চট্টগ্রাম নগরীর একটি বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্রে সড়কের পাশেই ছড়িয়ে আছে ঘরোয়া ও বাণিজ্যিক উৎস থেকে আসা ময়লার স্তূপ। দূর থেকেই চোখে পড়ে হলুদ হেলমেট, গ্লাভস ও সেফটি বুট পরা একদল কর্মী– যাদের গায়ে উজ্জ্বল কমলা রঙের ইউনিফর্ম। সেই দলেরই একজন সালমা খাতুন (৫৫)। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) স্বল্প বেতনের চাকরির পাশাপাশি আয় বাড়াতে তিনি খুঁজে পেয়েছেন বিকল্প একটি পথ।

সম্প্রতি নগরীর আমবাগান এলাকায় দেখা মেলে তাঁর। সালমা জানান, চসিক, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং বেসরকারি সংস্থা ইপসার যৌথ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি প্রতিমাসে প্রায় ২০০ কেজি পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিক্রি করে মাসে আয় করেন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।

তাঁর ভাষায়, ‘আগে শুধু করপোরেশনে কাজ করতাম। অল্প কিছু প্লাস্টিক কুড়িয়ে বিক্রি করতাম। দেড়-দুই বছর আগে ইপসার কয়েকজনের কাছ থেকে জানতে পারি, পলিথিনও বিক্রি হয়। তখন থেকেই আয় বেড়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কাজের নিয়ম– সব শেখানো হয়। গত বছর সিটি করপোরেশনের মেয়রের হাত থেকে সেরা কর্মীর পুরস্কারও পেয়েছি।’

সন্তানদের কথা বলতে গিয়ে সালমা বলেন, ‘দুই ছেলে পড়াশোনা করে। আগে টিফিনের টাকাটাও দিতে পারতাম না, এখন নিয়মিত দিতে পারি। জানি, প্লাস্টিক ও পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটা তুলে দিয়ে পরিবেশের জন্য কিছু করতে পারছি– তা ভাবলেই শান্তি পাই। এখন শুধু পরিচ্ছন্নতাকর্মী না, আমাকে সবাই পরিবেশকর্মীও বলে।’

এই উদ্যোগের আওতায় তিন হাজারের বেশি বর্জ্য সংগ্রাহক এবং প্রায় ২০০ ভাঙারিওয়ালা নিয়মিত কাজ করেন।
নগরের অভয় মিত্র ঘাটের পাশে কর্ণফুলী নদীর তীরে ভাঙারির ব্যবসা করেন মো.