ক্রিকেটের ভাষায় ম্যাচটা ছিল ‘ডেড রাবার’, মরা ম্যাচ। ভারত-শ্রীলঙ্কার পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ। প্রথম তিনটিতেই জিতে ভারত সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে আগেভাগেই। চতুর্থ আর পঞ্চম ম্যাচ হয়ে পড়ে আনুষ্ঠানিকতার। এ ধরনের ম্যাচকে অনেক সময় দলগুলো নেয় এক ধরনের সুযোগ হিসেবে। যে খেলোয়াড়দের আগের ম্যাচগুলোয় সুযোগ দেওয়া যায়নি, বা যে খেলোয়াড়কে ভবিষ্যতের জন্য বাজিয়ে দেখা দরকার, তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয় এমনসব ম্যাচে।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ভারতও সেটিই করে। একাদশে আনা হয় পাঁচটি পরিবর্তন। ম্যাচটি অবশ্য ইডেন গার্ডেনের জন্য বিশেষই ছিল। ক্রিকেট ইতিহাসের বিখ্যাত মাঠটির ১৫০ বছর পূর্তি বলে কথা। সেদিন বিকেলে ইডেন গার্ডেনের গ্যালারিতে যাঁরা জড়ো হয়েছিলেন, তাঁদের অবশ্য জানার কথা নয় ক্রিকেট ইতিহাসের আরেক জ্বলজ্বলে অধ্যায়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছেন।

গ্যালারিতে ছিল প্রায় পঞ্চাশ হাজার দর্শক, ইডেনের আকাশে হালকা শরতের রোদ, বাতাসে উৎসবের গন্ধ। আর এমন এক বিকেলেই একটা মানুষ নিজের ব্যাট দিয়ে ম্যাচের গতিপথ, ওয়ানডে ইতিহাসের পরিসংখ্যান খাতা এমনকি দর্শকদের স্মৃতিও বদলে দিলেন। নাম তাঁর রোহিত শর্মা। বয়স ২৬ বছর।

রোহিত সেদিন মাঠে ফিরেছিলেন চোট কাটিয়ে। আঙুলে চোটের কারণে প্রায় দুই মাস ক্রিকেট থেকে বাইরে ছিলেন। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে ছিল তাঁর জন্য একপ্রকার নতুন শুরু। কিন্তু শুরুটা কিছুতেই শুভ বলা যায় না। ইনিংসের প্রথম দিকেই, মাত্র ৪ রানে, থার্ডম্যানে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিলেন। ক্রিকেটের সহজতম এক ক্যাচ। সোজা বাংলায়, একেবারে ‘লোপ্পা’ ক্যাচ। কিন্তু শ্রীলঙ্কানদের চোখমুখকে বিস্ময়ে ভাসিয়ে থিসারা সেটি ফেলে দিলেন। কে জানত, এই ফসকানো ক্যাচটাই হয়ে উঠবে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভুলগুলোর একটি!

রোহিতের ক্যাচ ফেলেছেন থিসারা, মাথায় হাত বোলার ইরাঙ্গার.