ভারতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে প্রাচীন রীতি মেনে পুরুষেরা এখনও দুই বিয়ে করেন। এই রীতি টিকিয়ে রাখার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। তবে কোনো কোনো কারণ শুনলে মনে হবে, সত্যিই কি এর কোনো যৌক্তিকতা আছে!

ভারতের হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী ১ স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে বেআইনি। মুসলিমদের জন্য এই আইন কার্যকর নয়। পাকিস্তান-ভারত সীমান্তের কাছে রাজস্থানের বাড়মেড় জেলা। সেখানকার দেরাসর গ্রামের পুরুষেরা এখনও দুই বিয়ের রীতি বাঁচিয়ে রেখেছেন। 

স্থানীয়রা মনে করেন, এক বিয়ে করলে প্রথম স্ত্রীর গর্ভে কন্যা সন্তান জন্ম নেবে। এতে পুত্র সন্তান পাওয়া হবে না। এলাকায় ছেলের সংখ্যা কমে যাবে, দ্বিতীয় স্ত্রী পুত্র সন্তান জন্ম দেবে। এজন্য তারা দুই বিয়ে করেন।

আরো পড়ুন:

প্রাণনাশের আশঙ্কায় রাহুল গান্ধী, আদালতে অভিযোগ

ভারতকে এমন শিক্ষা দেব, কখনোই ভুলবে না: শাহবাজ শরিফ

আসলে বাস্তবতা অন্যরকম। ওই গ্রামে পানির খুব অভাব। দূর দূরান্ত থেকে প্রয়োজনীয় পানি বহন করে আনতে হয়। পানি বহন করে আনার কাজটি মূলত নারীরা করে থাকে।  

দেরাসর গ্রামের জনসংখ্যা আনুমানিক ৬০০। আর গ্রামের সব পুরুষেরই দুইজন করে স্ত্রী রয়েছে। ওড়িষ্যা পোস্ট এর তথ্য, ‘‘দেরাসর গ্রামের নারীদের পানি সংগ্রহের জন্য প্রতিদিন ৫ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। গর্ভবতী হওয়ার পর একজন নারী পানি আনতে এত কিলোমিটার হেঁটে যেতে পারেন না। তাই, তার স্বামী অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে যাতে সে ঘরের কাজ চালাতে পারে এবং পানি আনতে যেতে পারে। গ্রামে যুগ যুগ ধরে এটিই চলে আসছে।’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক