টি-২০ থেকে রিজওয়ান-বাবর বাদ, ওয়ানডেতে নেই শাহিন
Published: 4th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের টি-২০ ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দুই দল। ওই সফরের টি-২০ সিরিজ থেকে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সালমান আঘাকে টি-২০’র নেতৃত্বভার দেওয়া হয়েছে।
টি-২০ থেকে বাদ পড়লেও রিজওয়ান ও বাবর ওয়ানডে সিরিজের দলে আছেন। এর মধ্যে রিজওয়ানকে অধিনায়কের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তবে ওয়ানডে সিরিজে নেই বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
পাকিস্তান আগামী ১৬ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু করবে। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। পাকিস্তানের টি-২০ দলে ডাক পেয়েছেন হাসান নওয়াজ, ওমাইর ইউসুফ, ইরফান নিয়াজি, সুফিয়ান মুকিম ও বিপিএল খেলে যাওয়া জাহানদাদ খান।
ওয়ানডে সিরিজে রাখা হয়েছে বিপিএল মাতিয়ে যাওয়া বাঁ-হাতি পেসার আকিফ জাভেদকে। মোহাম্মদ আলী ও ইরফান নিয়াজি আছেন ওয়ানডে দলে। পেসার হারিস রউফকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইনজুরিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিস করা টপ অর্ডার ব্যাটার সাঈম আইয়ূব ফেরেননি এই সিরিজেও।
পাকিস্তানের টি-২০ দল: হাসান নওয়াজ, ওমাইর ইউসুফ, মোহাম্মদ হারিস, আব্দুল সামাদ, সালমান আঘা, ইরফান নিয়াজি, খুশদীল শাহ, শাদাব খান, আব্বাস আফ্রিদি, জাহানদাদ খান, মোহাম্মদ আলী, শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ, সুফিয়ান মুকিম, আবরার আহমেদ ও উসমান খান।
পাকিস্তানের ওয়ানডে দল: মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), সালমান আঘা, আব্দুল্লাহ শফিক, আবরার আহমেদ, আকিফ জাভেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ইমাম উল, খুলদীল শাহ, মোহাম্মদ আলী, ওয়াসিম জুনিয়র, ইরফান নিয়াজি, নাসিম শাহ, সুফিয়ান মুকিম, তাইয়েব তাহির।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইরফ ন ন য় জ ম হ ম মদ র জওয় ন
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।