আসামির বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত
Published: 15th, November 2025 GMT
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৭) হত্যা ও স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীকে (৪৪) হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়ার (৩৪) বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় আসামির বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তাঁরা নগরের রাজপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে রাজশাহীর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এই চারজন হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাত, কনস্টেবল আবদুস সবুর, মাহফুজার রহমান ও মিঠু সরদার।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার কারণে এই চারজনকে প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকার ভাড়া বাসায় খুন হয় বিচারকের নবম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে তাওসিফ। আহত হন বিচারকের স্ত্রী। এ ছাড়া হামলাকারী নিজেও ধস্তাধস্তিতে আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি করার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই সময় লিমন একটি টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। পরে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় আদালত আজ রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের কাছে ব্যাখ্যা চান। ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সশরীর হাজির হয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আসামি লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
.