গাজীপুর নগরের ভোগড়া এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকাল আটটা থেকে মীম গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে প্রায় দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ১০-১২টি কারখানায় আজ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আজ সকাল আটটার দিকে ভোগড়া এলাকার মীম গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ ছাড়া আশপাশের কয়েকটি কারখানায় ঢিল ছুড়ে ও ভাঙচুরের চেষ্টা করে অন্য কারখানার শ্রমিকদের বেরিয়ে এসে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সকাল ১০টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কারখানার শ্রমিক রুবেল মিয়া বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির বেতন এখনো পাইনি। বাড়িভাড়া দিতে পারছি না, বাজার করতেও কষ্ট হচ্ছে। মালিকপক্ষ শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু টাকা দিচ্ছে না। বেতন ছাড়া সংসার চালাব কীভাবে?’ কারখানার ফিনিশিং অপারেটর মমতা আক্তার বলেন, ‘বাচ্চার স্কুলের বেতন দিতে পারিনি, দোকানে ধার নিয়েছি। এখন কেউ বাকিতে কিছু দিচ্ছে না। আমরা পরিশ্রম করি, অথচ সময়মতো বেতন পাই না। বাধ্য হয়েই আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে।’

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২–এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ওয়াহিদুজ্জামান রাজু জানান, শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ ছিল। এ ঘটনায় ১০-১২টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ