নতুন এআই এজেন্ট আনছে মাইক্রোসফট, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 18th, April 2025 GMT
কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ফরম পূরণ বা তথ্য খোঁজার কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির এজেন্ট আনতে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। ‘কম্পিউটার ইউজ’ নামের এআই এজেন্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম হওয়ায় কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বিভিন্ন কাজ দ্রুত করা যাবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
প্রাথমিকভাবে নিজেদের কোপাইলট স্টুডিও প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই সুবিধা যুক্ত করেছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এআই এজেন্ট ব্যবহারকারীদের হয়ে বিভিন্ন কাজ করতে পারবে। এজ, ক্রোম ও ফায়ারফক্সসহ যেকোনো ব্রাউজারেও এটি ব্যবহার করা যাবে। এই এজেন্ট ব্যবহার করে বাজার বিশ্লেষণ, ইনভয়েস প্রক্রিয়াকরণসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজও করা যাবে। এসব কাজের জন্য আলাদা করে এপিআই তৈরির প্রয়োজন হবে না।
মাইক্রোসফটের তথ্য মতে, কম্পিউটার ইউজ সুবিধায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় এটি যেকোনো ত্রুটি বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে ক্যাপচা বা ইন্টারফেস হঠাৎ পরিবর্তন হলেও কাজ করতে পারে এআই এজেন্টটি। কম্পিউটার ইউজ সুবিধায় প্রতিটি কাজের ইতিহাস ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলে এআই এজেন্টটি কোন সময় কী করেছে, তা সহজেই জানতে পারবেন।
এআই এজেন্টটির গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয়ে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, কম্পিউটার ইউজ এআই এজেন্টের কোনো তথ্য মাইক্রোসফটের মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হবে না। মাইক্রোসফটের নিজস্ব সার্ভারে পরিচালিত হওয়ায় এজেন্টটি ব্যবহারের জন্য আলাদা যন্ত্রাংশেরও প্রয়োজন হবে না।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’
সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।