হবিগঞ্জে দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
Published: 7th, July 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহত অর্ধশতাধিক লোককে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অনেকে ভর্তি রয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৪ জুলাই) তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়ার সঙ্গে ইনাতগঞ্জের আশাহীদ আলী আশার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় আনমনু গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা আশাহীদ আলী আশার পক্ষ নেন। এর জের ধরে সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উপজেলা শহরের ইউনাইটেড হাসপাতাল, হাসেমবাগ হোটেল ও মাছ বাজারসহ ১০ থেকে ১২টি দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
আরো পড়ুন:
নাসিরনগরে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত
তালতলীতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৪
খবর পেয়ে পুলিশ, সেনা সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো.
ঢাকা/মামুন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ স ঘর ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নবীগঞ্জে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে দুই গ্রামের মানুষ, ১৪৪ ধারা জারি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে শতাধিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতাল ও যানবাহন। গত চারদিন ধরে চলা এসব সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে ব্যাপক উত্তেজনা। সর্বশেষ আজ সোমবার সকালেও ঘোষণা দিয়ে তুমুল সংঘর্ষে জড়ায় আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজন। পরে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আজ সকালে উভয় গ্রামের মানুষ সংঘর্ষের প্রস্তুতিমূলক সভা আয়োজন করে। সভা থেকে সংঘর্ষের সময় নির্ধারণ করা হয়। পরে পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী বিকেল ৩টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের হাজারো মানুষ। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা দেখা যায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। তবে নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় শহরের মধ্যে দুই শতাধিক দোকানপাটে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। আগুন দেওয়া হয় কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া সংঘর্ষ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যৌথবাহিনী।
এর আগে গত শুক্রবার রাতের সংঘাতের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে শহরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও শনিবার সকাল থেকে আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আনমনু গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নবীগঞ্জ শহর ও আনমনু পয়েন্টে জড়ো হতে থাকলে আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। এর জেরে শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। রোববার সকালে ও রাতে সংঘর্ষ ও চোরাগোপ্তা হামলা হয়। অবশেষে আজ সোমবার সকালে উভয় গ্রামের লোকজন পূর্বপ্রস্তুতিমূলক সভা করে সংঘর্ষে জড়ায়।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি। সংঘর্ষ ও লুটপাটের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। পুরো বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।