আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাসের মডেল তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 10th, May 2025 GMT
পৃথিবীতে প্রতি মাসেই কোনো না কোনা স্থানে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে থাকে। প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের তথ্য আগে থেকে জানা যায় না। তাই এবার পানির নিচের আগ্নেয়গিরির তথ্য ব্যবহার করে অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাসের মডেল তৈরির জন্য কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত পানির নিচে থাকা অ্যাক্সিয়াল সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরির তথ্য ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির আগ্নেয়গিরিবিদ বিল চ্যাডউইকের জানিয়েছেন, একটি পূর্বাভাস অনুসারে অ্যাক্সিয়াল সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরিতে বছরের শেষের দিকে যেকোনো সময় অগ্ন্যুৎপাত ঘটবে। এ আগ্নেয়গিরিটি হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির মতো। এখান থেকে বেশ তরল লাভা নির্গত হয়। অগ্ন্যুৎপাতের আগে এই আগ্নেয়গিরি বেলুনের মতো স্ফীত হতে থাকে। অ্যাক্সিয়ালে আগ্নেয়গিরির আশপাশের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এটা সামনের অগ্ন্যুৎপাতের জন্য বড় সংকেত। এখানকার বিস্ফোরণের কারণে মানুষের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
বিজ্ঞানীরা এই আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে স্থলের আগ্নেয়গিরির সম্পর্কে তথ্য উন্নত করতে চান। অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস উন্নত করতে অ্যাক্সিয়াল সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরি বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে। এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে স্থলভাগে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির জন্য দ্রুত একটি মডেল তৈরি করতে চান বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ ন য গ র র র আগ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। আজ শুক্রবার রাতে তাঁরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ করেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) জনসমক্ষে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে বুক ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা–কর্মী শনাক্ত হয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়আজ রাত ১০টার দিকে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে আবার বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন, আধিপত্যবাদবিরোধী মঞ্চ, বিল্পবী সাংস্কৃতিক মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মিছিলপরবর্তী সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আহসান লাবিব।
সমাবেশে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান বলেন, ‘গত ৯ মাসে বিএনপির অন্তঃকোন্দলের কারণে প্রায় দেড় শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি এই বাংলাদেশে আর হতে দেব না। আপনারা যদি না শোধরান, তাহলে হয়তো আগামীতে আপনাদের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন পূরণ হবে, কিন্তু কত দিন ক্ষমতায় টিকে থাকবেন, সেটা ছাত্র-জনতা আবার ঠিক করে দেবে।’
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি শাফায়েত মীর বলেন, ‘আবার যারা আওয়ামী লীগের পুরোনো বন্দোবস্ত চালু করতে চায়, আবার চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন করতে চাচ্ছে, সেই দলকে আমরা বলব, চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করুন, আমরা ভিক্ষা দেব। কিন্তু আমরা আপনাদের জুলুম, নির্যাতন, খুন মেনে নেব না। প্রয়োজনে আবার রাজপথে নামব।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘বিএনপি যদি এই খুন, রাহাজানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হয়তো সেদিন বেশি দূরে নেই, যে পথে আমরা লীগকে পাঠিয়েছি, সেই পথে ফ্যাসিবাদী আমলে আমাদের সহযোদ্ধা বিএনপিকেও হয়তো হাঁটতে হবে।’
পুরান ঢাকায় নৃশংশ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার রাত আটটায় ক্যাম্পাসে