লক্ষ্য আহমরি বড় ছিল না৷ রংপুর বিভাগ সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল সতর্ক ব্যাটিং। কিন্তু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৪ রান করতে গিয়ে হযবরল অবস্থা। 

স্কোরবোর্ডে ২৯ রান তুলতেই ৫ উইকেট নিয়ে তাদের। ওই অবস্থায় জয়ের চিন্তা করা একটু কঠিনই। কিন্তু সাব্বির রহমান ও সাকির হোসেন গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। তাদের ব্যাটে ভর করে ধ্বংসস্তুপে থেকে উঠে দাঁড়ায় রাজশাহী। দুইজন রান করেন অনায়সে।

শত রানের পর সাব্বির (৩৫) হাল ছেড়ে দিলেও সাকির নিজেকে লম্বা রেসের ঘোড়া হিসেবে প্রমাণ করেন। ৪২ বলে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ২ চার ও ৩ ছক্কা। 

সাব্বির ফেরার পর রাজশাহী খানিকটা চাপে পড়লেও নিহাদ ২২ গজে এসে সবাইকে চমকে দেন। ১৪ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৭ রান করেন। তাতে রাজশাহী ২ বল আগে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।

দুটি জুটিতে রাজশাহী জয় তুলে নেয়। সাব্বির ও সাকির ৬১ বলে ৭৪ রান করেন। সপ্তম উইকেটে সাকির ও নিহাদ ২৪ বলে করেন ৪১ রান। 

রংপুরের স্পিনাররা চেষ্টা করেছিলেন। স্পিনার আবু হাসেম এক ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পরে আরো ১ উইকেট নেন বাহাতি স্পিনার। ৪ ওভার ৭ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুরের ইনিংস বড় করেন ইকবাল হোসেন।  ৪৫ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন। টি-টোয়েন্টিতে যা তার প্রথম ফিফটি। এছাড়া নাঈম ২০ ও আকবর আলী ২৮ রান করেন। বাকি কোন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। 

রাজশাহীর সেরা বোলার ছিলেন সাব্বির হোসেন। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট নেন মেহেরব ও পায়েল৷ 

রাজশাহীর ৬ ম্যাচে এটি দ্বিতীয় জয়। সমান ম্যাচে ২ জয় রংপুরেরও।

ঢাকা/ ইয়াসিন

.