পকেটে থাকা চাবি বা অন্য কোনো বস্তুর সঙ্গে ঘষা লাগলে স্মার্টফোনের পর্দায় বা গায়ে আঁচড়ের দাগ পড়ে থাকে, যা সহজে দূর করা যায় না। এই দাগের কারণে ফোনের সৌন্দর্যহানি হয়। তবে এবার সম্প্রতি বাজারে আসা আইফোন ১৭-এর– কিছু মডেলে আঁচড়ের দাগ থাকার অভিযোগ করেছেন অনেক ক্রেতা। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোকানে প্রদর্শিত আইফোন ১৭ প্রো এর ‘ডিপ ব্লু’ এবং আইফোন এয়ার এর ‘স্পেস ব্ল্যাক’ মডেলে চোখে পড়ার মতো আঁচড় ও ঘষার দাগ দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতেও দেখা গেছে, ম্যাগসেফ চার্জার ব্যবহারের পর ফোনের গায়ে দাগ পড়ে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ক্যামেরার কেসের প্রান্ত ঘষার কারণে রং উঠে গেছে।

নতুন আইফোনে আঁচড়ের দাগ থাকার অভিযোগের বিষয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, এই ত্রুটি কিছু দোকানে ব্যবহৃত পুরোনো ম্যাগসেফ স্ট্যান্ডের কারণে ঘটেছে। দাগগুলি স্ক্র্যাচ নয় বরং স্ট্যান্ড থেকে ফোনে উপাদান স্থানান্তর হয়েছে, যা পরিষ্কার করে অপসারণ করা যায়। এরই মধ্যে বিভিন্ন দোকানে থাকা পুরোনো ম্যাগসেফ স্ট্যান্ডগুলো প্রতিস্থাপন করে এ সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।

ইউটিউবার জেরিরিগএভরিথিং এক ভিডিওতে রেজার, কয়েন ও চাবি দিয়ে আইফোন ১৭ মডেলের স্থায়িত্ব পরীক্ষা করেছেন। সেখানে দেখা যায়, আইফোন ১৭ প্রো এর ক্যামেরার কেসের প্রান্ত ঘষা যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে, অ্যানোডাইজেশনের প্রক্রিয়ায় অ্যালুমিনিয়ামের ওপর দেওয়া রঙিন অক্সাইড স্তর তীক্ষ্ণ কোনায় টেকসইভাবে লেগে থাকে না। ফলে দাগগুলো স্পষ্টভাবে দেখা গেলেও পরে মুছে ফেলা যায়।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, আইফোন ১৬ প্রোতে টাইটানিয়াম ব্যবহারের পর আইফোন ১৭ সিরিজে আবার অ্যালুমিনিয়ামে ফিরে এসেছে অ্যাপল। টাইটানিয়ামের তুলনায় অ্যালুমিনিয়াম আঁচড় ও ঘষার দাগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এসব দাগ কেবল বাহ্যিক। ফোনের কার্যকারিতায় এর কোনো প্রভাব পড়ে না। পাশাপাশি অধিকাংশ ব্যবহারকারী যেহেতু ফোনে কভার ব্যবহার করেন, বাস্তবে অনেকেরই এই সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা কম।

সূত্র:  এনগ্যাজেট, নাইনটুফাইভম্যাক

.