ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের কর্মীদের আটক করা ইসরায়েলি আগ্রাসনের নগ্ন রূপ বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান। ফ্লোটিলার কর্মীদের আটক এবং ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, গাজায় প্রতিদিন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। হাসপাতাল ও ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হচ্ছে। এর মধ্যে ফ্লোটিলার কর্মীদের আটক করা ইসরায়েলি আগ্রাসনের নগ্ন রূপ। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর দ্বিমুখী ভূমিকা এই গণহত্যাকে আরও উৎসাহ দিচ্ছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সব কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে শহিদুল আলম ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুহি লোরেন বাংলাদেশের জনগণসহ সারা দুনিয়ার মানুষের ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির প্রতিনিধিত্ব করছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উদ্যোগে হামলা চালানো আসলে ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামকে দমন করার অংশ। ইসরায়েল একদিকে গণহত্যা চালাচ্ছে, অন্যদিকে সারা দুনিয়ার মানুষের ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির কণ্ঠস্বরও দমন করতে চাইছে।

আটকের ঘটনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, অবিলম্বে আটক কর্মীদের মুক্তি ও গাজার অবরোধ তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া নেতারা স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবির প্রতি সংহতি জানান।

.