2025-11-02@21:44:48 GMT
إجمالي نتائج البحث: 22

«শ ল পকর ম প রদর শ»:

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’ শুরু হয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।  আরো পড়ুন: জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব ঢাবি উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, শিল্পাচার্য তনয় প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ড. নাসিমা হক মিতু। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিল্পের কোন সীমা নেই। এর একটি শাশ্বত...
    নিলামঘর সদবিস গতকাল শুক্রবার ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটেলানের তৈরি সম্পূর্ণ সোনার টয়লেটটি নিলামে তোলার কথা ঘোষণা করেছে। এ ভাস্কর্যটির নাম ‘আমেরিকা’।সদবিস জানিয়েছে, এ শিল্পকর্ম এটাই দেখাতে চায়, কখনো কখনো শিল্পের ‘মূল্য’ আর তার বাজারে বিক্রির ‘মূল্য’ এক নয়। এটি শুধু শিল্পকর্মই নয়, একটি পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য টয়লেটও। এ টয়লেটেরই অনুরূপ একটি সংস্করণ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ব্লেনহাইম প্রাসাদ থেকে চুরি হয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে।১৮ নভেম্বর নিউইয়র্কে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। টয়লেটটির সর্বনিম্ন দর ধরা হয়েছে এর সোনার বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী। এতে ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১০১ দশমিক ২ কিলোগ্রাম (২২৩ পাউন্ড) খাঁটি সোনা, যার দাম এখন প্রায় ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) মার্কিন ডলার (প্রায় ১২২ কোটি টাকা)।সদবিসের নিউইয়র্ক শাখার সমসাময়িক শিল্প বিভাগের প্রধান ডেভিড গ্যালপারিন বলেন, ক্যাটেলান হচ্ছেন এমন একজন শিল্পী, যিনি...
    বিগত শতকের ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫, এই দুই দশক ছিল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের খুবই তাৎপর্যময় ঘটনাবহুল সময়। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও এই কালপর্বে সমাজতন্ত্রের পতনসহ এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা মানুষের বিশ্বাস, আদর্শ, চিন্তা, অভিব্যক্তি ও জীবনাচরণে নানাভাবে প্রভাব রেখেছে। শিল্পীদের ভাবনায় সমকাল কেমনভাবে তার সৃজনকলায় উদ্ভাসিত হয়েছিল, তার একঝলক দেখে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হলো কলাকেন্দ্রে।গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন বিকেলে লালমাটিয়ার ডি ব্লকের ৯/৪ নম্বর বাড়ির কলাকেন্দ্রে শুরু হলো ‘ফিরে দেখা’ নামে ১৪ শিল্পীর যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।এই প্রদর্শনীতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ পর্বে যাঁরা চারুকলার শিক্ষার্থী ছিলেন, তাঁরা পরবর্তীকালে ‘ঢাকা পেইন্টার্স’, ‘সময় গ্রুপ’সহ বেশ কিছু গোষ্ঠী গড়ে তুলেছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকেই কাজী রাকিব, দীপা হক, ঢালী আল মামুন, দিলারা বেগম জলি, নিসার হোসেন, শিশির ভট্টাচার্য, সাইদুল হক জুইস, ফারেহা জেবা,...
    বই হারিয়ে যাচ্ছে। মুঠোফোন থেকে শুরু করে বিলাসী পণ্য—এমন অনেক কিছুর কাছে পরাজিত হচ্ছে বই। তাই অন্য রকম করে বইকে তুলে ধরতে চেয়েছেন শিল্পীরা। সেখানে এমব্রয়ডারি মাধ্যমে বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে নারীর জীবনের যন্ত্রণা, হাতে লেখা বইয়ে সুফি দর্শনের কথা, প্রিন্ট মাধ্যমের বইয়ে সীমান্তের মানুষের কষ্টের কথা।এমন ২৮টি শিল্পকর্ম নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোডে বৃত্ত আর্ট ট্রাস্টের গ্যালারিতে শনিবার সন্ধ্যায় শুরু হয় পুস্তকালয় প্রদর্শনী।বৃত্ত আর্ট ট্রাস্টের প্রধান শিল্পী মাহবুবুর রহমান জানান, ২০২২ সালে একটি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছিল। সেখান থেকে তৈরি হয়েছিল এমন কিছু বই। এখানে ২৩ জন শিল্পীর ২৮টি বই রয়েছে।প্রদর্শনীর কিউরেটর মাহমুদা সিদ্দিকা জানান, শিল্পীদের হাতে বানানো এই বইগুলোর কিছু অংশ ভারতের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে এর আগে। বাংলাদেশে এটাই প্রথম প্রদর্শনী।এ আয়োজনের আরেকজন কিউরেটর শিল্পী মোকাদেসুর রহমান জানান,...
    সাদা ক্যানভাসে চারকোলে আঁকা চিত্রকর্ম। তাতে তুলে ধরা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এরূপ ১৫টি চিত্রকর্ম নিয়ে শিল্পী জারিন তাসনিমার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী ‘মাটি, মূর্তি ও মানস’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উত্তরার এলবিয়ন আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এটি চলবে ১১ ‍জুলাই পর্যন্ত। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‍উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামীম রেজা। নিজের প্রথম প্রদর্শনী ও শিল্পকর্মের অভিজ্ঞতা জানিয়ে জারিন তাসনিমা বলেন, কাজের মূল উৎসাহটা আমি পেয়েছি বাবার কাজের সুবাদে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে আমার। দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ঘুরে...
    টুকরো টুকরো মেঘ ভাসছে আকাশে। নিচে নিবিড় সবুজ গাছপালার সারি। তার ভেতর দিয়ে এঁকে-বেঁকে বয়ে গেছে নদীটি। এক পাশে সিঁড়ি বাঁধানো ঘাট। সেখানে বজরা নোঙর করে আছে। অন্য তীরে নৌকা বেয়ে যাচ্ছে মাঝি। ‘ধানসিঁড়ি নদী’। কবি জীবনানন্দ দাশ বরিশালের ঝালকাঠির এই ধানসিঁড়ি নদীর সৌন্দর্য চিরকালীন করে রেখেছেন তাঁর কবিতায়। সেই ধানসিঁড়ি নদীকে রঙে রেখায় রঙিন করে তুলে এনেছিলেন বাংলার প্রকৃতির আরেক নান্দনিক রূপকার বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। ঝালকাঠিতে কোনো এক আর্টক্যাম্পে গিয়ে ২০০২ সালে জলরঙে নয়নাভিরাম করে এঁকেছিলেন ধানসিঁড়ি নদীটিকে। সেই ছবি এখন চিত্রকলা বা কবিতার অনুরাগীরা দেখতে পাবেন উত্তরার গ্যালারি কায়ায়।বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যাত্রার ২১তম বছর পেরিয়ে এল গ্যালারি কায়া। সে উপলক্ষে ‘২১তম বর্ষপূতির প্রদর্শনী’ নামে এক বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর ধানসিঁড়ি নদীর ছবিসহ...
    কলাকেন্দ্রে কালো দেয়ালের আবহে মিশে ছিল ধোঁয়াটে হলুদ আলো, আর তার মধ্যেই চলছিল প্রদর্শনী ‘কালের হালখাতা’। এই প্রদর্শনীতে শিল্পী সাইদুল হক জুইস এক হিসাবরক্ষকের ভূমিকায়, তবে তাঁর খাতায় লেখা হচ্ছে মানুষের রক্তের হিসাব। প্রদর্শনীটি গণহত্যাকে কেন্দ্র করে নির্মিত। এটি একাধারে গভীর শোকের প্রকাশ এবং রাষ্ট্রীয় ও সাম্রাজ্যিক দানবীয়তার বিরুদ্ধে এক তীক্ষ্ণ অবস্থান।এই প্রদর্শনীতে শিল্পী কাজ করেছেন গণহত্যা নিয়ে। ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ের নিহত মানুষেরা যেন বর্তমান দর্শকদের সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁদের চেতনার পরীক্ষা নিতে এসেছে। লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্রে সাইদুল হক জুইসের শিল্পকর্ম নিয়ে ‘কালের হালখাতা’ নামে অনুষ্ঠিত হয় এই শিল্প প্রদর্শনী।প্রদর্শনীর জন্য কলাকেন্দ্রের গ্যালারি পরিণত হয়েছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত এক পরিসরে। আলো ছিল নরম ও উষ্ণ, আর তা আছড়ে পড়ছিল দেয়ালে ঝোলানো ইনস্টলেশনগুলোর ওপর। শিল্পী এমন এক ভিজ্যুয়াল পরিবেশ তৈরি করেছিলেন, যেখানে লাল...
    পরিবার নিয়ে অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস করে আসছেন নন্দিত অভিনেত্রী, লেখক ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত। তাঁর ছেলেরা সেখানেই পড়াশোনা করছেন। অভিনয়ে তাঁকে পাওয়া না গেলে যুক্তরাষ্ট্রে বসে আঁকাআঁকি চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। সেখানে তাঁর আঁকা ছবির একক প্রদর্শনীও হয়েছে বেশ কয়েকটি। সেগুলো শিল্পমনস্ক মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।  এবার তিনি যুক্ত হলেন, আন্তজার্তিক শিল্পকর্মের দল ‘দ্য আর্ট ডোম’ এর সঙ্গে। ‘আর্ট ডোম’ বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তুলতে এবং শিল্প সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য তৈরিকারীদের জন্য দরজা খুলে দিতে কাজ করে আসছে। এখন থেকে ওই দলের হয়ে কাজ করবেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে আর্ট ডোমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিপাশার ছবি শোভা পাচ্ছে।  দ্য আর্ট ডোমের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে বিপাশা বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে এখন থেকে, আমার শৈল্পিক যাত্রা দ্য আর্ট ডোমের সঙ্গে অব্যাহত থাকবে।...
    আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রাচ্য-চিত্রকলা অনুশীলন সংঘ ও লার্নিং ডিজাইন স্টুডিয়োর 'পবিত্র শান্তির জাগরণ : বাংলার বুদ্ধ' শিরোনামের প্রদর্শনী। মিখাইল ইদ্রিসের কিউরেশনে এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ৭৩ জন শিল্পীর শতাধিক শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। যেখানে বুদ্ধের জীবন, দর্শন এবং আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের চিরন্তন ভাবনাগুলি প্রাচ্য-শৈলীতে প্রকাশ পেয়েছে। প্রদর্শনীতে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য ও সিরামিকসহ বিভিন্ন মাধ্যমের কাজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেখানে ঐতিহ্যবাহী কৌশল ও সমসাময়িক শৈল্পিক ভাষার সংমিশ্রণ ঘটেছে। শিল্পীরা ব্যবহার করেছেন তেলরং, জলরং, গোয়াশ, ওয়াশ, এগ টেম্পারা, রিভার্স পেইন্টিং, বাটিক, চারকোল, কলম, অ্যালকোহল বেসড কালির কাজ এবং এমনকি অগ্নিদগ্ধ বঙ্গবাজারের ছাই—যা রূপান্তর ও পুনর্জন্মের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। দর্শনার্থীরা আরও দেখতে পাবেন রিকশাচিত্র, সিনেমার ব্যানার চিত্র, ক্যালিগ্রাফি,  সুঁই সুতার কাজ প্রভৃতি। প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে সেমিনার, শিল্পালোচনা, পুথিপাঠ, চর্যাগান, নৃত্য-সংগীতের...
    শিল্পী আবু সেলিম দেশের পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহ দৃশ্য তুলে ধরেছেন তাঁর শিল্পকর্মে। অবাধে চলছে বৃক্ষনিধন। নদী ভরে গেছে পলিথিন আর হরেক রকম দূষণে। দূষিত হচ্ছে বায়ু। শহরে যানবাহনের উচ্চ শব্দের হর্নে কানে তালা লেগে যায়। পরিবেশদূষণের এমন ভয়াবহ বিষয়গুলো নিয়ে শুরু হয়েছে তাঁর ‘পরিবেশ বাঁচাও’ নামের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘গ্যালারি জুম’–এ তাঁর এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পরিবেশ রক্ষার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে কাজ করছে।বিশেষ অতিথি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, পরিবেশদূষণ যে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা আবু সেলিম শিল্পকর্মের ভেতরে তুলে ধরেছেন। এতে জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাপার সাধারণ...
    দোর ঘণ্টি শোনার পর শিল্পী ঢালী আল মামুন নিজে দরজা খুলে ভেতরে আমন্ত্রণ জানালেন। পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে বসার ঘর। স্টিলের কাঠামোর ওপর তৈরি খুব কম উচ্চতার বসার সোফা। এক পাশে ডিভানের মতো আরেকটি বসার জায়গা করে ওপরে জুড়ে দেওয়া হয়েছে গদি। ঘরজুড়ে শোভা পাচ্ছে মেলা থেকে সংগ্রহ করা নানা মুখোশ, পুতুল। ঘরের সব আসবাবে যেন শিল্পের ছোঁয়া। ঘুরেফিরে একদিকের দেয়ালে চোখ আটকে যায়। সেখানে বিশাল ক্যানভাস। সমাজের নানা অসংগতি, ক্ষমতা, দখল, নিয়ন্ত্রণ, নির্যাতন, ইতিহাস ইত্যাদির প্রভাব ফুটে উঠেছে যেন ক্যানভাসের শরীরজুড়ে। বসার ঘরের পাশে লম্বা খাবার টেবিল। সেখানে বসলেন তিনি। টেবিল-চেয়ারগুলো সাধারণের মাঝেও যেন অনন্য। টেবিলের ওপর প্লেটের নিচে দেওয়ার জন্য প্লেসমেট কিংবা চায়ের চামচ এসব থেকে চোখ সরিয়ে যেই চোখ পড়ল শিল্পীর চোখে; তখনই কেন যেন মনের ক্যানভাসে...
    রাজধানীর কলাকেন্দ্রে যখন চলছে সাইদুল হক জুইসের প্রদর্শনী বনবিবির খোঁজে, তখন কাছে দূরে বহু স্থানে, ‍সুন্দরবনে তো বটেই, চলছে বনভূমি ধ্বংসের কাজ। যদি বন না থাকে, বনবিবি মিলবে কোথায়?   হাজার বছর ধরে মানুষের বিশ্বাসে বেঁচে আছে বনদুর্গা বা বনবিবি। এখন শিকারিরা নিজের প্রতিও সহানুভূতিহীন। স্বার্থপরতা তো আত্মহত্যার মতোই। মানুষ এখন আত্মহত্যা করছে। বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। বনবিবি নেই। পেলে তো আর শিল্পী বনবিবির খোঁজে বেরোতেন না। শিল্পীর কাজ জড়ের জগৎকে জীবনের জগতে পরিণত করা। কলাকেন্দ্রে চলমান সাইদুল হক জুইসের বনবিবির খোঁজের ছবি, ভাস্কর্য, উপস্থাপনাকর্ম দেখে মনে হলো, খোঁজ মিলতে চলেছে। ভক্তের আহ্বানে মা অলক্ষ্যে এসে উপস্থিত হবেন– এটাই স্বাভাবিক।  শিল্পকর্মগুলোর নামের ভেতর অভিযান ও অনুসন্ধানী মেজাজ স্পষ্ট। বনবিবির খোঁজে, কোথায় খুঁজে পাব, কোথায় খুঁজে পাব তারে, সুন্দরবনের ইতিকথা এমন শিরোনামের...
    ‘বনবিবি কহে, “মোর বাঘেরে দিতে পারে অ্যাসাইলাম বিদেশেতে/ জীবন ঝুঁকিতে আছে বড় বেশি মানুষের বন্দুকের গুলিতে/ মিডিয়া–পত্রিকাতে আমার বাঘের ছবিতে ভরিয়া যাইবে/ বেঙ্গল টাইগার এবার রক্ষা পাইলো অ্যাসাইলামেতে।”’ সুন্দরবনের পৃথিবী বিখ্যাত বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্বের বিপন্নতা এভাবেই বনবিবির উক্তি মিলিয়ে তুলে ধরেছেন শিল্পী সাইদুল হক জুইস। শুক্রবার থেকে রাজধানীর লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্রে সুন্দরবন নিয়ে তাঁর একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘বনবিবির খোঁজে’ শুরু হয়েছে। বনবিবি সুন্দরবনের লৌকিক দেবী। লোকবিশ্বাস অনুসারে, তিনি বন রক্ষা করেন। মৌয়াল, জেলে, কাঠুরেসহ সুন্দরবনকেন্দ্রিক পেশার অনেকেই মনে করেন, বনবিবি যদি তুষ্ট থাকেন, তাহলে তাঁরা বনে থাকাকালে বাঘ, সাপ, কুমিরের ভয় থাকবে না। এই লৌকিক দেবীকে প্রতীক হিসেবে অবলম্বন করে শিল্পী সাইদুল হক জুইস তাঁর শিল্পকর্মে সুন্দরবনের বিপন্নতাকে তুলে ধরেছেন।প্রদর্শনীতে বড় আকারের অ্যাক্রিলিকের চিত্রকর্ম, কালি–কলমের রেখাচিত্র, বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তৈরি ভাস্কর্য...
    রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারির ডানে অ্যাক্রিলিক মাধ্যমে আঁকা একটি চিত্রকর্ম চোখে পড়ল। চিত্রকর্মে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যার চিত্র সবই উঠে এসেছে। ঢাকা আর্ট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রওশন আরার আঁকা চিত্রকর্মটিতে উঠে আসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগও। চিত্রশিল্পটির মতো দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আন্দোলন, সংগ্রামী মানুষ, গ্রামীণ জীবন, নদী, প্রকৃতি, সুন্দরবনসহ ১০০টি চিত্রকর্মে সাজানো হয়েছে শিল্পকলার আর্ট গ্যালারি। দেশের ৫২ জন শিল্পীর শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।নর্থ ক্যানভাস বাংলাদেশের আয়োজনে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এই চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী আজ রোববার রাত ৯টায় শেষ হয়েছে। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।আজ দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, প্রদর্শনী দেখতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আসছেন। প্রদর্শনীতে একটি চিত্রকর্ম চোখে পড়ল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে। একটি সড়কে...
    অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী রফিকুন নবীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বার্ষিক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে তাকে চারুকলা থেকেই ফিরে যেতে হয় বলে জানা গেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে এ ঘটনা ঘটেছে। অনুষদের পেইন্টিং বিভাগের বার্ষিক প্রদর্শনীর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকজয়ী চিত্রশিল্পী এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুন নবী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসম্মতি থাকায় অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিত্রশিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, “অনুষদের পেইন্টিং বিভাগের বার্ষিকীর প্রদর্শনীর ওই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সোমবার চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে এই প্রদর্শনী শুরু হয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকবাল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।অধ্যাপক মামুন আহমেদ দেশ ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার জন্য শিল্পীসমাজের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিল্পীরা শিল্পকর্মের মাধ্যমে সমাজের নানা অসংগতি ও চারপাশের অদৃশ্য বিষয় সামনে তুলে ধরেন। সৃজনশীল শিল্পকর্মের মাধ্যমে দেশের শিল্পজগৎকে সমৃদ্ধ করার জন্য তরুণ শিল্পীদের ভূমিকা রাখতে হবে।চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘এবারের আয়োজনটা একটু...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে যোগ দিতে এসেছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী (রনবী)। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আপত্তির কারণে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার আগেই তাঁকে ফিরে যেতে হয়। সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০২৪–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে এ ঘটনা ঘটে। এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টায় চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। অধ্যাপক রফিকুন নবীকে এই অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগে তিনি অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের কার্যালয়ে আসেন। এ সময় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে এসেছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ।...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের উদ্যোগে বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের বিএফএ এবং এমএফএ এর ৮১জন শিক্ষার্থীর শিল্পকর্ম নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। চলবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।   অনুষদের ওসমান জামান মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রদর্শনীর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র...
    ‘আমাকে তো প্রদর্শনীর জন্য বছরখানেক আগে চিঠি দিয়েছিল। আমি সময় নিয়ে কাজগুলো করেছি। এগুলো আমার বাসায় তৈরি শিল্পকর্ম। এবারের প্রদর্শনীতে বিমূর্ততা ফুটিয়ে তুলেছি। এদের গ্যালারিটা খুবই সুন্দর। তারা আমাকে সহায়তা করেছে এ প্রদর্শনী করার জন্য।’ এভাবেই নিজের ৪৭তম একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী বিষয়ে বলছিলেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান। গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর বেঙ্গল শিল্পালয়ের কামরুল হাসান প্রদর্শনশালায় এই গুণী ভাস্করের নানান মাধ্যমে তৈরি শিল্পকর্ম নিয়ে শুরু হয় এ প্রদর্শনী। বিভিন্ন রং কিংবা এক রং, দুই রঙে আঁকা একটি আকৃতি। একজন দর্শকের কাছে সেটি ভয় বা আতঙ্ক, অন্যজনের কাছে সুখের প্রতীক। মানবমস্তিষ্কে অনবরত ঘুরতে থাকা এই রহস্যের একটি অংশ হলো বিমূর্ততা। এই বিমূর্ততাকেই শিল্পী তাঁর কাজে তুলে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় নিয়ে কাজগুলো করেছি। আমি মনে করি, আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো...
    আজ আমরা যারা কিংবদন্তি ভাস্কর নভেরা আহমেদের নাম জানি, তাঁর  উত্থান হয়েছিল অনগ্রসর ও শিক্ষায় পশ্চাৎপদ এক সমাজে। তখনকার সমাজের গড়ন, বর্তমানের মতো এত অগ্রসর ছিল না। কারণ তখন শিল্পচর্চার খুব সহায়ক পরিসর ছিল না। পারিবারিক আর সামাজিক প্রথার দেয়াল ডিঙিয়ে শিল্পচর্চা যে কারো জীবনের অংশ হতে পারে সে কল্পনাও ছিল সাধ্যের অতীত। সেই সাধ্যের অতীতের আগল ভেঙেছেন মুষ্টিমেয় যে ক’জন শিল্পী, তাদের ভেতর অন্যতম প্রধান চরিত্র নভেরা আহমেদ। এমন কি, বর্তমানে আমরা যে শিল্পকলা সম্পর্কে আলোচনার সুযোগ পেলাম, সেটার বিদ্যাপীঠ থেকে নানাব্যক্তিক পাটাতনও সৃষ্টি করেছিলেন পূর্ববাংলা তথা বাংলাদেশের প্রথমদিকের শিল্পীরাই। তাদের সৃষ্টির পথই আজ আমাদের অগ্রসর হওয়ার পাথেয়। সে পথের অনন্য স্রষ্টা নভেরা আহমেদই হলেন বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যকলার প্রাথমিক রূপকার।      বালিকাবেলা থেকে নভেরা আহমেদ [১৯৩৯—২০২৫]...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ের ‘রাজু স্মারক ভাস্কর্য’ বাস্তবে, ছবিতে বা টেলিভিশনের পর্দায় দেখেননি দেশে এমন মানুষ কম। দাবিদাওয়া, প্রতিবাদ–প্রতিরোধ আন্দোলন শুরুর পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে সড়কদ্বীপের এই বৃত্তাকারে ভাস্কর্যটি। হাতে হাতে বন্ধন রচনা করে দৃঢ় পদক্ষেপে আগুয়ান তরুণ-তরুণীর এই ভাস্কর্য যিনি তৈরি করেছেন, সেই ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী এখন প্রায় নিশ্চল। ঘরের নিভৃতে কাটছে তাঁর দুঃসহ দিনরাত্রি। নিজ বাসাতেই পরিবারের পক্ষে আয়োজন আয়োজন করা হয়েছে ‘অবয়বের প্রতিধ্বনি’ নামে ব্যতিক্রমী এক শিল্পকর্মের প্রদর্শনী।শুক্রবার বিকেলে তিন দিনের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পী মনিরুল ইসলাম ও প্রাবন্ধিক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। শ্যামলীর ৪ নম্বর সড়কের অ্যাম্ব্রসিয়া নামের বাড়িতে প্রদর্শনী আজ শেষ হবে। বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত আসতে পারবেন দর্শকেরা।ভাস্কর শ্যামল চৌধুরীর জন্ম ১৯৬২ সালে নেত্রকোনায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে...
۱