১৪ বল বাকি থাকতে নেমে ফিফটি, আছে ১০ বল থাকতে নেমেও ফিফটির রেকর্ড
Published: 4th, May 2025 GMT
১৪ বলে ফিফটি, শেষ ২ ওভারে ৫৪ রান—আইপিএলে গতকাল রোমারিও শেফার্ডের কল্যাণে এমন ঝড় দেখা গেছে। চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর ৪২৪ রানের ম্যাচে রেকর্ড হয়েছে আরও। সেটি দেখে নেওয়া যাক...১
প্রথমবারের মতো আইপিএলের গ্রুপ পর্বে চেন্নাই সুপার কিংসকে দুবার হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে চেন্নাই অবশ্য এমন কীর্তি করেছে তিনবার—২০১৫, ২০১৮ ও ২০২১।
১২আইপিএলে টানা ১২ বারের মতো ১৮০ রানের বেশি রান তাড়া করতে নেমে হেরেছে চেন্নাই। ২০১৯ থেকে ২০২৩—এই সময়ের মধ্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও চেন্নাইয়ের মতো ১৮০ রানের বেশি রান তাড়া করতে হবে এমন ম্যাচে হেরেছে। এ রেকর্ডটা যদিও পাঞ্জাব কিংসের। তারা হেরেছে টানা ১৫টিতে।
৫৪কাল শেষ ২ ওভারে বেঙ্গালুরু তুলেছে ৫৪ রান। আইপিএলে ইনিংসের শেষ ২ ওভারে এত রান আগে কখনো হয়নি।
৫২শেষ ২ ওভারে কাল রোমারিও শেফার্ড নিয়েছেন ৫২। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ২ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান কেউ কোনো দিন নিতে পারেননি। সমান ৫২ রানই তুলেছিলেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরি।
১৪শেফার্ডের ফিফটি এসেছে ১৪ বলে। যা আইপিএলে দ্রুততম ফিফটির তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয়। সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড যশস্বী জয়সোয়ালের, ১৩ বলে। বেঙ্গালুরুর হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি ছিল ক্রিস গেইলের, ১৭ বলে।
৩২খলিল আহমেদের ১৯তম ওভারে শেফার্ড নেন ৩২ রান। এক ওভারে এর চেয়ে বেশি রান আইপিএলে নিয়েছেন মাত্র তিনজন। গত মৌসুমে এই শেফার্ডই আনরিখ নর্কিয়ার এক ওভারে ৩২ তুলেছিলেন।
১১৪৬চেন্নাইয়ের বিপক্ষে কোহলির রান। আইপিএলে কোনো নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি রান কোনো খেলোয়াড় করতে পারেনি।
আইপিএলে সর্বোচ্চবার ৫০০ বা এর চেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড এখন কোহলির.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ২০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ২০ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ভারতের ৭১ ব্যাটালিয়নের সভাপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তের ৪/৫-১ এস আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের পাশ দিয়ে তাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। ঠেলে দেওয়াদের মধ্যে ৭ নারী ও ১০ শিশু রয়েছে। বিজিবি তাদের আটক করেছে।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, ঠেলে দেওয়া ২০ জন প্রায় ১০ বছর আগে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম এলাকা থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। তারা ভারতের রাজধানীর দিল্লির হরিয়ান এলাকায় একটি ইটভাটায় কাজ করত। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। ওই ২০ জনকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঠেলে দেওয়াদের মধ্যে একজন রোজিনা বেগম জানান, কয়েক দিন ধরে বিএসএফ তাদের আটকে রেখেছিল। এ সময় সবাইকে নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে। ঠিকমতো খেতে দেয়নি। বাচ্চারা খাবারের জন্য কাঁদলেও তাদের মন গলেনি। বুধবার ভোরে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে তাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজে তাঁর সন্তানসহ অন্য শিশুরা ঠান্ডায় কাঁপছিল। বাংলাদেশিরা আমাদের অনেক সাহায্য করছেন।
এদিকে, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক আল-আমিন নামে এক কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে ওই কিশোরকে ফেরত আনে বিজিবি। আল-আমিন হবিগঞ্জ জেলা সদরের কালিগাছতলা মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, আল-আমিন গত ১৫ জুন জাফলং সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরপর মঙ্গলবার হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। তাকে ফেরত পাঠাতে ওই দিনই বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। এরপর রাত ১০টায় বিজিবির কাছে তাকে ফেরত দেওয়া হয়। আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করে হাকিমপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।