কামড় খেয়ে জীবন্ত গোখরা নিয়ে হাসপাতালে সাপুড়ে
Published: 11th, January 2025 GMT
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের একটি বনে সাপ ধরতে যান সাপুড়ে হুজু মিয়া (৪৫)। গর্ত থেকে সাপ ধরতে গিয়ে সাপুড়ের হাতে কামড় দেয় বিষধর গোখরা সাপ। কামড় খেয়ে সেই গোখরা ধরে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গিয়ে হাজার হন সাপুড়ে। সেখানে তাঁকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া হলে তিনি শঙ্কামুক্ত হন। আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সাপ দেখে ভ্যাকসিন দিয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে সাপুড়েকে পাঠিয়ে দেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ভ্যাকসিন পুশ করা হয়েছে। সাপুড়ে অনেকটা শঙ্কামুক্ত।
সাপুড়ে হুজু মিয়ার পৈতৃক বাড়ি ঢাকার সাভারে হলেও তাঁরা ১০-১২টি পরিবার এক যুগ ধরে সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের রামখা এলাকায় বাস করছেন। তাঁদের পেশা সাপ ধরা ও বিভিন্ন বাজারে সাপের খেলা দেখানো।
সাপুড়ে হুজু মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বানেছা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো সাপুড়ে হুজু মিয়া কচুয়া এলাকার একটি বনে সাপ ধরতে যান। একটি গর্তে সাপের অস্তিত্ব টের পেয়ে কোদাল দিয়ে খুঁড়তে থাকেন। একপর্যায়ে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে আসতেই ধরতে যান হুজু মিয়া। এ সময় বিষধর গোখরা তাঁর হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। সেই কামড় খেয়েও দমে যাননি সাপুড়ে। সাপটি ধরে সোজা চলে যান হাসপাতালে।
হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রোগীর হাতের ক্ষতস্থান ও গোখরা সাপ দেখে হাসপাতালে থাকা সাপে কাটার ভ্যাকসিন সময়মতো পুশ করা হয়েছে। এরপর নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপাতত রোগী সুস্থ আছেন। সাপ সঙ্গে নিয়ে আসায় সাপের কামড়ের ক্ষতস্থান দেখে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা দেওয়া সহজ হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু