মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে বিসমিল্লাহ ডেইরি এন্ড ভি ফ্যাটেনিং নামে একটি খামারে কুপিয়ে ও গলায় তার পেঁচিয়ে ১১টি ভেড়া হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় মিরকাদিম পৌরসভার চন্দনতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

বিসমিল্লাহ ডেইরির শ্রমিক মামুন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার কয়েকজন মাদকসেবী খামারে ঢুকে মাদক সেবন করে আসছে। তাদের মধ্যে চব্দনতলা গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে লিখনও ছিল। তাদেরকে নিষেধ করার পর তিন-চার দিন ধরে আর আসেনি। আজকে সকালে ভেড়াকে খাবার খাওয়াতে গিয়ে ১১টি ভেড়া রক্তাক্ত-মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

খামার মালিক মোহাম্মদ আশিক বলেন, “শ্রমিকের মাধ্যমে জানতে পারি আমার খামারের ১১টি ভেড়া মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে তিনটা ভেড়ার বাচ্চা পেটে আছে। আমার খামারে গরু-ছাগল ও মাছের পাশাপাশি ভেড়াও পালন করি। আমার সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা করেছে সেটাও জানি না। যারা এই অমানবিক কাজ করেছে আমি তাদের বিচার চাই।” 

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাক্তার মোর্শেদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “কয়েকটি ভেড়া কুপিয়ে মারা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ভেড়াকে লিকুইড পদার্থ পুশ করে মারা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।” 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি বলেন, “একটি ঘরের মধ্যে ১১টি ভেড়া মরে পড়ে ছিল। মনে হচ্ছে শত্রুতা করে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রতন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ