এক যুগ আগে চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সপ্তম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ বুলবুল ইসলাম মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আহমেদ।

চয়নিকা চৌধুরীর আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা চেক প্রতারণার অভিযোগের মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষীকে জেরার দিন ধার্য ছিল। তাঁর মক্কেল অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত সেই আবেদন নাকচ করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। শিগগিরই চয়নিকা চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করবেন বলে জানান আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান।

চেক প্রতারণার অভিযোগে চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ১৪ মে ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম (রিয়াজ)। মামলায় বাদীপক্ষের অভিযোগ, ‘জীবন সুন্দর হোক’ নামের একটি নাটক নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে চুক্তি করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম। নাটক নির্মাণ করে দেওয়ার বিনিময়ে চয়নিকা চৌধুরীকে তিনি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার একটি চেক দেন। চেক নিয়েও নাটক নির্মাণ করেননি চয়নিকা চৌধুরী।

তবে বাদীপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। চয়নিকার আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, চুক্তি অনুযায়ী তাঁর মক্কেল চয়নিকা চৌধুরী ‘জীবন সুন্দর হোক’ নামে নাটক বানিয়ে দিয়েছেন। সেই নাটকটি এনটিভিতে প্রচারিত হয়েছে। বিনিময়ে এনটিভি থেকে টাকাও পেয়েছেন বাদীপক্ষ।

চয়নিকার আইনজীবী বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। নিশ্চয় আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন তাঁর মক্কেল চয়নিকা চৌধুরী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইনজ ব চয়ন ক

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। 

এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল। 

পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”

তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”

ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋণ আদায়ে লাগবে ৩৩৩ বছর
  • ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ