জনতার সামনে সাপের খেলা দেখাচ্ছিলেন সাপুড়ে নাঈম হোসেন (২২)। হঠাৎ গোখরা সাপটি তার হাতে ছোবল দেয়। হাসপাতাল আর ওঝার বাড়ি দৌঁড়েও শেষ রক্ষা হলো না তার। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হলো অবশেষ। 

শনিবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি এলাকার ওঝার বাড়িতে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। এর আগে সকাল দশটার দিকে নাঈম হোসেনকে ছোবল দেয় সাপটি। 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় সাপের খেলা দেখাচ্ছিলেন তরুণ সাপুড়ে নাঈম হোসেন। এসময় তার বাক্সে থাকা একটি গোখরা সাপ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ছোবল দেয়। পরে স্থানীয়রা তার হাতে তিনটি বাধন দিয়ে দেন। পরে স্বেচ্ছায় হাতের বাঁধন খুলে ফেলেন সাপুড়ে নাঈম হোসেন নিজেই।

এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে তাকে উপজেলার মুলাডুলি এলাকার একটি ওঝার কাছে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে ওঝা নাঈম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর বলেন, “নিহত নাঈম একজন ওঝা ছিলেন। সাপের খেলা দেখিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে তিনি। শুক্রবার (২৭ জুন) একটি গোখরা সাপ ধরে নিজের কাছে রেখেছিলেন। আজকে সেই সাপ নিয়ে খেলা দেখাতে গেলে সেই সাপের ছোবলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনা জানার পর নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে তার জানাজা কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়ে যায়।”

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও জানান ওসি।

ঢাকা/শাহীন/এস

.