প্রথমবার বন্ধুদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় রক্তদানের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন রাহিল। বয়স তখনও ১৮ হয়নি। সন্ধানীর স্বেচ্ছাসেবীরা তখন বলেছিলেন– ‘১৮ বছর পূর্ণ হলে এসো, জীবন বাঁচাতে রক্ত দিও।’ রাহিল সে কথার মান রেখেছেন। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর নিয়মিত রক্ত দিয়ে চলেছেন, এখন পর্যন্ত ৩৯ বার! তিনি বলেন, ‘মানুষের উপকার করতে পারার আনন্দের সঙ্গে আর কিছু তুলনা হয় না। এই ভাবনা থেকেই রক্তদানের চিন্তা মাথায় আসে।’
১৪ জুন, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। ২০০৪ সাল থেকে এ দিনটি উদযাপিত হয়ে আসছে, বিশ্বব্যাপী রক্তদাতাদের নিঃস্বার্থ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে– ‘দাও রক্ত, জাগাও আশা– জীবন বাঁচানোর যৌথ যাত্রা’। প্রতিপাদ্যটিই যেন বলে দেয়, একাই নয়– এই পথচলা একসঙ্গে, জীবনের পাশে দাঁড়ানোর যাত্রা।
বাংলাদেশেও স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়ার প্রবণতা আশাব্যঞ্জকভাবে বাড়ছে। পেশাদার ডোনারদের তুলনায় এখন স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা বেশি। জীবন বাঁচানোর যৌথ যাত্রায় কাজ করে যাচ্ছেন দেশের বহু মানুষ। কেউ এককভাবে, কেউ সংগঠনের ব্যানারে কাজ করছেন এই মানবিক প্রয়াসে। তেমনই একটি সংগঠন ‘ব্লাডম্যান বাংলাদেশ’। নামটি শুনে সুপারহিরোর কথা মনে হতে পারে, তবে তারা বাস্তবের নায়ক। এটি একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যারা রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। এদের একটি কল সেন্টার রয়েছে– ০১৬২৭-২৬০৯৩৩; যার মাধ্যমে প্রতিদিন কেউ না কেউ ফিরে পান বেঁচে থাকার সুযোগ।
ব্লাডম্যানের প্রতিষ্ঠাতা শাহারিয়ার হাসান জিসান বলেন, ‘দেশে রক্তের যে চাহিদা, তা পুরোপুরি পূরণ হচ্ছে না। স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা এখনও প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে রক্তের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আরও বেশি মানুষকে এই দায়িত্ব নিতে হবে।’
থ্যালাসেমিয়া রোগী মো.