১৮০ জন ফুটবলারের অটোগ্রাফ আছে বাহারুলের কাছে
Published: 6th, December 2025 GMT
ইদ্রিস মিয়া ছিলেন এলাকার নামকরা ফুটবলার। ফরোয়ার্ডে খেলতেন। তাঁর সেই ফুটবলপ্রীতি সন্তান বাহারুল আলমও পেয়েছেন। নিজেও স্কুল-কলেজ পর্যায়ে ফুটবল খেলা শুরু করলেন। তবে একসময় পায়ে চোট পেয়ে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে সরে যেতে হলো। তবে খেলার নেশা ছাড়ল না।
খেলা দেখতে ঢাকা স্টেডিয়ামে ছুটে আসতেন। ১৯৭৫ সালে ঢাকায় আগমন। ঢাকার শাহজাহানপুরে থাকতেন বাহারুলরা। কুমিল্লা-ফেনী-নোয়াখালীর ফুটবলপাগল অনেকে ট্রেনে এসে খিলগাঁও রেলগেটে নেমে জাতীয় স্টেডিয়ামে যেত।
এই ফুটবল সমর্থকদের অনেকে এসে তাঁদের বাসায় উঠত। বাহারুলের স্মৃতিতে সে ছিল দেশের ফুটবলে স্মরণীয় এক সময়, ‘তখন মতিঝিল সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পাশ দিয়ে ফকিরাপুল হয়ে ব্রাদার্স সমর্থকদের মিছিল যেত জাতীয় স্টেডিয়ামে। দেশের ফুটবলে এমন দিন কখনো ভোলার নয়।’
ঝালমুড়ি, ছোলাবুট, কাসুন্দি দিয়ে নারকেলের টুকরা খাওয়া—বাহারুল আলমের জিবে এখনো লেগে আছে। তাঁর হৃদয়ের বড় অংশজুড়ে শুধুই ফুটবল। পেছন ফিরে বলেন, ‘১৯৮১ সালে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের দুই ঘণ্টা আগে আবাহনী ক্লাবে যাই। কাজী সালাহউদ্দিনকে বলি, আপনি ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলেন। আমাকে দশটা অটোগ্রাফ দিতে হবে। সালাহউদ্দিন ভাই আন্তরিকতার সঙ্গে সাড়া দেন, কষ্ট করে এসেছ, ঠিক আছে, দশটি অটোগ্রাফই দিলাম। এ ছিল আমার বিরাট সৌভাগ্য।’
তবে তারও আগে ঢাকা মোহামেডানের রাইট আউট কোহিনূরের অটোগ্রাফ নেন প্রথম। সর্বশেষ অটোগ্রাফ নিয়েছেন গত বছর, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমানের। দীর্ঘ ৪৩ বছরে সংগ্রহ করেছেন তিন শতাধিক অটোগ্রাফ, যার মধ্যে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ১৮ জনসহ ১৮০ জনই ফুটবলার। পঞ্চাশ-ষাট দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের ফুটবলারও আছেন। সবাই শীর্ষস্তরের ফুটবলার।
ঢাকা আবাহনীর এক সময়ের অধিনায়ক খোরশেদ আলম বাবুলের অটোগ্রাফ.