ভারতের অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম সরস্বতী সুগার মিলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। দেশটির হরিয়ানা রাজ্যের যমুনানগরে অবস্থিত এই সুগার মিলটি সোমবার রাতের প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট প্লাবনে ভেসে গেছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এতে সুগার মিলটির গুদামে পানি ঢুকে ৫০ থেকে ৬০ কোটি রুপির চিনি নষ্ট হয়ে গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোট চিনির প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যমুনানগরের এই গুদামে ২ লাখ ২০ হাজার কুইন্টাল (১ কুইন্টাল = ১০০ কেজি) চিনি মজুত ছিল, যার আনুমানিক মূল্য ৯৭ কোটি রুপি। গুদামের কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টির পানির পাশাপাশি কাছাকাছি একটি নর্দমার উপচে পড়া পানি গুদামের ভেতরে প্রবেশ করে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

সরস্বতী সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক রাজীব মিশ্র জানান, পৌর করপোরেশনের একটি ড্রেন গুদামের ঠিক পেছন দিয়ে গেছে। তবে, অবৈধ দখলের কারণে ড্রেনটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে বন্যার পানি সরাসরি চিনিকলে প্রবেশ করে।

রাজীব মিশ্র বলেন, ‘গত রাতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা মধ্যরাতের দিকে পানি প্রবেশের বিষয়ে আমাদের সতর্ক করেন। অবৈধ দখলের কারণে ড্রেনের পানির স্তর বেড়ে যায়। চিনি অত্যন্ত হাইগ্রোস্কোপিক (পানি শোষণকারী) হওয়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি রুপির চিনি হারিয়েছি। তবে, পুরো গুদাম স্ক্যান করার পর আমরা সঠিক ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করতে পারব।’

সরস্বতী সুগার মিলের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হলেও রাজীব মিশ্রের মতে, এটি স্থানীয় বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন য প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: সাভারে বিএনপির আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করার পর ঢাকার ধামরাইয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া এলাকায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মিছিল করেন তারা। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে: নাহিদ 

শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘আমরা মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এ বিচারকার্যের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সেই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যে ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য আমরা ১৫-১৬ বছর অপেক্ষা করেছি। আমরা শুধু এ রায়েই ক্ষান্ত হবো না।’’  অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি। 

পরে তারা সাধারণ জনগণের কাছে মিষ্টি বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাসুদ আল শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইমান আলী, ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ