প্যারামাউন্ট সোলার লিমিটেডের ২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯টি শেয়ার কিনবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসি। মূলত বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে এই বিনিয়োগ করা হবে। ১০ টাকা দরে এই শেয়ার কিনবে কোম্পানিটি। অর্থাৎ মোট ২৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি।

নতুন এই বিনিয়োগের পর প্যারামাউন্ট সোলার লিমিটেড কোম্পানিতে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের মোট শেয়ারধারীদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯টি। তাতে এই সৌরবিদ্যুৎ কোম্পানিটির ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মালিকানা যাবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের হাতে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মুনাফা কমেছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসির। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৩৪ পয়সা আয় করেছিল কোম্পানিটি।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ১ টাকা ৬৭ পয়সা; গত বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা। এই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ৪২ টাকা ৭১ পয়সা।

গত এক বছরে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৮৪ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪১ টাকা ১০ পয়সা।

প্যারামাউন্ট গত কয়েক বছরে তেমন একটা বোনাস দেয়নি। ২০২৩ ও ২০২২ সালে ১০ শতাংশ; ২০২১ সালে ২০ ও ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এ ছাড়া ২০২১ ও ২০২০ সালে ৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৯ শতাংশ ও ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।

তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।” 

একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।

এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?

তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অকার্যকর সিসি ক্যামেরা, পানি নেই ছয় মাস
  • ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার মামলায় শুনানিতে আদালত বিব্রত
  • নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত, অন্য আদালতে বদলি
  • নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ