হরমোনের ভারসাম্যহীনতা রোধে কী খাবেন
Published: 21st, April 2025 GMT
শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণেও এমন হয়। অনেক সময় শরীর পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না পেলে হরমোনে সমস্যা দেখা দেয়। হরমোনের সুস্থতা বজায় রাখতে আপনাকে মেনে চলতে হবে ত্রুটিপূর্ণ জীবনধারা; যা আপনার হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি খান
শরীরে মাঝে মাঝে চর্বির প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর চর্বি বেঁচে নিন। ঘি, বাদাম এবং বীজের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ করুন। এগুলো স্বাস্থ্যকর হরমোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
রঙিন খাবার
রঙিন খাবারগুলো ফাইটোকেমিক্যাল যুক্ত থাকে। এগুলো শরীরের জন্য সুরক্ষামূলক। এ সব খাবার শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ায়। ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
প্রোটিনযুক্ত খাবার খান
প্রোটিন স্বাস্থ্যকর হরমোন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ জন্য দই, পনির, ডিম, ডাল, সয়ার মতো খাবার খান। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।
সকালের কফি বাদ দিন
অনেকেই সকাল শুরু করে ক্যাফেইন দিয়ে। ঘুম থেকে ওঠার পর কফি বা চা এড়িয়ে চলুন। এর ফলে অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি হয়; যা হরমোনের ভারসাম্যকে ব্যাহত করে।
বীজ
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বীজ অন্তর্ভুক্ত করুন। ফ্ল্যাক্সসিড, কুমড়ার বীজ, তিল বীজ, সূর্যমুখী বীজ খেতে পারেন। এগুলো খনিজসমৃদ্ধ; যা হরমোনের কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাড়াতাড়ি ডিনার করুন
রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। রাতে শরীরে হরমোন তৈরি হয়। বেশি দেরি করে রাতের খাবার খেলে হরমোন উৎপাদনে ব্যাহত হয়। তাই রাতে জলদি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এসব বিষয় মেনে চললে উপকার পাবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হরম ন স ব স থ যকর
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।