চট্টগ্রামে ব্যস্ততম সড়কে গুলি করে আবদুল হাকিম (৫২) নামের বিএনপির এক কর্মীকে খুনের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নিহত আবদুল হাকিমের স্ত্রী তাসফিয়া আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের মাত্র ২০০ মিটার দূরে একটি প্রাইভেট কারে থাকা আবদুল হাকিমকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন একদল অস্ত্রধারী। তিনি রাউজানে নিজের খামার থেকে চট্টগ্রাম নগরে ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলে আসা ওই অস্ত্রধারীদের গুলিতে আবদুল হাকিমের গাড়িটির চালক মুহাম্মদ ইসমাইলও (৩৮) আহত হন। হাকিমের শরীরে ১০টি গুলির আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া গাড়িতে রয়েছে ২২টি গুলির চিহ্ন। গুলিতে গাড়ির সামনের দুটি চাকাও ফুটো হয়ে যায়।

মামলার বিষয়টি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) তারেক আজিজ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। এ চারজনকে পরে হত্যা মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

আবদুল হাকিম ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। নানা অনুষ্ঠানে গিয়াস উদ্দিন কাদেরের সঙ্গে তিনি মঞ্চে থাকতেন। তিনি ভেষজপণ্যের ব্যবসার পাশাপাশি গরুর খামারি ছিলেন। এ ছাড়া এক বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলন ব্যবসাও করতেন। রাজনীতিতে তাঁর কোনো দলীয় পদ ছিল না। দলের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত তিনি।

আবদুল হাকিম.