবং জনগণের রায়কে অবহেলা করে রাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করা হলে সেটি শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে৷ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের...
১৯৪৭ থেকে ১৯৭১—এই ২৪ বছর ধরে পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানকে তদানীন্তন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী যেভাবে ‘অভ্যন্তরীণ কলোনি’ হিসেবে লুণ্ঠন, শোষণ, বঞ্চনা, পুঁজি পাচার ও অমানুষিক নিপীড়নের অসহায় শিকারে পরিণত করেছিল, সে সম্পর্কে নিচে কয়েকটি নজির উপস্থাপন করছি। এগুলো জানার পর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী কারোরই পাকিস্তানপ্রেমী হওয়া অযৌক্তিক। কেউ যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতবিরোধী হয়, সেটাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করলে দোষণীয় নয়। কিন্তু পাকিস্তান তো এখনো বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার জনগণ ছিল পাকিস্তানের জনগণের ৫৬ শতাংশ, কিন্তু উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্তগুলো প্রমাণ করছে, কত নির্মমভাবে পাকিস্তানের শাসকমহল পূর্ব পাকিস্তানকে (‘পূর্ব বাংলা’ থেকে যার নাম ১৯৫৫ সালে হয়েছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান’) বঞ্চনা, শোষণ, লুণ্ঠন, পুঁজি-পাচার ও বৈষম্যের শিকার করেছিল—১. প্রাথমিক পর্যায়ে পাকিস্তানের রপ্তানি আয়ের ৭৫-৭৭ শতাংশই...
পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশ যে দাবি করেছিল, তার সঙ্গে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বিবৃতিতে। মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং স্বাধীনতাপূর্ব অভিন্ন সম্পদে হিস্যা দাবির কথা বলেছিল বাংলাদেশ। বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের বিবৃতিতে এই বিষয়গুলোর উল্লেখ নেই। বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুই দেশের সচিব পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেড় দশক পর হওয়া এই বৈঠকে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের জন্য অমীমাংসিত বিষয়ের সমাধান চায় ঢাকা। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, স্বাধীনতাপূর্ব ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার চেয়েছে। এ ছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার বিষয় বলেছে। এর এক দিন পর শুক্রবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক সম্পর্কে...
অন্তর্বর্তী সরকার প্রো-বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে।” পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা বলেন। বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড শতাব্দী ধরে অসংখ্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হাত মিলিয়েছে। একই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জাপানে বোমাবর্ষণ করেছিল, কিন্তু পরে তারা মিত্রে পরিণত হয়।” আরো পড়ুন: অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতার বিষয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য নাকচ ভারতের তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কি পাকিস্তানপন্থী হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি...
বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান। বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ তার দেশের নেতৃত্ব দেন। এর আগে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- তা বিস্তারিত জানা না গেলেও, দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আর রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের জন্য বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কেননা এক যুগের বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক এটি। এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব। সূচি অনুযায়ী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর আমনা বালুচের প্রধান উপদেষ্টা ড....
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ১৫ বছর পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম ফরেন অফিস কনসালটেশন বা এফওসি বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পারস্পরিক বোঝাপড়া আর রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের জন্য বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। এই বৈঠকে অংশ নিতে গতকাল বুধবার আমনা বালুচ ঢাকায় আসেন। প্রায় দেড় দশক পর স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তান উদ্যোগী হয়েছে। আর ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী বাংলাদেশও। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব...
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে।শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয় এম এ জি ওসমানীকে।সেই সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনসার সদস্য।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন...
দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ। তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে। সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে। বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ...
নামাজ-রোজার মতোই পহেলা বৈশাখ-পাহাড়ি উৎসব আমাদের সংস্কৃতি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সরকার। প্রতি বছর এপ্রিলে সংস্কৃতি আলোচনায় আমরা মেতে উঠি। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করেই আমাদের এ মেতে ওঠা। কেন এই মেতে ওঠা? মেতে ওঠার ইতিহাসটি নতুন তো নয়ই, উল্টো এই মেতে ওঠার সঙ্গে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরস্পরের হাত ধরে চলছে, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা এখনও পূর্ণতা পায়নি বলে প্রতি বছর এই মেতে ওঠা। সাধারণ ধারণায় ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে লাখ লাখ পাকিস্তানি এ দেশে রয়ে গেছে। পরাজিত জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি ও তাদের তৎপরতা যে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূমিতে একটি বাস্তবতা। মধ্যযুগে বা সামন্তকালে এমন পরাজিতদের সাধারণত হত্যা করা হতো অথবা ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হতো। এ বাস্তবতার মোকাবিলায় আদালত বা...
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশের ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) দাবিকে সমর্থন করেছেন। এই দাবিকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতা ঘোষণার মূল ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। কিন্তু এই আদর্শগুলো ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে গণমানুষের প্রত্যাশা সব সময় উপেক্ষিত হয়েছে এবং মানুষের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার সভা ও সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনায় জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ সভার আয়োজন করে।জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আমলে না নিয়ে গোঁজামিল দেওয়া হয়েছিল। সেটার ওপর...
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কমিশনগুলোর প্রস্তাবাবলি নিয়ে বিএনপির মতামত বিভক্ত। কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে তারা পুরোপুরি ঐকমত্য পোষণ করেছে এবং কিছুর সঙ্গে আংশিক। অন্যদিকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দলটি অবস্থান নিয়েছে। ফলে অনেকে মনে করছেন, বিএনপি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেইমানির নামান্তর বলে গণ্য হচ্ছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণের মূল কারণ ছিল শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত। এ উদ্দেশ্যে সব দল-মত-গোষ্ঠীর মানুষ একত্রিত হয়েছিল। আগস্টের ৩ তারিখে শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা’ বিলোপের কথা তুলে ধরলেও এ জন্য কোনো কর্মপরিকল্পনা ছিল না। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি এখন দাবি করতে পারে– তারা বর্তমান প্রস্তাবিত উপায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধনের একটি উপায় বটে, তবে একমাত্র নয়।...
পাঠ্যপুস্তকে তাঁর জীবনী নেই। অথচ কোথায় ছিলেন না তিনি! ১৯৪৩ সালে অবিভক্ত বাংলার দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের পাশে ছিলেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়ে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে মানবিক ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছিলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে গিয়ে অভয় দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৯ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-বিধ্বস্ত পূর্ব পাকিস্তান, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলের সংখ্যালঘু ও উদ্বাস্তুদের আশ্বস্ত করতে এবং তাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে ঐতিহাসিক ‘নেহরু-লিয়াকত’ চুক্তি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ষাটের দশকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক থাকাকালে রেড ক্রসের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি তাঁর মামা অবিভক্ত বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে ১৪৪ ধারা ভেঙেছিলেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের...
লালমনিরহাট শহরের বিডিআর রোডে শিশুপার্ক–সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারক মঞ্চে স্থাপিত ম্যুরালের একাংশ ভেঙে ফেলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। ম্যুরালটি ভাঙার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ১৪০ ফুট দীর্ঘ ম্যুরালটিতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার, ’৭১-এর গণহত্যা, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণসহ জাতির গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা চিত্রিত ছিল। যা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলছিল। এই ম্যুরাল দেখে সাধারণ মানুষ তথা তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারত। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের আগে দুই দফা ম্যুরালটি ঢেকে রাখা হয়। তখন জেলা প্রশাসক দাবি করেছিলেন, চব্বিশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে এটি ঢেকে...
সাড়ে সাত কোটি বাঙালি স্বাধীন হয়েছিল ঠিক ৫৪ বছর আগে—১৯৭১ সালে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সেই বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছিল ২০ নভেম্বর, বারের হিসাবে দিনটি ছিল শনিবার। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, মা-বোনদের ধর্ষণ, মুক্তিবাহিনী ও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালাচ্ছিল। তাই একাত্তরে বিজয়ের প্রতীক্ষায় থাকা স্বজন হারানো বাঙালির ঈদ–আনন্দ ‘ম্লান’ হয়ে গিয়েছিল বলে স্মৃতিচারণামূলক বিভিন্ন লেখা ও সাক্ষাৎকারে তথ্য পাওয়া যায়। ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি যুদ্ধ হয়। বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, আহত হন অনেকে। অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য যুদ্ধে মারা যান, অনেকেই আবার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন।১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বাণী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা চলছে। কখনো ডিসেম্বর, কখনো জুন, কখনো মার্চ বলে জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, যে দল ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা গণপরিষদ নির্বাচন চাইতে পারে। কিন্তু, যে ছেলেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে, তারা কার ইন্ধনে বা নির্দেশে গণপরিষদ চায়, এটাই আমার প্রশ্ন। গণপরিষদ তো হয় বিচ্ছিন্ন কোনো দেশের ক্ষেত্রে। ২০২৪ সালে তো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি, স্বাধীনতা তো অর্জন হয়েছে ১৯৭১ সালে। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জের তামাইয়ে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন, তাদের বিচার আমরাও চাই। সে বিচার করতে কয়...
আসমা, নাজমা আর ফাতেমা ছিলেন পিঠাপিঠি তিন বোন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মর্টার শেল হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা। চট্টগ্রামের চকবাজারের কাছে ঘাসিয়াপাড়ায় এক বাড়ির পাশে মসজিদ–সংলগ্ন একই কবরে দাফন হয়েছিল তিন বোনের। সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মর্টার শেল হামলায় একসঙ্গে নিহত হয়েছিলেন আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে থাকা ১৬ জন। আহত হয়েছিলেন অনেকেই।১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের ঘাসিয়াপাড়ার সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কখনো ইতিহাসে গুরুত্ব পায়নি, কেউ আগ্রহ দেখাননি বলে অভিযোগ করলেন নিহত তিন বোনের বড় ভাই। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক নিজের বোনদের স্মৃতিচারণা করতে করতে দেখালেন বোনদের ব্যবহার করা পোশাক। এত বছর পরও বোনদের স্মৃতিকথায় কণ্ঠ ধরে এল তাঁর।মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এই তিন বোনের স্মৃতি নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ‘ত্রিবেণী’ শিরোনামে...
ইতিহাস সৃষ্টির কাজ খুব সহজ নয়। কোনোকালেই তা সহজ ছিল না। ইচ্ছা করলেই ইতিহাস সৃষ্টি করা যায় না; ইতিহাসের নিয়মেই ইতিহাস জন্ম নেয়। সেই অর্থে বলা চলে, ইতিহাস স্বয়ম্ভু। তবে এও সত্য, মানুষই ইতিহাস সৃষ্টি করে। যারা সেটি করেন, তাদের আবার ইতিহাসই সৃষ্টি করে। এই উপমহাদেশের যেসব মনীষীর নাম আমরা শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করি; যাদের মনে করি ইতিহাসের স্রষ্টা, তাদেরকে ইতিহাসই সৃষ্টি করেছে। নেতাজি সুভাষ বোস, মহাত্মা গান্ধী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান– তারা সবাই ইতিহাসের সৃষ্টি। একই সঙ্গে ইতিহাসের স্রষ্টা। ইতিহাসের আরেকটি সত্য হলো, ইতিহাস বদলায় না। তবে এর বয়ান বা ন্যারেটিভ বদলায়। বয়ান বদলালেই ইতিহাস বদলায় না; ইতিহাস ইতিহাসের জায়গাতেই থেকে যায়। যেমন নবাব সিরাজউদ্দৌলার কথাই ধরা যাক। প্রায় দেড়শ বছর এ দেশের মানুষ জেনে আসছিল– সিরাজ...
চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে মুসলিম জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। তাই চব্বিশের স্বাধীনতার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি বলে দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বুধবার (২৬ মার্চ) বাদ মাগরিব স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলায়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ দাবি করেন। দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেন, উপমহাদেশের মানুষ ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্তির জন্য ১৯০ বছর ধরে সংগ্রাম করার পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট প্রথম মুসলমানরা পাকিস্তান রাষ্ট্রের নামে স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই স্বাধীনতার উপর ভিত্তি করেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আমরা ফের স্বাধীনতা অর্জন করি। আরো পড়ুন: ঢাবিতে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ছাত্রদল নেতার ইফতার বিতরণ নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকবে না...
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে আলোচনা সভা, কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদের রুহের মাগফিরাত, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়। বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী এই বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। আরো পড়ুন: স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ এবং আজকের বাংলাদেশ অর্জন-অগ্রগতি তুলে ধরে জাতিকে সম্ভাবনার বার্তা প্রধান উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে পেরেছি। সকল বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম...
‘স্বাধীনতা’ শব্দটি উচ্চারণ মাত্র আমাদের চেতনায় এমন এক অনুভূতি সঞ্চারিত হয়, যা পরম আনন্দের। মুক্ত বাতাসে উড্ডীন পাখির যে অবারিত উন্মুক্ত পৃথিবী, তার নাম হয়তো স্বাধীনতা। কিন্তু এই উপমায় কি স্বাধীনতার তাৎপর্য সবটুকু বোঝা যায়? নিজেকে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিই— না, বোঝা সম্ভব নয়। স্বাধীনতা এমন এক মুক্তির স্বাদ যা কোনো উপমাতেই পরিপূর্ণ করা সম্ভব নয়, এ আনন্দ অনির্বচনীয়। এ কেবল অনুভব করবার বিষয়। প্রিয় পাঠক কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি অনেকেই পড়েছেন। ‘রবিঠাকুরের অজর কবিতা অবিনাশী গান’ থেকে শুরু করে ‘ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা মহান পুরুষ’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের তুলনা দিয়েও স্বাধীনতার আনন্দ আর বিশালতা শেষ করতে পারেননি কবি। গ্রামের পুকুরে অবাধ উচ্ছ্বল সাঁতারের উপমায়ও তা পরিপূর্ণ হয় না। তাই কবি...
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তুলনা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে পড়েছেন ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। পরে ক্ষমা চান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। আজ বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করেন, এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করে নেওয়া হয়। পরে আগত অতিথিরা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন...
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস খোয়াবনামা লেখার পর ১৯৭১ সালকে ধরে একটা উপন্যাস দাঁড় করানোর প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তাঁর এ পরিকল্পনায় বগুড়ার একটা পীরের পরিবার ছিল কেন্দ্রে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ‘পীরবাড়ি’ বলে পরিচিত বাড়ির সাতজন ছেলেকে এক রাতে খুন করেছিল। ধর্মের নামে এ রকম অসংখ্য বর্বর হত্যাকাণ্ড করেছে তারা এবং তাদের এদেশীয় সহযোগীরা। ইলিয়াসের পরিকল্পনা ছিল মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলের পুরো জগৎ, সমাজ, ইতিহাস, চৈতন্য আর পরম্পরাকে আবিষ্কার করা। সেভাবেই তিনি কাজ করছিলেন। এর জন্য পাহাড়ি এলাকাসহ বহু স্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ক্যানসারের জন্য ইলিয়াসের পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে তখন। মহাশ্বেতা দেবীর কাছে সেই সময়ে তাঁর লেখা এক চিঠিতে তিনি যা লিখেছেন—আমাদেরও যা বলতেন—তা মোটামুটি এ রকম, ‘আমার তো পা নাই। তা-ও দেখি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কতটা পাহাড়ে উঠতে পারি, কাজ করতে পারি।...
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্ব সংগঠিত হয়েছে। এখন দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান।’ বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, “পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল তা নিরসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। গত ৫৪ বছর ধরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে দেশ পরিচালনা করার কারণেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।” আরো পড়ুন: শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি ছাত্রদলের অভিযোগ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একক সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা চলছে তিনি আরো বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্যের চেতনা, সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক...
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘বেহাত বিপ্লব’ কথাটা ঘুরেফিরে আসে। কথাটার পেছনে মূল ভাবটুকু হলো বিপ্লবের সুফল থেকে মানুষ বঞ্চিত হয় বা হয়েছে। আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের উষালগ্নে দাঁড়িয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন, কেন বা কোন প্রক্রিয়ায় এই হাতছাড়া হওয়ার ঘটনা ঘটে, আর কখনই–বা আমরা সেটা দেখতে পাই? বিপ্লবোত্তর সমাজ গঠনের কালে যখন দেখা যায়, যে ব্যবস্থা, যে কাঠামো কিংবা আজকের আলোচিত পরিভাষায় যে বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, সেই ব্যবস্থা, কাঠামো ও বন্দোবস্ত সমাজের ভেতর পুনর্বহাল হচ্ছে, কেবল শাসকের মুখ বদলে যাচ্ছে, তখন আমরা বুঝতে পারি যে ব্যক্তি বদল হলেও বিপ্লব তার সুদূরপ্রসারী-গভীরতর লক্ষ্য সাধনে ব্যর্থ হয়েছে। নিপীড়িত জনতার বিপ্লব হাতছাড়া হয়েছে, নিপীড়কের পুরোনো বন্দোবস্ত পুনর্বার ফিরে এসেছে। ১৯৭১–পরবর্তী বাংলাদেশে এমনটিই ঘটেছিল।যে দল ১৯৭১–এর পটভূমি রচনায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তৎকালীন পূর্ব...
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বুধবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা। এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি...
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান...
ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বোধও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি দানা বাঁধতে বাঁধতে প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান অস্বীকারের প্রবণতা একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উঠে এসেছে এ কথাগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ‘গণহত্যা, অস্বীকারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।সহুল আহমদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গণহত্যাকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। গণহত্যা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনার সত্যতার অস্বীকার ঠেকাতে সবার আগে দরকার বিচার।এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম ও লেখক সারোয়ার তুষার। তাঁদের বক্তব্যে...
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণহত্যা আরও বেদনাবিধুর।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই গণহত্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানিদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীরসেনানিদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই...
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি শোষণ, বৈষম্য এবং দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম। এ যুদ্ধে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বাঙালি সেনাসদস্য, পুলিশ, আনসার ও ইপিআর (পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস) প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ২৫ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানি সেনারা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ঢাকায় বর্বর হামলা চালালে বাঙালি সেনারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। বিদ্রোহী বাঙালি সেনাসদস্যদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল সামরিক বাহিনী। পূর্ব পাকিস্তানে থাকা বিভিন্ন সেনা, পুলিশ, ইপিআর ও আনসার সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। বাঙালি সেনারা স্থানীয় জনগণকে সংগঠিত করে বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়, যেখানে প্রতিটি সেক্টরে একজন সেক্টর কমান্ডার...
আজ ২৬ মার্চ, ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনার সূচনা দিন। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে ডাক এসেছিল দেশকে পাকিস্তানি হানাদারের কবল থেকে মুক্ত করার। আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছিল বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মাস বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। জাতি অর্জন করেছিল একটি দেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা। পুরো জাতি আজ...
সরাসরি কোনো ছাত্র সংগঠনের কর্মী না হলেও ’৬৯ ও ’৭০ সালের রাজনৈতিক উত্তাল দিনগুলোতে মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নিই। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল ভারতে যাই। সেখানে ৭ এপ্রিল থেকে শিলিগুড়ির মুজিব ক্যাম্পে মাসব্যাপী গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ শেষে ৬ নম্বর সেক্টরের নীলফামারী জেলা সীমান্তের হিমকুমারী ক্যাম্পে যোগদান করি। সেখানে ১ নম্বর কোম্পানির সেকশন কমান্ডার হিসেবে বিভিন্ন ব্রিজ, কালভার্ট, বিওপি ইত্যাদি ধ্বংস ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার দায়িত্ব পালন করি। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের প্রতিটি দিন অনেক স্মৃতিবিজড়িত। আমাদের তরুণ, যুবক, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক সহযোদ্ধা হিসেবে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে আমাদের সহযোগিতা দিয়েছেন। বিশেষ করে যে গ্রামীণ নারীরা সহযোগিতা দিয়েছেন, তারা এখন ইতিহাসের আড়ালে। ১৯৭১-এর ১৭ ডিসেম্বর রংপুরে ফিরে মেডিকেল কলেজে...
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, যা আমাদের গৌরব, আত্মত্যাগ এবং বিজয়ের প্রতীক। এটি শুধু একটি তারিখ নয়; এটি একটি জাতির দীর্ঘ সংগ্রামের ফল। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতার সংগ্রামের সূচনা হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের শুরু এখান থেকেই। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। এই দিনটিতে তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম এবং শেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সে নির্বাচনের পর বিজয়ী শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে। নির্বাচিতদের কাছে শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তর না করাসহ নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়। ২৫ মার্চ সারাদিন রাজশাহী শহরের মোড়ে মোড়ে চলে স্বাধীনতাকামী বাঙালির মিছিল ও সমাবেশ। দিনভর মুহুর্মুহু বিক্ষোভ চলে। এরপর দিনের সূর্য...
মোমবাতি প্রজ্বালন করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রির শহীদদের স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শিখা চির অম্লান প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ অনেকে অংশ নেন। এ সময় প্রায় শতাধিক মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে রাজধানীর কর্মক্লান্ত মানুষ যখন ছিলেন গভীর নিদ্রায় অচেতন, তখন সেই নিরপরাধ নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর ট্যাংক, মর্টার, মেশিনগান, রাইফেলসহ অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের হানাদার বর্বর সেনাবাহিনী। তারা নির্বিচারে বিভিন্ন স্থানে চালিয়েছিল গণহত্যা। নিরীহ মানুষের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে রাতের বাতাস। একটি রাতে এমন বর্বর গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।২২ মার্চ থেকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এবারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এর অংশ হিসেবে আজ মোমবাতি প্রজ্বালন এবং আগামীকাল...
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ, ২০২৫) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনছার আলী। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. হারুন-অর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ প্রামানিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. তানজিউল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী বলেন, “১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির জীবনে এক বিভিষীকাময় রাত নেমে আসে। ২৫ মার্চ মধ্য রাতে বর্বর...