গজারিয়ায় শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
Published: 26th, March 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শাহ আলম খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শাহ আলম খান উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত সোলাইমান খানের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে আসামিকে গজারিয়া থানা থেকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রসুলপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিশুটির ফুফু জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রসুলপুর গ্রামে তাদের বাড়ির পাশের শাহ আলম খানের মুদি দোকানে যায় শিশুটি। দোকান মালিক শাহ আলম শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। এসময় সে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতনের চেষ্টা করে।
হঠাৎ করে তিনি সেখানে উপস্থিত হলে হাতেনাতে বিষয়টি ধরে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে উল্টো শাহ আলম খান ও তার ছেলেরা তার উপর চড়াও হয়। অভিযুক্ত শাহ আলম খানের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে উল্টো তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার সকাল ১১টার দিকে আসামিকে গজারিয়া থানা থেকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে।
ঢাকা/রতন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হ আলম খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি