সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিচারের দাবিতে বিএনপির ঝাড়ুমিছিল
Published: 3rd, July 2025 GMT
কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিচারের দাবিতে ঝাড়ুমিছিল করেছেন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। পাশাপাশি জাফর আলমের কুশপুত্তলিকায় জুতা নিক্ষেপও করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পেকুয়া বাজারে মিছিল শুরু হয়। এতে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদল অংশ নেয়। মিছিলটি চৌমুহনীর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
জাফর আলম চকরিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে তিনটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে পেকুয়া থানায় আনা হয়েছে। এর আগে চকরিয়া থানায়ও তাঁকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। পেকুয়া থানায় আনার পর গতকাল রাতেই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
মিছিল শেষে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে, এমন কাজ করব না। কেউ প্রশাসনে বাধা দেবে না। জাফর আলম খুনের সঙ্গে জড়িত। আমরা তাঁর ফাঁসির দাবি জানাই।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন বলেন, ‘২০১৪ সালে সালাহউদ্দিন আহমদের গুমের খবরে কক্সবাজার জেলায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল জাফর আলমের নেতৃত্বে। আজ সালাহউদ্দিন আহমদ ঢাকায় বসে বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। আর যাঁরা মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন, আনন্দ করেছিলেন, তাঁরা আজ কারাগারে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামরান জাদিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮৩ জন ছাত্রীকে প্রথমবারের মতো আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি ছাত্রী হলের ৫৮৩ জন ছাত্রীর জন্য প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে পাবেন। এই টাকা তাঁদের ব্যাংক হিসাবে যাবে।
আজ মঙ্গলবার উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রতীকীভাবে বিভিন্ন হলের ১০ জন ছাত্রীকে এই সহায়তার খাম তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, ছাত্রী প্রতিনিধি উমামা ফাতেমা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানেরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘এই সহায়তা একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫৩ ভাগই ছাত্রী। অথচ তাদের জন্য মাত্র ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। অনেক ছাত্রী প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসে। ঢাকায় তাদের আত্মীয়স্বজন থাকে না। শুরুতে টিউশনিও মেলে না। সব মিলিয়ে তাদের জন্য জীবন কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারপরও শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এর অর্জন যেমন সমাজকে আনন্দ দেয় তেমনি সীমাবদ্ধতাও সমাজকে জানাতে হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫১ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি রয়েছে। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ভবিষ্যতে এই সহায়তা সব শিক্ষার্থীর জন্য বিস্তৃত হোক, এটাই চাওয়া। এ জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান উপাচার্য।
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান জানান, চীনের অর্থায়নে একটি নতুন ছাত্রী হল নির্মাণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই নির্মাণকাজ শুরু হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। যেখানে চারটি নতুন ছাত্রী হল ও পাঁচটি ছাত্র হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন–সংকট অনেকটাই দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে কত দিন এই সহায়তা দেওয়া হবে, জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এখনো সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।