ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হোসাইন হত্যা মামলায় আওয়ামী নেতা আক্তার-সুমনের সাত অনুসারী সন্ত্রাসীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আাদালত। 


বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ এর আদালতে তারা আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। এসময় আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানী শেষে আত্মসমর্পনকারী রতন হোসাইন ওরফে রাখাল রতন, শাওন হোসেন, রাকিব প্রধান, নয়ন ওরফে কিলার নয়ন, শাহ আলম, জয়নাল ও রাসেল সহ প্রত্যেককে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন।


আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রশিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আত্মসমর্পনকারী আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সেচ্ছায় আত্মসমর্পনের আদেশ নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭জনের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাইতে পারেন।


উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ভোর  ৫ টার দিকে ফতুল্লার পূর্ব লালপুর রেললাইন সংলগ্ন (পাকিস্তানী খাদের)  নিজ বাড়ীর সামনে বাসা থেকে বের করে মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এঘটনায় মামুনের স্ত্রী বাদী হয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আক্তার ও সুমনসহ তাদের অনুসারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় যুবকের আত্মসমর্পণ

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নদী আক্তার ওরফে  নীলা (২৫) কে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ভাসুর রবিউল হাসান আবির (৩০)। রোববার (৩ আগস্ট) সকালে উপজেলা কুশিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত গৃহবধূ  নদী আক্তার নীলা মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার ইদ্রাকপুর এলাকার  শাহজাহান দেওয়ানের মেয়ে ও কুশিয়ারা এলাকার প্রবাসী রাসেল মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত রবিউল হাসান আবির ওই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। 

এদিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনার পর বন্দর থানার উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন  তথ্য সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ  নদী আক্তারের পূর্বে ৩টি বিয়ে হয়ে ছিল। কুশিয়ারা এলাকার  প্রবাসী রাসেল ছিল তার ৪ নাম্বার স্বামী।

এদিকে ঘাতক রবিউল হাসান ওরফে আবিরের মা বেশ কিছু দিন পূর্বে  ব্যবসার জন্য  ব্রাক ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা উত্তেলন করে তার ছোট ছেলে  রাসেল ও তার স্ত্রী নদী আক্তারের হাতে তুলে দেন।  কিন্তু রাসেল  ঋণ পরিশোধ না করে প্রবাসে পাড়ি জমায়। 

এ ঘটনায় ব্রাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জিম্মাদার ভাসুর  রবিউল হাসান আবিরকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপসৃষ্টি করে। এ নিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নদী আক্তারের সাথে ভাসুর রবিউল হাসান আবির সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এর জের ধরে রোববার সকাল  ৭টায় ভাসুর রবিউল হাসান আবির তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নদী আক্তারকে বাসা থেকে  ডেকে নিয়ে কুশিয়ারা এলাকার একটি নির্জন বিলে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

হত্যকান্ডের ২ ঘন্টা পর সকাল ৯টায় ভাসুর রবিউল  হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র নিয়ে  বন্দর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।  


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছোট ভাইয়ের বউকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ
  • বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় যুবকের আত্মসমর্পণ
  • বাউফলে স্ত্রীকে হত্যার পর গভীর রাতে থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ
  • স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ