চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন, দক্ষতা, প্রশংসনীয় ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের স্বীকৃতি স্বরুপ রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক- (পিপিএম) সেবা পেয়েছেন পাবনার কৃতি সন্তান পুলিশ সুপার (এসপি) কুদরত-ই-খুদা।

মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পদক পরিয়ে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।

মোট চারটি ক্যাটাগরিতে পুলিশ পদক দেওয়া হয়। এগুলো হলো-বিপিএম-সাহসিকতা, বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সাহসিকতা ও পিপিএম-সেবা।

কুদরত-ই-খুদা পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র। বর্তমানে তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই ) ঢাকা জেলায় কর্মরত রয়েছেন।

কুদরত-ই-খুদা জনবান্ধব পুলিশিং, চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন (১৩/১৪ টা মামলা) ও বিরোধ নিষ্পত্তিসহ জনকল্যাণে কাজ করায় সবার প্রশংসা পান।

২০০৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে লালমনিরহাট জেলা, সহকারী পরিচালক হিসাবে র‌্যাব- ৩ ঢাকা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসাবে গুলশান বিভাগে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এডিসি পরিবহন বিভাগ ঢাকা, লালবাগ বিভাগে এডিসি প্রশাসন হিসাবে এবং সর্বশেষ পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে সততা, দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এম স সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় ভোট চলছে, কে বসছেন ক্ষমতার মসনদে

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে শনিবার (৩ মে) ভোটগ্রহণ শুরুর কথা জানানো হয়। 

নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এর বামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি পুনরায় জয়ের চেষ্টা করছে। আর তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন।

সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, লেবার পার্টি কিছুটা এগিয়ে আছে। তবে শেষ মুহূর্তের ভোটারদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে, কে বসবেন ক্ষমতার মসনদে।

এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে জীবন যাত্রার ব্যয়। এছাড়া, স্বাস্থ্য সেবা ও হাউজিং ব্যয় নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল আসতে কয়েক দিন, এমনকি সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। তবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশটির ইলেকটোরাল কমিশন অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক ফল ঘোষণা শুরু করবে। মূলত এই প্রাথমিক ফল থেকেই ধারণা পাওয়া যাবে যে কে দেশটির পরবর্তী সরকার গঠন করবেন।

নির্বাচনে শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে না, বরং বিদেশে থাকা দেশটির ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারেন, সেজন্য ৮৩টি দেশে ১১১টি কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তার জানিয়েছে। এর মধ্যে বার্লিন, হংকং, লন্ডন ও নিউইয়র্কে বিপুল সংখ্যক অস্ট্রেলিয়ানের বসবাস রয়েছে।

দেশটির ভোটারদের জন্য ভোট দেওয়ার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১৮ বছর বয়সী সবার জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। কেউ ভোট দিতে ব্যর্থ হলে তাকে ১৩ ডলার জরিমানা গুণতে হবে।

প্রতিনিধি পরিষদের ১৫০টি আসনের সবকটিতেই এবং সিনেটের ৭৬টির মধ্যে ৪০টি আসনে আজ নির্বাচন হচ্ছে। কোনো দলের সরকার গঠনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের অন্তত ৭৬টি আসন পেতে হবে। সেটি সম্ভব না হলে দলগুলো বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ছোট দলগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

দেশটিতে কয়েক দশক ধরেই রাজ্য ও ফেডারেল সরকার নির্বাচনে ছোট দলগুলো ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট ক্রমাগত বাড়ছে।

আলবানিজ পরিমিত কর হ্রাস, সস্তা স্বাস্থ্যসেবা এবং যারা প্রথমবারের বাড়ি কিনতে চান, তাদের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

ডাটন বলেছেন, তিনি জ্বালানি কর ও গ্যাসের দাম কমাবেন এবং পাঁচ লাখ বাড়ির জন্য অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করবেন।

উভয় পক্ষকেই মার্কিন রাজনীতির সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে। ছয় সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হতে না হতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ট্রেলিয়ার ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে তার বাণিজ্য শুল্ক ঘোষণা করেন।

কিছু জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তোষামোদ করার কারণে ডাটনের প্রতি ভোটারদের সমর্থন কিছুটা কমেছে।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ