বিলম্বে হলেও নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত
Published: 23rd, May 2025 GMT
বহু বছর ধরেই পরিবেশবিদেরা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছ লাগানোর বিপদের কথা বলে আসছিলেন। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদেরও কেউ কেউ সহমত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাঁরা সেটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেননি।
এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি–বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছের চারা তৈরি, রোপণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানাই। ১৫ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে এ দুটি প্রজাতির গাছের চারা তৈরি, রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাসগাছের প্রভাব খুবই গভীর ও বহুমাত্রিক।
ইউক্যালিপটাসগাছ মাটির গভীর থেকে বিপুল পরিমাণ পানি শোষণ করে নেয়। ফলে আশপাশের মাটি শুষ্ক হয়ে পড়ে, যা কৃষিকাজ এবং অন্য উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর। শুধু তা–ই নয়, এই গাছের মূল ও পাতা থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আশপাশের গাছগুলোর বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে ও মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে আকাশমণিগাছ খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে ও আশপাশের গাছগুলোকে স্থান, আলো ও পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত করে। এর ফলে অন্যান্য দেশীয় উদ্ভিদ বিকাশে বাধা পায় ও জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়। পাখি, পোকামাকড় এমনকি ক্ষুদ্র প্রাণিকুল এই গাছে বাসা বাঁধে না। আকাশমণিগাছের ফুলের রেণু বাতাসে মিশে মানুষের শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
একসময় বাংলাদেশে প্রায় ৫ হাজার প্রজাতির বৃক্ষ ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণার পর ৩ হাজার ৮৩২টি পর্যন্ত রেকর্ড করা গেছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.